বুদবুদে পার্থ চট্টোপাধ্যায়। নিজস্ব চিত্র।
বর্ধমান জেলায় বহু মানুষের জমি কেড়ে নিয়েছে সিপিএম। শেষ করে দিয়েছে অনেক বহু ফসলি জমি। মঙ্গলবার সন্ধ্যায় বুদবুদের নির্বাচনী প্রচারে এসে এ ভাবেই সিপিএমকে আক্রমণ করলেন তৃণমূলের মহাসচিব ও রাজ্যের মন্ত্রী পার্থ চট্টোপাধ্যায়।
এ দিন তিনি অভিযোগ করেন, “সিপিএম বর্ধমান জেলাকে শেষ করেছে। ওরা শুধু গুন্ডাবাজি করে গণতন্ত্রকে শেষ করে দিয়েছিল। এখন শোনা যাচ্ছে, প্রার্থী খুঁজে পাচ্ছে না বলে খুনের ধারায় এক অভিযুক্তকে প্রার্থী করেছে সিপিএম।”
সিপিএমের বর্ধমান জেলা সম্পাদক অমল হালদারের বক্তব্য, “মানুষের থেকে নিজেরা দূরে সরে যাচ্ছেন বুঝতে পেরেই এখন এ সব অভিযোগ তুলছেন ওঁরা।”
প্রচারে তৃণমূল প্রার্থী দোলা সেন। আসানসোলে তোলা নিজস্ব চিত্র।
মঙ্গলবার সভা শুরু হওয়ার কথা ছিল বিকেল চারটে নাগাদ। কিন্তু পার্থবাবু যখন আসেন তখন রাত আটটা বেজে গিয়েছে। রাজ্যের মন্ত্রী জানান, অন্য জায়গায় সভা থাকার কারণে তাঁর আসতে দেরি হয়েছে। নিজের বক্তব্যের শুরুতে দলনেত্রীকে ‘আপষহীন নেত্রী’ বলে তিনি দাবি করেন, “এ বার মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়ের সাহায্য ছাড়া দিল্লিতে কোনও সরকার তৈরি হতে পারবে না।” বক্তব্যে উঠে আসে সিঙ্গুর আন্দোলনের কথা। পার্থবাবু বলেন, “আমরা সিঙ্গুরের অনিচ্ছুক কৃষকদের জমি ফেরত দিতে বদ্ধপরিকর। কিন্তু বিরোধীরা ষড়যন্ত্র করে জমি ফেরতের বিষয়টি কোর্টে নিয়ে গিয়েছে।”
এ দিন সিপিএম ছাড়াও কংগ্রেস ও বিজেপিকেও আক্রমন করেন তিনি। সারদা কাণ্ড নিয়ে বিরোধীদের আক্রমন করে তিনি বলেন, “সারদা কাণ্ড নিয়ে এখন যাঁরা হইচই করছে তাঁরা দুর্নীতিতে ডুবে রয়েছে। তাঁরা মাটি কেলেঙ্কারি, ১০০ দিনের কেলেঙ্কারির যুক্ত।” বাংলায় বিজেপিকে সিপিএম ও কংগ্রেস মদত দিচ্ছে বলে দাবি করেন এই তৃণমূল নেতা। ইউপিএ সরকারের মন্ত্রীরা অনেক দুর্নীতিতে ডুবে রয়েছেন বলে দাবি করেন তিনি।
এ দিনের সভায় অন্যান্যদের মধ্যে উপস্থিত ছিলেন লোকসভা ভোটে বর্ধমান-দুর্গাপুরের তৃণমূল প্রার্থী মমতাজ সঙ্ঘমিতা, গলসি বিধানসভা উপনির্বাচনের তৃণমূল প্রার্থী গৌর মণ্ডল, জেলা পরিষদের সভাধিপতি দেবু টুডু।