প্রায় তিন বছরের টানাপোড়েনের পর বীরভূমের ডেওচা-পাঁচামি কয়লা খনি হাতে পেল রাজ্য। বৃহস্পতিবার কেন্দ্রীয় কয়লা মন্ত্রক থেকে এ সংক্রান্ত চূড়ান্ত ছাড়পত্র এসেছে। প্রকল্পটি হলে বীরভূমের মহম্মদ বাজার এলাকায় ধাপে ধাপে প্রায় ২২ হাজার কোটি টাকা লগ্নি হওয়ার আশা রয়েছে। কাজ পেতে পারেন লক্ষাধিক মানুষ।
মুখ্যমন্ত্রী মমতা বন্দ্যোপাধ্যায় এ দিন রাতে বলেন,‘‘খুব ভাল লাগছে। দিল্লিতে তদ্বির করতে আমি নিজেই তিন বার গিয়েছিলাম। আমাদের রাজ্য এত বড় একটা প্রকল্প পেল। সেটা আনন্দের।’’ ডেওচা-পাঁচামিতে পাথরের খাদানের নীচে কয়লা জমে থাকার রিপোর্ট আগেই এসেছিল। কেন্দ্র প্রথমে তার স্বত্ত্ব পুরোটা রাজ্যের হাতে ছাড়তে চায়নি। রাজ্যের পাশাপাশি বিহার, কর্নাটক, পঞ্জাব, উত্তরপ্রদেশ, তামিলনাডু এবং কেন্দ্রীয় একটি সংস্থার সঙ্গে যৌথ উদ্যোগে এখানকার ১০ বর্গকিমি এলাকা থেকে কয়লা তোলার প্রস্তুতি শুরু হয়। কিন্তু অন্য রাজ্যগুলি পিছিয়ে যায়। শেষ পর্যন্ত পশ্চিমবঙ্গ একাই এই খনি হাতে নেওয়ার আর্জি জানিয়েছিল।
নবান্নের খবর, ডেওচাতে প্রায় ২১ কোটি টন কয়লা মজুত রয়েছে। কেন্দ্রীয় সরকার যে পরিমাণ কয়লা উত্তোলন হবে তার উপর রাজস্ব ভাগাভাগি করার শর্তে খনি চালানোর ছাড়পত্র দিয়েছে। তবে এখানে গড়ে ৫০০ মিটার পাথর খননের পর কয়লা মিলবে। ফলে তা কতটা লাভজনক হবে তা নিয়ে এখন নিশ্চিত নন শিল্প দফতরের কর্তারা। তাঁদের মতে, পাথর বিক্রি করে রাজস্ব বাড়াতা পারলে কয়লা তুলেও লাভ হবে।