ই-মেলে মনোনয়ন, হস্তক্ষেপে বিরত হাইকোর্ট

ওই সিদ্ধান্তকে চ্যালেঞ্জ করে হাইকোর্টের বিচারপতি বিশ্বনাথ সমাদ্দারের ডিভিশন বেঞ্চে আপিল মামলা দায়ের করতে চলেছে সিপিএম।

Advertisement

নিজস্ব সংবাদদাতা

কলকাতা শেষ আপডেট: ২৬ মে ২০১৮ ০৪:৫৫
Share:

ফাইল চিত্র।

ভাঙড়ের জমি আন্দোলনকারীদের হোয়াটসঅ্যাপ-এ মনোনয়ন জমা দেওয়ার ব্যবস্থা করেছে কলকাতা হাইকোর্ট। এ বার ই-মেল মারফত মনোনয়ন পত্র জমা নেওয়ার আবেদন জানিয়ে কলকাতা হাইকোর্টের দ্বারস্থ হয়েছিল সিপিএম। বুধবার বিচারপতি সুব্রত তালুকদার সে ব্যাপারে হস্তক্ষেপ করতে চাননি। কমিশনই এ ব্যাপারে সিদ্ধান্ত নেবে বলে জানিয়ে দিয়েছেন বিচারপতি তালুকদার। ওই সিদ্ধান্তকে চ্যালেঞ্জ করে হাইকোর্টের বিচারপতি বিশ্বনাথ সমাদ্দারের ডিভিশন বেঞ্চে আপিল মামলা দায়ের করতে চলেছে সিপিএম।

Advertisement

এ দিন সিপিএমের পক্ষে বিকাশরঞ্জন ভট্টাচার্য আদালতে জানান, হাইকোর্টের নির্দেশ সত্ত্বেও বিরোধীদের বহু প্রার্থী বিডিও বা এসডিও অফিসে গিয়ে মনোনয়ন পত্র জমা দিতে পারেননি। পুলিশের সামনেই তাঁদের বাধা দেওয়া হয়েছে। সেই কারণে ওই প্রার্থীরা সরাসরি ই-মেলে মনোনয়ন জমা দিয়েছেন। হাইকোর্ট রাজ্য নির্বাচন কমিশনকে নির্দেশ দিক, সেই সব মনোনয়ন বৈধ বলে ঘোষণা করতে।

একই সঙ্গে বিকাশবাবু জানান, ভাঙড়ের পোলেরহাট-২ নম্বর গ্রাম প়ঞ্চায়েতে ১৬টি আসনের মধ্যে ৯টি আসনে বিরোধীরা হোয়াটসঅ্যাপের মাধ্যমে মনোনয়ন দিয়েছেন। হাইকোর্টের নির্দেশ পেয়ে তাঁদের মনোনয়ন গ্রহণও করেছে নির্বাচন কমিশন। রাজ্যের অন্যত্র বিরোধীদের ই-মেল মারফত মনোনয়ন পেশের সুযোগ দেওয়া উচিত।

Advertisement

বিচারপতি তালুকদার নির্বাচন কমিশনের সচিব নীলাঞ্জন শান্ডিল্যর কাছে জানতে চান, এ নিয়ে তাঁর কী বলার আছে? সচিব জানান, পঞ্চায়েত আইন অনুযায়ী, প্রার্থী বা প্রার্থীর যিনি প্রস্তাবক তাঁকে সশরীরে হাজির হয়ে মনোনয়ন পত্র জমা দিতে হয়। পোলেরহাট-২ নম্বর গ্রাম পঞ্চায়েতের ক্ষেত্রে বিশেষ পরিস্থিতি তৈরি হয়েছিল। সেই কারণে হাইকোর্টের নির্দেশ মেনে ৯ জনের মনোনয়নকে বৈধতা দেওয়া হয়েছে। ই-মেল মারফত মনোনয়ন গ্রহণ এখন সম্ভব নয়।

সচিবের বক্তব্য শুনে বিচারপতি তালুকদার জানিয়ে দেন, আদালত এই ব্যাপারে হস্তক্ষেপ করবে না। তিনি কোনও নির্দেশ দেবেন না।

এ দিনই রাজ্য পুলিশের ডিজি ও রাজ্য নির্বাচন কমিশনের বিরুদ্ধে আদালত অবমাননার মামলার শুনানি হয় বিচারপতি তালুকদারের আদালতে। সিপিএম ওই মামলা দায়ের করেছে। দলের পক্ষে বিকাশবাবু জানান, আদালতের নির্দেশ অমান্য করেছেন নির্বাচন কমিশনার ও পুলিশের ডিজি। পুলিশের সামনেই বিরোধীদের মারধর করে মনোনয়ন জমা দেওয়ার জায়গা থেকে তাড়িয়ে দেওয়া হয়েছে। আদালত ডিজি ও কমিশনারের বিরুদ্ধে আদালত অবমাননার রুল ইস্যু করুক। বিচারপতি জানিয়ে দেন, তিনি মামলাটি গ্রহণ করছেন। বিচারপতি তালুকদার বিকাশবাবুকে নির্দেশ দেন, ডিজি ও কমিশনারকে নোটিস পাঠাতে। মামলার শুনানি হবে জুন মাসে।

(সবচেয়ে আগে সব খবর, ঠিক খবর, প্রতি মুহূর্তে। ফলো করুন আমাদের Google News, X (Twitter), Facebook, Youtube, Threads এবং Instagram পেজ)

আনন্দবাজার অনলাইন এখন

হোয়াট্‌সঅ্যাপেও

ফলো করুন
অন্য মাধ্যমগুলি:
Advertisement
Advertisement
আরও পড়ুন