পর্যটনের প্রচারে গ্যাংটকে চলল মোটরবাইক

পর্যটক টানতে এ বার অস্ত্র মোটরবাইক মিছিল। পর্যটন উৎসবের আগে কালনা নিয়ে পর্যটকদের উৎসাহ বাড়াতে এ বার আটটি মোটরবাইকে ১৬ জনের একটি দল রওনা দিল গ্যাংটক।

Advertisement

নিজস্ব সংবাদদাতা

কালনা শেষ আপডেট: ২৮ নভেম্বর ২০১৫ ০১:৫৫
Share:

যাত্রা শুরুর আগে। —নিজস্ব চিত্র।

পর্যটক টানতে এ বার অস্ত্র মোটরবাইক মিছিল।

Advertisement

পর্যটন উৎসবের আগে কালনা নিয়ে পর্যটকদের উৎসাহ বাড়াতে এ বার আটটি মোটরবাইকে ১৬ জনের একটি দল রওনা দিল গ্যাংটক। সঙ্গে গেলেন কালনার বিধায়ক বিশ্বজিৎ কুণ্ডু। দলের সদস্যদের দাবি, শহরের বিভিন্ন পুরাতাত্ত্বিক নিদর্শন প্রচার করতে মিছিলটি যাবে গ্যাংটক পর্যন্ত।

কালনা শহরে প্রতাপেশ্বর, কৃষ্ণচন্দ্র, ১০৮ শিবমন্দির-সহ বিভিন্ন দ্রষ্টব্য স্থান রয়েছে। এ ছাড়াও রয়েছে মহপ্রভু বাড়ি, ভবা পাগলার ভবানী মন্দির, সুলতানি আমলের মসজিদ-সহ বহু ঐতিহাসিক স্থান। অতীতে মার্কিন কনস্যুলেট জেনারেল-সহ বহু বিখ্যাত মানুষের চোখ টেনেছে এই শহর। বিভিন্ন মন্দিরের টেরাকোটার কাজগুলিও নজর কাড়ে শিল্পরসিকদের। কিন্তু ঐতিহাসিক শহর হওয়া সত্ত্বেও বছরভর পর্যটকের ভিড় থাকে না এখানে। দীর্ঘদিনের সেই চেনা ছবি বদলে দিতেই র‌্যালির আয়োজন বলে উদ্যোক্তাদের দাবি।

Advertisement

বছর তিনেক আগে কালনায় শুরু হয় পর্যটন উৎসবের। এ বার উৎসব বসছে রাজবাড়ি মাঠে। চলবে ৬ থেকে ১০ জানুয়ারি। উৎসব ও শহর সম্পর্কে রাজ্যের বিভিন্ন প্রান্তের মানুষকে আকৃষ্ট করতেই র‌্যালি আয়োজনের সিদ্ধান্ত নেয় উৎসব কমিটি। শুক্রবার সকাল ১০টা নাগাদ কালনার ১০৮ শিবমন্দির চত্বর থেকে র‍্যালির সূচনা করেন রাজ্যের মন্ত্রী স্বপন দেবনাথ। ছিলেন, শিল্পপতি সুশীল মিশ্রও।

র‌্যালির যাত্রাপথ কী রকম জিজ্ঞেস করা হলে বিশ্বজিৎবাবু জানান, প্রথমে কাটোয়ার চৌকি সেতু হয়ে ফরাক্কা ও পরে রায়গঞ্জ যাওয়া হবে। ২৮ তারিখ সকলে মিলে পৌঁছবেন গ্যাংটক। তারপর একে একে দার্জিলিং, কালিম্পং-সহ পাহাড়ের বিভিন্ন এলাকা ঘুরে ৩০ তারিখ ফেরার পথ ধরবেন র‌্যালির সদস্যরা। মোট ৬টি জেলা ও বিহারের কয়েকটি এলাকাও ঘুরবেন তাঁরা। ১ ডিসেম্বর সরাসরি র‌্যালিটি পৌঁছবে মুখ্যমন্ত্রীর মঙ্গলকোটের সভায়। সেখানে শহরের পর্যটনের জন্য বিভিন্ন প্রয়োজনীয় পরিকাঠামো গড়ে তোলার জন্য মুখ্যমন্ত্রীকে একটি স্মারকলিপিও দেওয়া হবে। দাবি জানানো হবে, ভাগিরথীর সৌন্দর্য্যায়ন ও সেতু তৈরি করারও। সেতু তৈরি হলে পর্যটকেরা নবদ্বীপ থেকে সরাসরি কালনায় চলে আসতে পারবেন বলে জানান উৎসব কমিটির সদস্যরা।

মোটরবাইকগুলির সঙ্গে ইং‌রেজি ও বাংলায় লেখা বিভিন্ন প্রচার ফেস্টুন ও ফ্লেক্স জুড়ে দেওয়া হয়েছে। কালনার বিভিন্ন দ্রষ্টব্য স্থানগুলির বিশদ বর্ণনা রয়েছে ফেস্টুন ও ফ্লেক্সগুলিতে। প্রচারের জন্য মোট ত্রিশটি জনবহুল বেছে নিয়েছে উৎসব কমিটি। সেই সব জায়গার বাসিন্দাদের কালনা শহরের বিভিন্ন ছবি, ফেস্টুন ও লিফলেট দেওয়া হবে বলে জানান বিধায়ক। লিফলেটেই থাকবে কালনায় কী ভাবে পৌঁছনো যাবে, তার হদিস। স্বপনবাবু জানান, ‘‘রাজ্যের বিভিন্ন এলাকার মানুষের কাছে কালানার ইতিহাস ও ঐতিহ্যকে তুলে ধরতে র‌্যালিটি সাহায্য করবে।’’

(সবচেয়ে আগে সব খবর, ঠিক খবর, প্রতি মুহূর্তে। ফলো করুন আমাদের Google News, X (Twitter), Facebook, Youtube, Threads এবং Instagram পেজ)

আনন্দবাজার অনলাইন এখন

হোয়াট্‌সঅ্যাপেও

ফলো করুন
অন্য মাধ্যমগুলি:
Advertisement
Advertisement
আরও পড়ুন