আলিপুর জেলের বন্দিদের জন্য বারুইপুর কেন্দ্রীয় সংশোধনাগার তৈরি হয়েছে। এতেই শেষ নয়। রাজ্যে জেলের সংখ্যা ক্রমবর্ধমান। সেই তালিকায় যুক্ত হতে চলেছে পূর্ব মেদিনীপুরের তমলুক, মালদহের চাঁচল। আরও কয়েকটি জেল তৈরির জন্য জমি খুঁজছে কারা দফতর।
তমলুকের মহকুমা জেল উন্নীত হয়ে জেলা জেল হতে চলেছে। সেই জন্য পূর্ব মেদিনীপুরের নিমতৌড়িতে প্রায় ৮০ কোটি টাকা ব্যয়ে নতুন জেল ভবন তৈরি হচ্ছে। কাজ অনেকটাই এগিয়েছে। তমলুক পুরোপুরি চালু হলে রাজ্যে জেলা জেল হবে ১৪টি। চাঁচলে প্রায় ৩০ কোটি টাকা ব্যয়ে মহকুমা জেল তৈরি হচ্ছে। আজ, বুধবার তা দেখতে যাচ্ছেন কারামন্ত্রী উজ্জ্বল বিশ্বাস।
বসিরহাট মহকুমা জেল শহরের বাইরে নিয়ে যাওয়ার পরিকল্পনা চূড়ান্ত। তার জন্য জমি ব্যাপারে জেলা প্রশাসনের সঙ্গে কথা হয়েছে রাজ্য প্রশাসনের। সেটিকেও জেলা জেলে উন্নীত করা হতে পারে বলে কারা দফতরের খবর। এক কারাকর্তা বলেন, ‘‘বসিরহাট পুলিশ এবং স্বাস্থ্য জেলা হয়েছে। প্রশাসনিক ক্ষেত্রে উত্তর ২৪ পরগনা থেকে আলাদা জেলা হওয়ার পথে বসিরহাট। সেটা মাথায় রেখেই এই পরিকল্পনা।’’
বারাসত উত্তর ২৪ পরগনার জেলা সদর হলেও সেখানে পৃথক জেলা জেল নেই। ফলে জেলার বন্দিদের ভিড়ের চাপ পড়ে দমদম জেলে। জেলায় মহিলা বন্দিদের রাখার জায়গা নেই। দমদমেই রাখতে হয় তাঁদের। তাই বারাসতে জেলা জেল দরকার বলে মত কারাকর্তাদের। মূল শহরের বাইরে তার জন্য জমির খোঁজ চলছে। বাঁকুড়ার খাতড়া, দক্ষিণ ২৪ পরগনার কাকদ্বীপেও মহকুমা জেল তৈরির পরিকল্পনা আছে।
এত জেল তৈরি বা উন্নীত করার কারণ কী? এক কারাকর্তা জানান, প্রায় সব মহকুমাতেই আদালত রয়েছে। জেল বাড়লে বিচারাধীন বন্দিদের সেখানে নিয়ে যেতে সুবিধা হবে, অন্যান্য জেলের উপরেও চাপ কমবে। সেন্ট্রাল জেলগুলিতে বন্দির সংখ্যা বেশি বলে বিভিন্ন সময়ে অভিযোগ তুলেছে মানবাধিকার সংগঠন।। নিয়ম অনুযায়ী দণ্ডিত বন্দিদের মহকুমা জেলে রাখা যায় না। তাঁদের সেন্ট্রাল বা জেলা জেলে রাখতে হয়। তবে কয়েকটি ক্ষেত্রে বিশেষ অনুমতি-অনুমোদনের ভিত্তিতে কয়েক জন সাজাপ্রাপ্তকে মহকুমা সংশোধনাগারে রাখা হয়েছে। রাজ্যে সেন্ট্রাল, জেলা, মহকুমা, স্পেশ্যাল, ওপেন এবং মহিলাদের জেল মিলিয়ে ৬০টি সংশোধনাগার রয়েছে। সব মিলিয়ে বন্দির সংখ্যা ২৪ হাজারের অল্প কিছু বেশি।