ছবি: শাটারস্টক
অবশেষে আলিপুরদুয়ারের মানুষখেকো চিতাবাঘটিকে জীবিত বা মৃত অবস্থায় আটক করবার নির্দেশ জারি করল রাজ্য বন দফতর। এর আগে ওই চিতাবাঘের হামলায় চা-বাগান অঞ্চলের তিনটি শিশুর মৃত্যু হয়েছিল বলে অভিযোগ। এ ছাড়াও আরও তিনজন ব্যক্তি ওই চিতাবাঘটির হামলায় গুরুতর জখম হয়েছে বলে জানিয়েছে বন দফতর।
এই প্রথম রাজ্যের তরফে এই রকম কোনও নির্দেশ জারি করা হল। সাধারণ মানুষের উপর ক্রমাগত চিতাটির আক্রমণে জেরবার হয়ে কার্যত বাধ্য হয়েই বন দফতর এই নির্দেশিকা জারি করল বলে মত বিশেষজ্ঞ মহলের।
চিতা বাঘটির ভয়ে সাম্প্রতিক সময়ে স্থানীয় অধিবাসীদের দৈনন্দিন কাজকর্ম ব্যাহত হচ্ছিল বলে অভিযোগ উঠেছে বারবার। এমনকি বন সুরক্ষা কর্মীদের সাহায্য নিয়েই স্কুলে যেতে হচ্ছিল স্থানীয় ছাত্র-ছাত্রীদেরকেও। প্রায় দেড় মাসেরও বেশি সময় ধরে উত্তরবঙ্গের লঙ্কাপাড়া, গ্যারগেন্ডা, রামঝোরা ও তুলসিপাড়া চা-বাগান এলাকায় ত্রাস হয়ে ওঠা পূর্ণবয়স্ক চিতাবাঘটিকে সম্প্রতি চিহ্নিত করা হয়েছে। তারপরেই সেটিকে সরিয়ে ফেলার আবেদন জানিয়ে গত রাজ্যের বন্যপ্রাণ শাখার প্রধান মুখ্য-বনপাল রবিকান্ত সিনহার কাছে আবেদন জানান উত্তরবঙ্গের বন্যপ্রাণ শাখার মুখ্য-বনপাল উজ্জ্বল ঘোষ। গত সোমবার ওই আবেদনে সাড়া দিয়ে এই চূড়ান্ত সিদ্ধান্ত নেন রবিকান্ত সিনহা।
আরও পড়ুন: আরও তৎপর কেন্দ্র, রাজ্য বিজেপির কাছে কাঁথির ছবি-ভিডিয়ো চেয়ে পাঠাল রাজনাথের মন্ত্রক
যদিও এই কাজটি যে মোটেই খুব সহজ নয়, তা জানিয়েছেন রাজ্যের প্রাক্তন প্রধান বনপাল সম্পৎ সিংহ বিস্ত। এর জন্য অভিজ্ঞ শিকারীর পাশাপাশি যথেষ্ট সুরক্ষার প্রয়োজন আছে বলেও জানিয়েছেন তিনি।
আরও পড়ুন: ফের চিতাবাঘের হামলা