সরকারি জায়গায় তৃণমূল অফিস নির্মাণের নালিশ

সরকারি জায়গা দখল করে অফিসঘর তৈরির অভিযোগ উঠল তৃণমূলের বিরুদ্ধে। দুর্গাপুরের বিধাননগরে বেথুন সরণির পাশে এই অফিস নির্মাণ শুরু হয়েছে জানিয়ে বৃহস্পতিবার এডিডিএ-র কাছে অভিযোগ করেছে সিপিএম। এডিডিএ-র চেয়ারম্যান নিখিল বন্দ্যোপাধ্যায় অবশ্য বলেন, “এমন কোনও অভিযোগ এখনও হাতে পাইনি। পেলে খতিয়ে দেখা হবে।”

Advertisement

নিজস্ব সংবাদদাতা

দুর্গাপুর শেষ আপডেট: ১৬ জানুয়ারি ২০১৫ ০১:০৭
Share:

দুর্গাপুরের বেথুন সরণির সেই নির্মাণ। —নিজস্ব চিত্র।

সরকারি জায়গা দখল করে অফিসঘর তৈরির অভিযোগ উঠল তৃণমূলের বিরুদ্ধে। দুর্গাপুরের বিধাননগরে বেথুন সরণির পাশে এই অফিস নির্মাণ শুরু হয়েছে জানিয়ে বৃহস্পতিবার এডিডিএ-র কাছে অভিযোগ করেছে সিপিএম। এডিডিএ-র চেয়ারম্যান নিখিল বন্দ্যোপাধ্যায় অবশ্য বলেন, “এমন কোনও অভিযোগ এখনও হাতে পাইনি। পেলে খতিয়ে দেখা হবে।”

Advertisement

রাজ্যে তৃণমূল ক্ষমতায় আসার পরে এডিডিএ-র পরপর দুই চেয়ারম্যান দুর্গাপুর শহরে পর্ষদের জায়গা দখল করে গজিয়ে ওঠা বেআইনি দলীয় কার্যালয় ভাঙায় উদ্যোগী হন। গোড়ার দিকে কিছু কাজ হলেও পরে সেই উদ্যোগে ভাটা পড়ে। বেআইনি ভাবে গড়ে ওঠা দলের বহু কার্যালয়েই তৃণমূল নেতা-কর্মীরা বহাল তবিয়তে কাজকর্ম চালাচ্ছেন বলে অভিযোগ। সম্প্রতি বেথুন সরণির পাশে ওই জায়গা দখল করে তৃণমূল নতুন একটি কার্যালয় নির্মাণ শুরু করেছে বলে অভিযোগ উঠেছে।

দুর্গাপুর শহরে এডিডিএ-র জায়গায় বেআইনি দলীয় কার্যালয় ভাঙার অভিযান প্রথম শুরু করেন পর্ষদের তত্‌কালীন চেয়ারম্যান তথা আসানসোলের বিধায়ক তাপস বন্দ্যোপাধ্যায়। বেশ কয়েকটি নির্মাণ ভেঙেও দেন। কিন্তু হঠাত্‌ উদ্যোগ থেমে যায়। একই ছবি দেখা গিয়েছে এডিডিএ-র পরের চেয়ারম্যান তথা দুর্গাপুরের (পূর্ব) বিধায়ক নিখিল বন্দ্যোপাধ্যায়ের আমলেও। বৃহস্পতিবার তাঁরা এডিডিএ-র কাছে একটি অভিযোগ করেছেন বলে জানান দলের জেমুয়া-বিধাননগর লোকাল সম্পাদক পঙ্কজ রায় সরকার। তাঁর দাবি, বেথুন সরণির ধারে যে জায়গায় তৃণমূলের অফিসটি গড়ে উঠছে, সেটি সরকারি জায়গা। তাঁর অভিযোগ, “এমনিতেই তৃণমূলের বহু অফিস রয়েছে সরকারি জায়গায়। বেথুন সরণির পাশের অফিসটি তালিকায় নতুন সংযোজন।”

Advertisement

পঙ্কজবাবুর আরও দাবি, এই কার্যালয়টি গড়ে উঠছে স্থানীয় ২৭ নম্বর ওয়ার্ডের কাউন্সিলর তথা মেয়র পারিষদ প্রমোদ সরকারের মদতে। তাঁর কথায়, “এলাকার বহু বাসিন্দা আমাদের কাছে অভিযোগে জানিয়েছেন, স্থানীয় কাউন্সিলর এই কার্যালয়টি গড়ে তোলায় উদ্যোগী হয়েছেন। কিন্তু বাসিন্দারা অভিযোগ জানাতে ভয় পাচ্ছেন। তাই আমরা অভিযোগ করেছি।” ওই এলাকার এক বাসিন্দা নাম প্রকাশ না করার শর্তে বলেন, “রাজনৈতিক দলের কার্যালয়ে বহু মানুষ নানা সমস্যা নিয়ে আসেন। বাক-বিতণ্ডার ভয় থাকে। এ ভাবে সরকারি জায়গা দখল করে যে কোনও রাজনৈতিক দলের কার্যালয় গড়ে তোলা আমাদের পছন্দ নয়।”

মেয়র পারিষদ প্রমোদবাবুর মোবাইলে বৃহস্পতিবার বারবার ফোন করা হলেও তিনি তা ধরেননি। জবাব দেননি এসএমএসের-ও। এডিডিএ-র চেয়ারম্যান নিখিল বন্দ্যোপাধ্যায় বলেন, “এমন কোনও অভিযোগ এখনও হাতে পাইনি। পেলে তা খতিয়ে দেখা হবে।”

ন্যায্যমূল্যের ওষুধ দোকান। ন্যায্যমূল্যের একটি ওষুধের দোকান খোলা হল দুর্গাপুর মহকুমা হাসপাতালে। রাজ্য সরকার প্রতিটি মহকুমা হাসপাতালে এই দোকান খোলার সিদ্ধান্ত নিয়েছে। বৃহস্পতিবার দুর্গাপুরে তা চালু হল। এখানে ওষুধের মূল দামের উপরে ৭০ শতাংশ ছাড় পাওয়া যাবে। উদ্বোধনী অনুষ্ঠানে ছিলেন শহরের মেয়র তথা বিধায়ক অপূর্ব মুখোপাধ্যায়, এডিডিএ-র চেয়ারম্যান তথা বিধায়ক নিখিল বন্দ্যোপাধ্যায় প্রমুখ। হাসপাতালের সুপার দেবব্রত দাস জানান, এই দোকান খোলায় বহু রোগী উপকৃত হবেন।

(সবচেয়ে আগে সব খবর, ঠিক খবর, প্রতি মুহূর্তে। ফলো করুন আমাদের Google News, X (Twitter), Facebook, Youtube, Threads এবং Instagram পেজ)

আনন্দবাজার অনলাইন এখন

হোয়াট্‌সঅ্যাপেও

ফলো করুন
অন্য মাধ্যমগুলি:
Advertisement
Advertisement
আরও পড়ুন