Lakshmi Bhandar Scheme

লক্ষ্মীর ভান্ডারের টাকা কবে পাবেন উপভোক্তারা? বিজ্ঞপ্তি জারি করে জানিয়ে দিল নবান্ন

লক্ষ্মীর ভান্ডার প্রকল্পের মাধ্যমে সাধারণ পরিবারের মহিলারা মাসিক ভাতা পান। তৃণমূল সরকারের এই প্রকল্প ইতিমধ্যেই বাংলায় বিপুল জনপ্রিয়তা পেয়েছে। প্রায় দেড় কোটি পরিবার এই প্রকল্পের আওতায় রয়েছে।

Advertisement

আনন্দবাজার ডট কম সংবাদদাতা

শেষ আপডেট: ২২ সেপ্টেম্বর ২০২৫ ১৭:২৩
Share:

—প্রতীকী চিত্র।

মুখ্যমন্ত্রী মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়ের সরকারের অন্যতম জনপ্রিয় প্রকল্প লক্ষ্মীর ভান্ডার নিয়ে নতুন বিজ্ঞপ্তি জারি করল নবান্ন। সোমবার প্রকাশিত ওই সংশোধিত বিজ্ঞপ্তিতে অর্থ দফতরের তরফে স্পষ্ট জানানো হয়েছে, সুবিধাভোগীদের ব্যাঙ্ক অ্যাকাউন্টে এই মাসের টাকা পৌঁছবে অক্টোবরের প্রথম সপ্তাহে। এর আগে ১৬ সেপ্টেম্বর বিজ্ঞপ্তি জারি করে রাজ্য সরকার জানিয়েছিল, চলতি বছরের সেপ্টেম্বরের শেষ সপ্তাহেই অর্থ প্রদান করা হবে। অর্থ দফতর সূত্রে খবর, সেই সিদ্ধান্তে পরিবর্তন আনা হয়েছে প্রশাসনিক কারণে।

Advertisement

প্রশাসন সূত্রে জানা গিয়েছে, সেপ্টেম্বর মাসের শেষ সপ্তাহে শারদোৎসবের আগে নানা আর্থিক অনুদান এবং বেতন সংক্রান্ত লেনদেনের চাপ রয়েছে। সেই কারণে একসঙ্গে বিপুল সংখ্যক লেনদেন এড়াতে লক্ষ্মীর ভান্ডারের টাকা দেওয়ার দিন কিছুটা পিছিয়ে দেওয়ার সিদ্ধান্ত নেওয়া হয়েছে। তবে সুবিধাভোগীরা যাতে সমস্যায় না পড়েন, সে জন্য অক্টোবরের প্রথম সপ্তাহে নির্দিষ্ট দিনেই টাকা ব্যাঙ্ক অ্যাকাউন্টে জমা হবে বলে নিশ্চিত করেছে নবান্ন। লক্ষ্মীর ভান্ডার প্রকল্পের মাধ্যমে সাধারণ পরিবারের মহিলারা মাসিক ভাতা পান। তৃণমূল সরকারের এই প্রকল্প ইতিমধ্যেই বাংলায় বিপুল জনপ্রিয়তা পেয়েছে। প্রায় দেড় কোটি পরিবার এই প্রকল্পের আওতায় রয়েছে। নিয়ম অনুযায়ী সাধারণ শ্রেণির মহিলারা মাসে ১০০০ টাকা এবং তফসিলি জাতি ও উপজাতির মহিলারা মাসে ১৫০০ টাকা পান। এই অর্থ সরাসরি ব্যাঙ্ক ট্রান্সফারের মাধ্যমে দেওয়া হয়। যা যে কোনও মাসের এক তারিখে উপভোক্তাদের ব্যাঙ্ক অ্যাকাউন্টে পৌঁছে যায়। কোনও মাসে এক তারিখ ছুটি হলে, পরবর্তী কর্মদিবসে লক্ষ্মীর ভান্ডারের টাকা দেওয়া হয় উপভোক্তাদের।

অক্টোবর মাসে ১ তারিখে দুর্গাপুজোর নবমী। পরদিন বিজয়াদশমী, সেই সঙ্গে গান্ধীজয়ন্তী। যে কারণে রাজ্য সরকারের সব দফতরের ছুটি। এমনিতে রাজ্য সরকারের দেওয়া ছুটির মেয়াদ শেষ হবে লক্ষ্মীপুজোর পরে। তাই মনে করা হচ্ছে, পুজোর দিনগুলি কেটে যাওয়ার পর উপভোক্তাদের অ্যাকাউন্টে টাকা দেওয়া হতে পারে। রাজ্য প্রশাসনের দাবি, তারিখ কিছুটা পিছোলেও সমস্ত যোগ্য উপভোক্তা সময়মতো টাকা পাবেন। পুজোর মরসুমে পরিবারের খরচের চাপ মেটাতে এই আর্থিক সহায়তা বড় ভূমিকা নেবে বলেই আশা করা হচ্ছে। নবান্নের বার্তা, কোনও ভাবেই সুবিধাভোগীদের অর্থ আটকে থাকবে না। সামান্য তারিখ বদল হয়েছে মাত্র।

Advertisement

জয় বাংলা প্রকল্প পশ্চিমবঙ্গ সরকারের একটি সামাজিক সুরক্ষা প্রকল্প, যার আওতায় বিভিন্ন ভাতা ও অনুদান একত্রিত করা হয়েছে। ২০২০ সালে মুখ্যমন্ত্রী মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়ের ঘোষণা অনুযায়ী, সমাজের পিছিয়ে পড়া ও আর্থিক ভাবে দুর্বল মানুষদের মাসিক আর্থিক সহায়তা দেওয়াই এর মূল উদ্দেশ্য। সেই টাকাও উপভোক্তাদের অ্যাকাউন্টে দেওয়া হবে অক্টোবর মাসের প্রথম সপ্তাহেই। নবান্নের বিজ্ঞপ্তিতে সে কথাও জানানো হয়েছে ।

আনন্দবাজার অনলাইন এখন

হোয়াট্‌সঅ্যাপেও

ফলো করুন
অন্য মাধ্যমগুলি:
আরও পড়ুন
Advertisement