ভোটের আগে নয়, পরে ছাড় দিতেই আগ্রহী ব্যবসায়ীরা

ভোটদানে উৎসাহিত দিতে ভোটের আগের দু’দিন ও ভোটের পরের দু’দিন বিশেষ ছাড়ের জন্য ব্যবসায়ীদের জন্য আবেদন করেছিল জেলা প্রশাসন। কিন্তু ভোটের আগে ছাড় দিতে উৎসাহ দেখাল না কালনার ব্যবসায়ীরা। তবে, কয়েকজন ব্যবসায়ী অবশ্য ভোটের পরে ভোটারদের ছাড় দিতে প্রাথমিকভাবে রাজি হয়েছেন। ভোটারদের বুথমুখী করতে নির্বাচন কমিশনের উদ্যোগে ইতিমধ্যেই শুরু হয়েছে দেওয়াল লিখন, পথনাটিকা, পোস্টার ও ব্যানারের মাধ্যমে প্রচার। সেই প্রচারের অঙ্গ হিসেবে বর্ধমান জেলা প্রশাসন ভোটের আগের ও পরের দু’দিন শপিং মল-সহ ছোট বড় বাজারে ভোটারদের জন্য ছাড়ের জন্য ব্যবসায়ীদের অনুরোধ করার সিদ্ধান্ত নিয়েছিল।

Advertisement

নিজস্ব সংবাদদাতা

কালনা শেষ আপডেট: ০৮ এপ্রিল ২০১৪ ০২:১৩
Share:

ভোটদানে উৎসাহিত দিতে ভোটের আগের দু’দিন ও ভোটের পরের দু’দিন বিশেষ ছাড়ের জন্য ব্যবসায়ীদের জন্য আবেদন করেছিল জেলা প্রশাসন। কিন্তু ভোটের আগে ছাড় দিতে উৎসাহ দেখাল না কালনার ব্যবসায়ীরা। তবে, কয়েকজন ব্যবসায়ী অবশ্য ভোটের পরে ভোটারদের ছাড় দিতে প্রাথমিকভাবে রাজি হয়েছেন।

Advertisement

ভোটারদের বুথমুখী করতে নির্বাচন কমিশনের উদ্যোগে ইতিমধ্যেই শুরু হয়েছে দেওয়াল লিখন, পথনাটিকা, পোস্টার ও ব্যানারের মাধ্যমে প্রচার। সেই প্রচারের অঙ্গ হিসেবে বর্ধমান জেলা প্রশাসন ভোটের আগের ও পরের দু’দিন শপিং মল-সহ ছোট বড় বাজারে ভোটারদের জন্য ছাড়ের জন্য ব্যবসায়ীদের অনুরোধ করার সিদ্ধান্ত নিয়েছিল। সেই অনুযায়ী, সম্প্রতি, কালনা শহরের পুরশ্রী মঞ্চে বৈঠক ডেকেছিল মহকুমা প্রশাসন। সেখানে শ’খানেক ব্যবসায়ীদের উপস্থিতিতে মহকুমাশাসক সব্যসাচী ঘোষ তাঁদের কাছে ছাড়ের জন্য অনুরোধ করেন। তবে একই সঙ্গে জানিয়ে দেওয়া হয়, এটি জেলা প্রশাসনের নির্দেশ নয়। একটি ইতিবাচক আবেদন মাত্র।

মহকুমা প্রশাসনের আবেদনের পরে ব্যবসায়ীদের মতামত চাওয়া হয়। তখন ব্যবসায়ীরা জানান, ভোটের আগে ছাড় দিলে বিভিন্ন রাজনৈতিক দল ভোটারদের প্রভাবিত করতে পারে। কোনও ব্যবসায়ীর সঙ্গে যদি কোনও রাজনৈতিক দল বোঝাপড়া করে সেখানেই ভোটারদের যেতে বলে তাহলে কী হবে? ব্যবসায়ীদের কথা শোনার পর মহকুমা প্রশাসনের কর্তারা ভোটের পরের দু’দিন ছাড় দেওয়া নিয়ে ব্যবসায়ীদের ভেবে দেখতে বলেন। এরপরে অবশ্য কিছুটা সাড়া মেলে। বৈঠকে উপস্থিত ব্যবসায়ী সুশীল মিশ্র বলেন, “ছাড় দিলে ব্যবসায়ীদের বিক্রিও বাড়বে।” কালনা চেম্বার অব কমার্স এ্যন্ড স্মল ইন্ড্রাস্টির প্রতিনিধি শম্ভুনাথ অগ্রবালও এই প্রস্তাব সমর্থন করেন। তবে ছাড় দেওয়ার পদ্ধতি কী হবে, দোকান কী ভাবে চিহ্নিত হবে, সেই বিষয়গুলি অবশ্য এই বৈঠকে স্পষ্ট হয়নি।

Advertisement

কালনার মহকুমা শাসক সব্যসাচী ঘোষ বলেন, “রবিবারের বৈঠকে ব্যবসায়ীদের একটি অংশ ভোট মিটে যাওয়ার পরে ২ মে ও ৩ মে ভোটারদের হাতে কালি দেখে ছাড় দেওয়ার ব্যাপারে সম্মতি জানিয়েছে। বিষয়টি ব্যবসায়ীদের উপরেই ছেড়ে দেওয়া হয়েছে।

(সবচেয়ে আগে সব খবর, ঠিক খবর, প্রতি মুহূর্তে। ফলো করুন আমাদের Google News, X (Twitter), Facebook, Youtube, Threads এবং Instagram পেজ)

আনন্দবাজার অনলাইন এখন

হোয়াট্‌সঅ্যাপেও

ফলো করুন
অন্য মাধ্যমগুলি:
Advertisement
আরও পড়ুন