সুস্থ হয়ে তথ্য দিল ছাত্রী, ধৃত অভিযুক্ত

বছরখানেক আগে তাকে গলা কেটে খুনের চেষ্টা করেছিল দুষ্কৃতী। তার পর থেকে তিনটি সুপার স্পেশ্যালিটি-সহ নানা হাসপাতালে চিকিৎসা হয়েছে তার। কিন্তু এখনও ঠিক ভাবে কথা বলতে পারে না বছর দশেকের মেয়েটি।

Advertisement

নিজস্ব সংবাদদাতা

আসানসোল শেষ আপডেট: ০৪ ফেব্রুয়ারি ২০১৬ ০০:২৮
Share:

বছরখানেক আগে তাকে গলা কেটে খুনের চেষ্টা করেছিল দুষ্কৃতী। তার পর থেকে তিনটি সুপার স্পেশ্যালিটি-সহ নানা হাসপাতালে চিকিৎসা হয়েছে তার। কিন্তু এখনও ঠিক ভাবে কথা বলতে পারে না বছর দশেকের মেয়েটি। কিন্তু কিছুটা সুস্থ হয়ে ওঠার পরে তাকে নানা ভাবে জেরা শুরু করেছিল পুলিশ। শেষমেশ মঙ্গলবার রাতে আসানসোলের ডিপোপাড়ায় ওই ঘটনায় জড়িত অভিযোগে এক ব্যক্তিকে গ্রেফতার করল পুলিশ। চতুর্থ শ্রেণির ওই ছাত্রীর উপরে কেন এমন অত্যাচার চালানো হয়েছিল, ধৃতকে জেরা করে তা জানার চেষ্টা চলছে বলে জানিয়েছে পুলিশ।

Advertisement

পুলিশ ও মেয়েটির পরিবার সূত্রে জানা গিয়েছে, ২০১৫ সালের ৭ ফেব্রুয়ারি ডিপোপাড়ায় ঘটনাটি ঘটে। বিএসএনএলের কর্মী অভিজিৎ ঘোষের মেয়ে দেবশ্রীকে অজ্ঞান করে খুনের চেষ্টা হয়। থানায় অভিযোগ করার সময়ে অভিজিৎবাবু সন্দেহভাজন হিসেবে কারও কথা বলতে পারেননি। তিনি জানিয়েছিলেন, সকালে স্ত্রীকে নিয়ে বাজারে গিয়েছিলেন তিনি। বাড়িতে মেয়ে একা ছিল। পরিচারিকা কাজ করতে এসে দেখে, দেবশ্রী রক্তাক্ত অবস্থায় পড়ে রয়েছে। ফোনে খবর পেয়ে তড়িঘড়ি বাড়ি ফিরে মেয়েকে নিয়ে হাসপাতালে যান তাঁরা।

পুলিশ জানায়, তদন্তে নেমে কোনও সূত্র মিলছিল না। মেয়েটি সুস্থ হয়ে যদি কোনও সূত্র দিতে পারে, সেই আশায় ছিল তারা। অভিজিৎবাবু জানান, প্রায় এক বছর ধরে বেঙ্গালুরুর একটি সরকারি হাসপাতাল-সহ নানা হাসপাতালে চিকিৎসা চলেছে মেয়ের। তার পরে সে খানিক সুস্থ হয়েছে। তবে এখনও সোজা হয়ে দাঁড়াতে বা হাঁটাচলা করতে পারে না। জোরে কথা বলতেও পারে না। ইশারায় নানা কথা জানাতে পারে। এক বছর আগে যে বন্ধুদের সঙ্গে খেলাধুলো করত, তাদের কথা জানতে চায় মায়ের কাছে। পুরনো বইপত্র খুলে বসে মাঝে-মধ্যেই।

Advertisement

পুলিশ জানায়, কয়েক দিন ধরে দেবশ্রীর সঙ্গে কথা বলার পরে অভিযুক্তের ব্যাপারে তথ্য মেলে। তার পরেই ধৃতিমান চট্টোপাধ্যায় নামে ওই ব্যক্তিকে ধরা হয়। সে অভিজিৎবাবুরা যে বাড়িতে ভাড়া থাকেন, সেটির মালিকের ছোট ছেলে। মঙ্গলবার রাতে বাড়ি থেকেই তাকে গ্রেফতার করা হয়। পুলিশের দাবি, তদন্তে জানা গিয়েছে, ঘটনার দিন মেয়েটি বাড়িতে ঘুমোচ্ছিল। প্রথমে গলা টিপে অজ্ঞান করে, তার পরে ধারালো অস্ত্র দিয়ে গলা কাটা হয়। পুলিশ জানায়, বিচারকের কাছে মেয়েটির গোপন জবানবন্দি নেওয়া ও অভিযুক্তের টিআই প্যারেডের আবেদন করা হয়েছে।

(সবচেয়ে আগে সব খবর, ঠিক খবর, প্রতি মুহূর্তে। ফলো করুন আমাদের Google News, X (Twitter), Facebook, Youtube, Threads এবং Instagram পেজ)

আনন্দবাজার অনলাইন এখন

হোয়াট্‌সঅ্যাপেও

ফলো করুন
অন্য মাধ্যমগুলি:
Advertisement
Advertisement
আরও পড়ুন