পড়ুয়াদের বিক্ষোভে বন্ধ কলেজ

পড়ুয়াদের বিক্ষোভে জেরবার হয়ে আপাতত পঠনপাঠন বন্ধ রাখার সিদ্ধান্ত নিলেন দুর্গাপুরের একটি বেসরকারি ইঞ্জিনিয়ারিং কলেজ কর্তৃপক্ষ। প্রথম বর্ষ বাদে বাকি সব ক্লাসের পড়ুয়াদের হস্টেলও ছাড়তে বলা হয়েছে। কলেজের চেয়ারম্যান দুলাল মিত্র বলেন, “বিক্ষোভ বন্ধ করে আলোচনায় বসার প্রস্তাব দেওয়া হয়েছিল পড়ুয়াদের। কিন্তু তারা তা শোনেনি।

Advertisement

নিজস্ব সংবাদদাতা

দুর্গাপুর শেষ আপডেট: ২৩ অগস্ট ২০১৪ ০১:০৯
Share:

কলেজ ছেড়ে যাচ্ছেন পড়ুয়ারা। ছবি: বিকাশ মশান

পড়ুয়াদের বিক্ষোভে জেরবার হয়ে আপাতত পঠনপাঠন বন্ধ রাখার সিদ্ধান্ত নিলেন দুর্গাপুরের একটি বেসরকারি ইঞ্জিনিয়ারিং কলেজ কর্তৃপক্ষ। প্রথম বর্ষ বাদে বাকি সব ক্লাসের পড়ুয়াদের হস্টেলও ছাড়তে বলা হয়েছে। কলেজের চেয়ারম্যান দুলাল মিত্র বলেন, “বিক্ষোভ বন্ধ করে আলোচনায় বসার প্রস্তাব দেওয়া হয়েছিল পড়ুয়াদের। কিন্তু তারা তা শোনেনি। বাধ্য হয়ে পঠনপাঠন বন্ধের সিদ্ধান্ত নিতে হয়েছে।”

Advertisement

দুর্গাপুরের ফুলঝোড়ের ওই কলেজে ছাত্রছাত্রী হাজার তিনেক। বুধবার থেকে বিক্ষোভ দেখাচ্ছেন দ্বিতীয় থেকে চতুর্থ বর্ষের অধিকাংশ পড়ুয়া। তাঁদের অভিযোগ, অধ্যক্ষ তাঁদের সঙ্গে অভব্য আচরণ করেন। নিয়ম না মেনে নানা সিদ্ধান্ত নেন। পড়ুয়াদের কোনও কথা শোনেন না। অধ্যক্ষকে সরানোর দাবিতে ক্লাস না করে কলেজ চত্বরে জড়ো হয়ে দু’দিন ধরে স্লোগান দেন তাঁরা। বৃহস্পতিবার অশান্তির আশঙ্কায় দুর্গাপুরের মহকুমাশাসক কস্তুরী সেনগুপ্তের সঙ্গে যোগাযোগ করেন কলেজ কর্তৃপক্ষ। তিনি পুলিশ পাঠান। তবে সে দিন কোনও অশান্তি হয়নি।

শুক্রবার সকাল থেকে ফের বিক্ষোভ শুরু করেন পড়ুয়ারা। কলেজের চেয়ারম্যান দুলালবাবু বলেন, “এখন ক্যাম্পাসিং চলছে। এই সময়ে এ ভাবে অশান্তি মোটেই কাম্য নয়।” তাঁর বিরুদ্ধে ওঠা স্বেচ্ছাচারের অভিযোগ উড়িয়ে অধ্যক্ষ শম্ভুনাথ বসু বলেন, “কলেজে শৃঙ্খলা বজায় না থাকলে পঠনপাঠনে ব্যাঘাত ঘটে। গত তিন দিন ধরে পড়ুয়ারা যে আচরণ করছে, তাতে বাধ্য হয়ে এই সিদ্ধান্ত নিতে হল।” কলেজের দায়িত্বপ্রাপ্ত অধ্যাপক কৌশিক সেনাপতির দাবি, “কিছু ছাত্রের অযৌক্তিক দাবি ও বিশৃঙ্খলা সৃষ্টির জেরে অচলাবস্থা তৈরি হয়েছে। পড়ুয়াদের নিরাপত্তার স্বার্থেই বাধ্য হয়ে পঠনপাঠন ও হস্টেল আপাতত বন্ধ রাখার সিদ্ধান্ত নিতে হয়েছে।” তবে যত শীঘ্র সম্ভব কলেজ খোলার চেষ্টা হবে বলে জানান তিনি।

Advertisement

এ দিন দুপুরে কলেজে গিয়ে দেখা যায়, অনেক পড়ুয়াই ব্যাগপত্র নিয়ে হস্টেল ছাড়ছেন। বোকারোর বাসিন্দা পূর্ণিমা ভারতী, নিশা কুমারীরা বলেন, “হঠাৎ কলেজ বন্ধ হওয়ায় বিপাকে পড়েছি।” পড়ুয়ারা জানান, কবে কলেজ খুলবে, তা আগামী মঙ্গলবার ফোন করে জানতে বলেছেন কর্তৃপক্ষ।

মহকুমাশাসক জানান, কলেজ কর্তৃপক্ষ ও পড়ুয়ারাদু’পক্ষই তাঁর সঙ্গে যোগাযোগ করেছেন। তিনি বলেন, “অচলাবস্থা কাটাতে প্রশাসনের তরফে প্রয়োজনীয় ব্যবস্থা নেওয়া হবে।”

(সবচেয়ে আগে সব খবর, ঠিক খবর, প্রতি মুহূর্তে। ফলো করুন আমাদের Google News, X (Twitter), Facebook, Youtube, Threads এবং Instagram পেজ)

আনন্দবাজার অনলাইন এখন

হোয়াট্‌সঅ্যাপেও

ফলো করুন
অন্য মাধ্যমগুলি:
Advertisement
Advertisement
আরও পড়ুন