অচলাবস্থা কাটতে চলেছে দুর্গাপুরের ফুলঝোড়ের বেসরকারি ইঞ্জিনিয়ারিং কলেজে। প্রশাসন সূত্রে জানা গিয়েছে, শনিবার জেলাশাসকের উপস্থিতিতে মহকুমাশাসকের কার্যালয়ে আয়োজিত বৈঠকে আগামী মঙ্গলবার থেকে কলেজ খোলার সিদ্ধান্ত নেওয়া হয়েছে। কলেজের চেয়ারম্যান দুলাল মিত্রও জানান, তাঁরা দ্রুত কলেজের পঠন-পাঠন চালু করতে চান। নতুন করে কোনও সমস্যা তৈরি না হলে মঙ্গলবার কলেজ খুলবে।
ফুলঝোড়ের বেসরকারি ইঞ্জিনিয়ারিং কলেজের অধ্যক্ষের বিরুদ্ধে অন্যায় আচরণের অভিযোগে পড়ুয়ারা তাঁর অপসারণ দাবি করেন। তিন দিন ধরে বিক্ষোভ চলে। অশান্তি এড়াতে কলেজ কর্তৃপক্ষ অনির্দিষ্ট কালের জন্য পঠন-পাঠন বন্ধের কথা ঘোষণা করেছিলেন। ২৫ অগস্ট পড়ুয়া ও কলেজ কর্তৃপক্ষকে নিয়ে বৈঠক করেন মহকুমা শাসক কস্তুরি সেনগুপ্ত। সেখানে তিনি কলেজ কর্তৃপক্ষ, ছাত্র প্রতিনিধি, পুলিশ ও একজন ডেপুটি ম্যাজিস্ট্রেটকে নিয়ে কমিটি গঠনের পরামর্শ দেন তিনি। ২৬ অগস্ট সেই কমিটি বৈঠক করে। সেখানে পড়ুয়াদের তরফে সময় চাওয়া হয়। তার পর শুক্রবার ২৯ অগস্ট ফের একই দাবিতে বিক্ষোভ শুরু করেন দ্বিতীয় ও তৃতীয় বর্ষের পড়ুয়ারা। কলেজ কর্তৃপক্ষ জানায়, প্রশাসনের পরামর্শে তৈরি করা কমিটি কাজ করছে। তার মধ্যে হঠাৎ বিক্ষোভ মানা হবে না। কিন্তু অনড় পড়ুয়ারা বিক্ষোভ চালিয়ে যায়। ছুটির পরে শিক্ষকেরা কলেজ থেকে বেরোতে গেলে তাঁদের আটকেও দেওয়া হয়। প্রতিবাদে কলেজের প্রশাসনিক ভবনের সামনে অবস্থান শুরু করেন শিক্ষকেরা। পুলিশ আসে। ডেপুটি ম্যাজিস্ট্রেট সুমন বসু কলেজে এসে শিক্ষকদের সঙ্গে কথাবার্তা বলেন। কমিটির বৈঠক ডেকে বিষয়টি নিয়ে আলোচনার আশ্বাস দেন তিনি। শেষ পর্যন্ত রাত সাড়ে ৮ টা নাগাদ শিক্ষকেরা বেরিয়ে যান।
শনিবার মহকুমা শাসকের কার্যালয়ে জেলা শাসকের উপস্থিতিতে বৈঠক হয়। তিনি কলেজ কর্তৃপক্ষ এবং পড়ুয়াদের সঙ্গে দীর্ঘক্ষণ কথা বলেন। প্রশাসন সূত্রে জানা গিয়েছে, বৈঠকে জেলা শাসক সৌমিত্র মোহন জানিয়ে দেন, পড়ুয়াদের সংযত আচরণ করতে হবে। একই সঙ্গে কর্তৃপক্ষকে সচেতন হতে হবে। দু’পক্ষের মধ্যে পারস্পরিক বোঝাপড়া দরকার। যদিও ওই বৈঠকের ব্যাপারে জেলা শাসক সৌমিত্র মোহন বা মহকুমা শাসক কস্তুরি সেনগুপ্ত সংবাদমাধ্যমকে কিছুই বলতে চাননি।