বুদবুদ বাজার।—নিজস্ব চিত্র।
হাইড্রেন তৈরি না হওয়ার কারণে অল্প বৃষ্টিতেই উপচে পড়ে নালার জল। ভেঙে গিয়েছে পাশের রাস্তা।এর মধ্যেই ছাউনি বানিয়ে চলছে বিকিকিনি। এটাই হল বুদবুদ বাজারের রোজনামচা।
স্থানীয় বাসিন্দারা জানান, এই বাজারের পাশেই রয়েছে সেনা ছাউনি। নিত্যপ্রয়োজনীয় জিনিস কেনার জন্য আশপাশের মানুষের একমাত্র ভরসা হল বুদবুদ বাজার। ব্যবসায়ীদের সূত্রে জানা গিয়েছে, বর্তমানে এই বাজারে ছোট বড় মিলিয়ে প্রায় বেশ কয়েকটি স্থায়ী ও অস্থায়ী দোকান রয়েছে। কিন্তু বাজারে কোনও স্থায়ী ছাউনি তৈরি হয়নি। নিকাশি ব্যবস্থা ও বাজারের পাশের চলাচলের এই রাস্তা দিয়ে সারাদিনই প্রচুর বাস ও লরি যাতায়াত করে। কিন্তু সেই রাস্তাটির অবস্থা খুব খারাপ। প্রায় ৩ কিমি দীর্ঘ এই রাস্তাটির নানা জায়গায় তৈরি হয়েছে গর্ত। বুদবুদ চেম্বার অব কমার্সের সভাপতি রতন সাহা জানান, ২০০২ সালে ২ নম্বর জাতীয় সড়ক সম্প্রসারণের কাজ শুরু হয়। কিন্তু বুদবুদ বাজারের পাশের রাস্তাটির সম্প্রসারণ ও সংস্কার কোনওটাই করা হয়নি। প্রায় ৩ কিমি এই রাস্তাটি বর্তমানে এবড়ো খেবড়ো হয়ে পড়ে রয়েছে। রাস্তাটির বেহাল দশার প্রভাব পড়েছে বাজার চত্বরে। রতনবাবু বলেন, “আমরা বারবার বিভিন্ন কর্তৃপক্ষের কাছে এ বিষয়ে নানা আবেদন করেছি। কিন্তু কোনও কাজ হয়নি।” বুদবুদের বাসিন্দা মহম্মদ হাকিমের অভিযোগ, “বাজারের মধ্যে পাকা ঘর না থাকার জন্য একটু বৃষ্টি হলেই বাজার বন্ধ করে দিতে হয়। রাস্তায় চলাফেরা করা সমস্যার হয়ে যায়।” বুদবুদ বাজারের ব্যবসায়ী মহম্মদ আকবর জানান, নিকাশি ব্যবস্থা ভালো না থাকার জন্য রাস্তার উপরেই জল দাঁড়িয়ে থাকে।
গলসি ১ নম্বর ব্লকের বিডিও ব্রততী মিত্র বলেন, “বুদবুদ বাজারে ছাউনির ব্যবস্থা করার জন্য পরিকল্পনা নেওয়া হয়েছে। নিকাশি নালা সাফাইয়ের ক্ষেত্রেও দ্রুত পদক্ষেপ নেওয়া হবে।” গলসি ১ নম্বর পঞ্চায়েত সমিতির সভাপতি জনার্দন চট্টোপাধ্যায় জানান, পুরনো জিটি রোডটি আগে জাতীয় সড়ক কর্তৃপক্ষের হাতে ছিল। তাই কোনও কাজ করা যায়নি। তাঁর আশ্বাস, “রাস্তাটি এখন পূর্ত বিভাগের হাতে এসেছে। কাজ দ্রুত শুরু হবে।” রাস্তার সঙ্গেই নিকাশি ব্যবস্থার উন্নতির বিষয়েও নজর দেওয়া হচ্ছে বলে জানান তিনি। গলসি উপনির্বাচনে তৃণমূল বিধায়ক গৌর মণ্ডল বলেন, “বিষয়টি আমার জানা নেই। তবে কেউ যদি আমার কাছে সমস্যাগুলির কথা জানান তাহলে আমি অবশ্যই আলোচনা করব।”