উপর দিয়ে যাওয়া উচ্চ পরিবাহী তারের সঙ্গে নীচ দিয়ে যাওয়া নিম্ন পরিবাহী তারের সংযোগ হওয়ায় মাঝে-মাঝেই শর্ট সার্কিট হচ্ছে। ফলে পুড়ে যাচ্ছে গৃহস্থালীর বৈদ্যুতিন সরঞ্জাম। প্রতিবাদে সোমবার দুর্গাপুরের শঙ্করপুর মোড়ে পথ অবরোধ করেন স্থানীয় বাসিন্দারা। আধ ঘণ্টা পরে পুলিশ গিয়ে লাঠি উঁচিয়ে সবাইকে হঠিয়ে দেয়। ঘটনায় জড়িত অভিযোগে পুলিশ সাত জনকে গ্রেফতার করেছে। আসানসোল-দুর্গাপুর কমিশনারেটের এডিসিপি (পূর্ব) সুনীল যাদব জানান, বিষয়টি নিয়ে বিদ্যুৎ বণ্টন সংস্থার সঙ্গে পুলিশ কথা বলবে।
পুলিশ ও স্থানীয় সূত্রে জানা গিয়েছে, সমস্যা শুরু ৯ মার্চ। সে দিন দুপুরে হঠাৎ শর্ট সার্কিট হয়ে শ’খানেক বাড়ির বিভিন্ন বৈদ্যুতিন সরঞ্জাম পুড়ে যায়। খানিকটা জখম হন এক বধূ। বাসিন্দাদের অভিযোগ, তার পরে মাঝে-মাঝেই ছোটখাট শর্ট সার্কিটের ঘটনা ঘটছে। সোমবার দুপুরেও ফের তেমন ঘটনা ঘটে বলে অভিযোগ। এর পরেই ক্ষোভে ফেটে পড়েন বাসিন্দারা। শঙ্করপুর মোড়ে তাঁরা রাস্তা অবরোধ শুরু করেন। খবর পেয়ে নিউ টাউনশিপ থানা থেকে পুলিশের একটি গাড়ি যায়। অবরোধকারীরা পুলিশকে ঘিরে ধরে বিক্ষোভ দেখাতে শুরু করেন। খবর পেয়ে পুলিশ বাহিনী নিয়ে এলাকায় যান এডিসিপি (পূর্ব) সুনীল যাদব। বাসিন্দাদের অভিযোগ, অবরোধ হঠাতে পুলিশ কয়েক জনকে লাঠিপেটা করে। পুলিশ অবশ্য এই অভিযোগ মানতে চায়নি। পুলিশের দাবি, লাঠি উঁচিয়ে বিক্ষোভকারীদের সরিয়ে দেওয়া হয়। আধ ঘণ্টা পরে অবরোধ ওঠে। এডিসিপি (পূর্ব) জানান, ঘটনাস্থল থেকে সাত জনকে গ্রেফতার করা হয়েছে।
রাজ্য বিদ্যুৎ বণ্টন কোম্পানি সূত্রে জানা গিয়েছে, শঙ্করপুর মোড়ের উপর দিয়ে একটি এক লক্ষ ৩২ হাজার ভোল্টের উচ্চ পরিবাহী তারের লাইন চলে গিয়েছে। তার অনেক নীচ দিয়ে আড়াআড়ি ভাবে গিয়েছে দুর্গাপুর প্রজেক্টস লিমিটেডের (ডিপিএল) গৃহস্থালীর বিদ্যুৎ সংযোগের জন্য ১১ হাজার ভোল্টের লাইন। দু’টি লাইনের মাঝে ব্যবধান পর্যাপ্ত। এমন ভাবে উপর-নীচ দিয়ে আড়াআড়ি ভাবে বহু জায়গাতেই লাইন গিয়েছে। কিন্তু শঙ্করপুর মোড় এলাকায় উচ্চ পরিবাহী তারের টান কোনও ভাবে কমবেশি হয়ে গিয়েছে। সে জন্যই এমন ঘটনা ঘটছে। বিদ্যুৎ বণ্টন সংস্থা সূত্রে জানা গিয়েছে, ওই লাইনে মেরামতির কাজ চলছে। এডিসিপি (পূর্ব) বলেন, “বিদ্যুৎ বণ্টন সংস্থার সঙ্গে কথা বলে দ্রুত প্রয়োজনীয় ব্যবস্থা নেওয়ার আর্জি জানাব।”