ভরদুপুরে বৃদ্ধকে সাইকেল থেকে ধাক্কা মেরে টাকার ব্যাগ ছিনতাইয়ের ঘটনা ঘটল কালনা শহরে। ওই বৃদ্ধের দাবি, ব্যাগটিতে লক্ষাধিক টাকা ছাড়াও, ব্যাঙ্কের ডেবিট কার্ড, পাসবই, ভোটার পরিচয়পত্র, এমআইএস শংসাপত্র-সহ নানা জিনিস ছিল। ঘটনার পরে থানায় গেলেও পুলিশের সাহায্য মেলেনি বলে ওই বৃদ্ধের অভিযোগ।
স্থানীয় সূত্রে জানা গিয়েছে, কালনা শহর ঘেঁষা হাটকালনা পঞ্চায়েতের রংপাড়ার বাসিন্দা সন্তোষরঞ্জন দেবনাথ সম্প্রতি নিজের বেশ কিছু সম্পত্তি বিক্রি করে মোটা অঙ্কের টাকা শহরের একটি রাষ্ট্রায়ত্ত ব্যাঙ্কে রাখেন। শুক্রবার বেলা ১২টা নাগাদ কুমারদ্বীপ এলাকার ওই ব্যাঙ্ক থেকেই লক্ষাধিক টাকা তোলেন বছর ষাটেকের সন্তোষবাবু। ব্যাঙ্ক থেকে বেরিয়ে তিনি প্রথমে কাছকাছি বিদ্যুৎ দফতরে যান। সেখানে কাজ সেরে সাইকেলে রওনা হন বাড়ির পথে। অভিযোগ, শহরের বড়মিত্র পাড়ার কাছে সুনসান রাস্তায় মোটরবাইকে দুই দুষ্কৃতী এসে তাঁর সাইকেলে ধাক্কা মারে। তিনি বেসামাল হয়ে দেওয়াল ঘেঁষে পড়ে যাওয়া মাত্র দুষ্কৃতীরা সাইকেলে ঝোলানো টাকার ব্যাগ হেঁচকা টান মেরে নিয়ে পালায়। ব্যাগের কিছুটা ছিঁড়ে সাইকেলেই আটকে থাকে।
সন্তোষবাবু বলেন, “নিজেকে সামলে ওঠার আগেই দ্রুত বেগে এলাকা থেকে পালায় দুষ্কৃতীরা। চোর চোর বলে চিৎকার করেও কোনও লাভ হয় নি।” তাঁর দাবি, জমি বিক্রির কিছু টাকা ছোট মেয়েকে দেবেন বলে ব্যাঙ্কে গিয়েছিলেন এ দিন। সন্তোষবাবুর আইনজীবী সিদ্ধার্থশঙ্কর মণ্ডলের অভিযোগ, “ঘটনার পরে আমার মক্কেল থানায় যান। কিন্তু পুলিশের সহযোগিতা পাননি তিনি।” যদিও অসহযোগিতার অভিযোগ উড়িয়ে দিয়েছে পুলিশ। কালনা থানার এক আধিকারিকের দাবি, “ঘটনাটি গুরুত্ব দিয়েই দেখা হচ্ছে।”
তবে এর আগেও মোটরবাইকে হেলমেটে মুখ ঢেকে চলন্ত গাড়ি থেকে সোনার হার ছিনতাই, টাকার ব্যাগ ছিনতাইয়ের ঘটনা বারবার ঘটেছে। মাস আটেক আগেও শহরের একটি রাষ্ট্রায়ত্ত ব্যাঙ্ক থেকে টাকা তোলার পরে একটি পেট্রোল পাম্পের মালিকের ব্যাগ নিয়ে চম্পট দেয় দুষ্কৃতীরা। সে ঘটনার কিনারাও করতে পারেনি পুলিশ। এ দিন আবারও শহরের মধ্যে এমন ঘটনা ঘটায় বাসিন্দাদের নিরাপত্তা নিয়ে প্রশ্ন উঠে গেল।