চাষিরা যাতে সরকারি ন্যয্য মূলেই চালকল বা অন্য সরকারি এজেন্সিগুলিকে ধান বিক্রি করেন, তা দেখতে সরাসরি বিভিন্ন ব্লকে যাবেন বর্ধমান জেলা পরিষদের সভাধিপতি দেবু টুডু। তিনি বলেন, “আমরা চাই চাষিরা সরাসরি সরকারের কাছে ধান বিক্রি করুন। তাই নিজে কয়েকটি ব্লকে যাব।”
এ বছর জেলায় লেভির চালের বরাদ্দ বাড়িয়ে করা হয়েছে ২ লক্ষ ৬০ হাজার মেট্রিক টন। কিন্তু এখনও পর্যন্ত মাত্র ৪৪ হাজার ২০০ মেট্রিক টন চাল মিলেছে। চালকলগুলির অভিযোগ, চাষিরা সরকারি সহায়ক মূল্য পেয়েও ধান বিক্রিতে রাজি নন। ফলে ধান কেনা যাচ্ছে না। কেন এমন পরিস্থিতি, তা দেখতেই অভিযান চালাবেন সভাধিপতি।
জেলা খাদ্য কর্মাধ্যক্ষ শেখ ইসমাইলের দাবি, “খোলা বাজারে ৬০ কিলোর বস্তা ৭১০-৭১৫ টাকায় বিক্রি হচ্ছে। যেখানে সরকারি দাম বস্তা পিছু ৮১৬ টাকা। কিন্তু ১০০ টাকা বেশিতেও কেন চাষিরা ধান বিক্রি করতে চাইছেন না, তা খতিয়ে দেখতেই আগামী বুধবার ব্লকে যাবেন সভাধিপতি।” তাঁর দাবি, সম্ভবত খণ্ডঘোষ, মেমারি রায়না, জামালপুর ইত্যাদি ব্লকগুলিতে প্রথমে অভিযান চালানো হবে। কাজের অগ্রগতি খতিয়ে দেখতে বিডিও, পঞ্চায়েত সমিতির কর্মাধ্যক্ষ ও খাদ্য ইন্সপেক্টারদের নিয়ে ১৪ জানুয়ারি একটি সভা করা হবে বলেও জানান তিনি। ধান কেনায় যে গতি আসেনি তা মেনে নিয়েছেন জেলা খাদ্য নিয়ামক সাধনকুমার পাঠকও। তিনি বলেন, “এখনও অনেক সরকারি এজেন্সি ধান কিনতে নামেনি। সামান্য কয়েকটি সমবায় সমিতিই কাজ শুরু করেছে। তাই ওই গতি বাড়াতে আমাদের আপাতত চালকলগুলিতে ধান কিনতে চাপ দিতে হচ্ছে।”