রাস্তা তৈরির দাবিতে বিক্ষোভ

কারখানার রেললাইনের পাশের রাস্তাটাই যোগাযোগের ভরসা ছিল গ্রামবাসীদের। কিন্তু ওই লাইন কাজে না লাগায় রেলের অব্যবহৃত জিনিসপত্র সেখানেই গাদা করে রেখেছিল কারখানা কর্তৃপক্ষ। তাতে একরকম বন্ধ হয়ে যায় দুর্গাপুরের লিলুয়াবাঁধ এলাকার পশ্চিমপাড়ার ওই রাস্তাটি।

Advertisement

নিজস্ব সংবাদদাতা

দুর্গাপুর শেষ আপডেট: ২৭ ফেব্রুয়ারি ২০১৫ ০০:৫৫
Share:

রেলের স্লিপার থাকায় বন্ধ রাস্তা। —নিজস্ব চিত্র।

কারখানার রেললাইনের পাশের রাস্তাটাই যোগাযোগের ভরসা ছিল গ্রামবাসীদের। কিন্তু ওই লাইন কাজে না লাগায় রেলের অব্যবহৃত জিনিসপত্র সেখানেই গাদা করে রেখেছিল কারখানা কর্তৃপক্ষ। তাতে একরকম বন্ধ হয়ে যায় দুর্গাপুরের লিলুয়াবাঁধ এলাকার পশ্চিমপাড়ার ওই রাস্তাটি। ফলে কার্যত যোগাযোগহীন হয়ে পড়েছে গ্রাম। গ্রামবাসীদের ক্ষোভ, কেউ অসুস্থ হয়ে পড়লে অ্যাম্বুল্যান্স ঢোকারও রাস্তা নেই। বৃহস্পতিবার এ নিয়ে বিক্ষোভও দেখান তাঁরা। বেশ কিছুক্ষণ বিক্ষোভ চলার পরে অবশ্য কারখানা কর্তৃপক্ষের আশ্বাসে পরিস্থিতি স্বাভাবিক হয়।

Advertisement

শহরের আরএন মুখোপাধ্যায় রোডের ধারে ওই বেসরকারি কার্বন ব্ল্যাক প্রস্তুতকারক কারখানাটি গড়ে ওঠে ১৯৬০ সালে। বছরে গড়ে ১ লক্ষ ৫২ হাজার মেট্রিক টন কার্বন ব্ল্যাক উৎপন্ন হয় ওই কারখানায়। পূর্ব, উত্তর এবং দক্ষিণ ভারত ছাড়াও দক্ষিণ-পূর্ব এশিয়া এবং দূর প্রাচ্যের দেশগুলিতে রফতানি হয় ওই কার্বন। কারখানার কাঁচামাল ও উৎপাদিত পণ্য আনা নেওয়ার জন্য কারখানার নিজস্ব রেললাইন রয়েছে। ওই রেললাইনের পাশের রাস্তাটিই এতদিন ব্যবহার করতেন লিলুয়াবাঁধ এলাকার বাসিন্দারা। তবে এখন ওই লাইন আর ব্যবহার করেন না কারখানা কর্তৃপক্ষ। রেললাইনের উপরেই জমিয়ে রাখা রয়েছে রেলের অব্যবহৃত স্লিপার। ফলে মুশকিলে পড়েছেন ওই বাসিন্দারাও। এ দিন কারখানার সামনে জড়ো হয়ে বিক্ষোভ শুরু করেন তাঁরা। গ্রামবাসীদের অভিযোগ, স্লিপারগুলি রেললাইনে গাদা করে রাখায় পাশের রাস্তা বন্ধ হয়ে গিয়েছে। বাসিন্দাদের তরফে মুস্তাক খান, মহম্মদ জামসেদ, সাদ্দাম খানেদের দাবি, “আমাদের পাড়ায় একমাত্র এই রাস্তা দিয়েই গাড়ি যাতায়াত করতে পারে। এখন কেউ অসুস্থ হয়ে পড়লেও গাড়ি ঢোকানো যাবে না।” তাঁদের দাবি, কারখানা কর্তৃপক্ষ সহযোগিতার হাত না বাড়িয়ে দিলে প্রশাসনের দ্বারস্থ হবেন তাঁরা। বাসিন্দাদের আরও অভিযোগ, ওই কারখানা থেকে দূষণ ছড়ায়। এ নিয়ে বারবার বলেও লাভ হয়নি। প্রসঙ্গত, নভেম্বরে স্থানীয় কড়ঙ্গপাড়া’র বাসিন্দারাও দূষণের প্রতিবাদে কারখানার সামনে বিক্ষোভ দেখিয়েছিলেন।

এ দিন কারখানার এক আধিকারিক জানান, স্থানীয় বাসিন্দাদের সঙ্গে বরাবর সুসম্পর্ক রয়েছে এই কারখানার। কোনও সমস্যা দেখা দিলে কথাবার্তার মাধ্যমে তা সমাধান করা হয়। তাঁর আশ্বাস, “বাসিন্দারা রাস্তার দাবিতে বিক্ষোভ দেখিয়েছেন। দ্রুত যাতে সমস্যার সুরাহা হয় সেদিকে নজর দেওয়া হবে।”

Advertisement
(সবচেয়ে আগে সব খবর, ঠিক খবর, প্রতি মুহূর্তে। ফলো করুন আমাদের Google News, X (Twitter), Facebook, Youtube, Threads এবং Instagram পেজ)

আনন্দবাজার অনলাইন এখন

হোয়াট্‌সঅ্যাপেও

ফলো করুন
অন্য মাধ্যমগুলি:
Advertisement
Advertisement
আরও পড়ুন