মানকরের রাস্তায় তল্লাশি, মিলল জিলেটিন স্টিক

রাস্তায় নিয়মমাফিক তল্লাশি চালাতে গিয়ে একটি গাড়ি থেকে তিন হাজার জিলেটিন স্টিক উদ্ধার করল পুলিশ। রবিবার বিকেলে বুদবুদ-গুসকরা রোডে মানকরের কাছে ওই গাড়িটি দেখে থামাতে বলে পুলিশ। পুলিশ এগোতেই গাড়ি থামিয়ে পালাতে যায় ওই গাড়ির চালক শেখ আব্দুল কাদের। তখনই তাকে ধরে ফেলে পুলিশ। ধৃতের বাড়ি জামুড়িয়ার হিজলগাড়া গ্রামে।

Advertisement

নিজস্ব সংবাদদাতা

বর্ধমান শেষ আপডেট: ২৯ ডিসেম্বর ২০১৪ ০০:৩৮
Share:

রাস্তায় নিয়মমাফিক তল্লাশি চালাতে গিয়ে একটি গাড়ি থেকে তিন হাজার জিলেটিন স্টিক উদ্ধার করল পুলিশ।

Advertisement

রবিবার বিকেলে বুদবুদ-গুসকরা রোডে মানকরের কাছে ওই গাড়িটি দেখে থামাতে বলে পুলিশ। পুলিশ এগোতেই গাড়ি থামিয়ে পালাতে যায় ওই গাড়ির চালক শেখ আব্দুল কাদের। তখনই তাকে ধরে ফেলে পুলিশ। ধৃতের বাড়ি জামুড়িয়ার হিজলগাড়া গ্রামে। পুলিশের দাবি, সে জেরায় জানিয়েছে, ওই জিলেটিন স্টিকগুলি পাঁচামিতে পাথর খাদানে ব্যবহারের জন্য নিয়ে যাওয়া হচ্ছিল। অবশ্য পুলিশের সন্দেহ, অবৈধ কয়লা খনিতে ব্যবহারের জন্য ওগুলি নিয়ে যাওয়া হচ্ছিল।

পুলিশ সূত্রে জানা গিয়েছে, এ দিন দুপুর নাগাদ বুদবুদ-গুসকরা রোডে রুটিন তল্লাশির সময়ে বুদবুদ থানার এসআই পুষ্পেন্দু জানা ওই গাড়িটি দেখতে পান। গাড়িটি ডানকুনি থেকে বীরভূমের পাঁচামির দিকে যাচ্ছিল। কিন্তু পুলিশ গাড়ি আটকাতেই গাড়ি ফেলে ছুটতে শুরু করে চালক। তাতেই সন্দেহ আরও বাড়ে। পুলিশ গাড়িটি থেকে ১৫টি প্লাস্টিকের বস্তা উদ্ধার করেছে। প্রত্যেক বস্তা থেকে ২০০টি করে মোট তিন হাজার জিলেটিন স্টিকও উদ্ধার হয়েছে। বস্তাগুলিতে একটি বিস্ফোরক প্রস্তুতকারক কারখানার নাম ছিল।

Advertisement

পুলিশের দাবি, জেরার মুখে আব্দুল কাদের জানান, ওড়িশার বালেশ্বর থেকে ওই বিস্ফোরকগুলি বীরভূমের পাঁচামিতে যাওয়ার কথা। ডানকুনি থেকে তাঁর গাড়িতে ওই বিস্ফোরকগুলিকে তুলে দিয়েছেন এক ব্যক্তি। তাঁর দাবি, পাঁচামিতে পাথর খাদানের পাথর ফাটাতে এই বিষ্ফোরক গুলি ব্যবহার করা হবে। ধৃতের বিরুদ্ধে বেআইনি বিস্ফোকর রাখা-সহ ষড়যন্ত্র ইত্যাদি ধারায় মামলা দায়ের করেছে পুলিশ। পুলিশ সুপার সৈয়দ মহম্মদ হোসেন মির্জা বলেন, “আজ, সোমবার ধৃতকে দুর্গাপুরের এসিজেএম আদালতে তোলা হবে। তাকে জেরা করে কোন উদ্দেশে বিস্ফোরকগুলি পাচার করা হচ্ছিল তা জানার চেষ্টা করা হবে।” তাঁর দাবি, কোনও সন্ত্রাসবাদী কাজের সঙ্গে এগুলি জড়িত কি না তাও খতিয়ে দেখা হবে। পুলিশের দাবি, প্রতিটি ১২৫ গ্রামের ওই জিলেটিন স্টিকগুলি দিয়ে বড় ধরনের বিস্ফোরন ঘটানো সম্ভব। কিন্তু জিলেটিন ফাটাতে যে ডিটোনেটর লাগে তার কোনও চিহ্ন মেলেনি ওই গাড়িতে। সেক্ষেত্রে এগুলি কোথাও মজুত করা হচ্ছিল কি না তাও খতিয়ে দেখছে পুলিশ। এসপির দাবি, “আমরা খাগড়াগড় বা অসমের ঘটনার পরে সমস্ত রাস্তাতেই তল্লাশি চালাচ্ছি। আমাদের সন্দেহ ওই বিপুল পরিমান বিষ্ফোরক দিয়ে বড় কোনও দুষ্কর্ম করার ছক কষা হচ্ছিল।”

(সবচেয়ে আগে সব খবর, ঠিক খবর, প্রতি মুহূর্তে। ফলো করুন আমাদের Google News, X (Twitter), Facebook, Youtube, Threads এবং Instagram পেজ)

আনন্দবাজার অনলাইন এখন

হোয়াট্‌সঅ্যাপেও

ফলো করুন
অন্য মাধ্যমগুলি:
Advertisement
Advertisement
আরও পড়ুন