ফিরহাদ হাকিম। —ফাইল চিত্র।
বসিরহাট, বাদুড়িয়ায় সাম্প্রতিক গোষ্ঠী সংঘর্ষের ঘটনার নেপথ্যে রয়েছে কেন্দ্রের শাসক দল। তারাই সীমান্তরক্ষী বাহিনী (বিএসএফ)-কে কাজে লাগিয়ে সীমান্তবর্তী এলাকায় গোলমাল বাঁধিয়েছে বলে দলীয় মুখপত্রের শারদ-সংখ্যায় অভিযোগ করলেন রাজ্যের নগরোন্নয়ন মন্ত্রী ফিরহাদ হাকিম।
সেখানে ফিরহাদ লিখেছেন, ‘প্রশাসনকে ব্যবহার করে মানুষকে ফাঁসিয়ে দেওয়ার ঘৃণ্য পরিকল্পনা করে চলেছে পদ্মশিবির। ...এ বারে বিএসএফকে নিষ্ক্রিয় করে দিয়ে বাংলাদেশ থেকে গরু পাচারকারীদের ঢুকিয়ে বসিরহাট, বাদুড়িয়ায় অশান্তি বাঁধিয়েছে এই অপশক্তি’। তবে বাংলার সব ধর্মের মানুষ ঐক্যবদ্ধভাবে সেই সব চক্রান্ত নস্যাৎ করেছে বলেও দাবি করেছেন ফিরহাদ।
ফিরহাদ তারকেশ্বর উন্নয়ন পর্ষদের চেয়ারম্যান। তাঁর মতো সংখ্যালঘু এক জন ব্যক্তিকে ওই পর্ষদের চেয়ারম্যান করা নিয়ে বিস্তর বিতর্ক হয়েছে। সেই বিতর্ক প্রসঙ্গে ফিরহাদ নিজেই প্রশ্ন তুলেছেন, ‘মানুষের পরিষেবার জন্য সরকারি প্রকল্প পৌঁছে দেওয়ার কাজ করতে গিয়ে এমন জাত-ধর্মের প্রশ্নের মুখে পড়তে হবে, তা কল্পনা করতে পারিনি’। মহালয়ার সন্ধ্যায় এই শারদ-সংখ্যা প্রকাশের আগের দিনই নারদ-কাণ্ডে ফিরহাদকে দীর্ঘক্ষণ জেরা করেছে সিবিআই।
মঙ্গলবার নজরুল মঞ্চে এই শারদ সংখ্যার আনুষ্ঠানিক উদ্বোধন করেন মুখ্যমন্ত্রী মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়। তিনি বলেন, ‘‘এই শারদ সংখ্যা প্রতিবাদ নথিভুক্ত করে রাখার মাধ্যমও।’’ তা ব্যবহার করে দলের অনেক নেতাই কেন্দ্রের বিরুদ্ধে খড়্গহস্ত হয়েছেন। অনেকেই জিএসটি এবং নোটবন্দিরও কড়া সমালোচনা করেছেন। রোজ ভ্যালি-কাণ্ডে হাজতবাস করা উত্তর কলকাতার সাংসদ সুদীপ বন্দ্যোপাধ্যায় কেন্দ্রের ‘নোটবন্দির সিদ্ধান্ত তড়িঘড়ি, একতরফা এবং পরিকল্পনাহীন’ বলে মন্তব্য করেছেন। তিনি লিখেছেন, ‘জিএসটি প্রয়োগের ক্ষেত্রে এমন অনেক পদক্ষেপ, এমন অনেক সামগ্রীর প্রতি বলবৎ করা হয়েছে যা সাধারণ মানুষের কাছে একেবারেই গ্রহণযোগ্য হয়ে উঠছে না’। নোটবন্দির ফলে কালো টাকা যে ফেরেনি, রিজার্ভ ব্যাঙ্কের দেওয়া তথ্য উদ্ধৃত করে কেন্দ্রকে আক্রমণ করেছেন কারিগরি শিক্ষামন্ত্রী পূর্ণেন্দু বসু এবং নির্বেদ রায়।