বিজেপির রথযাত্রার অনুমতি দিল না সুপ্রিম কোর্ট।
পঞ্চায়েত ভোট সংক্রান্ত মামলার রায়দান আজ। সুপ্রিম কোর্ট কী রায় দেয় তা নিয়েই একটা টানটান উত্তেজনা তৈরি হয়েছে। রাজ্য সরকারের পক্ষে রায় যাবে, না কি বড়সড় ধাক্কা অপেক্ষা করছে তৃণমূল সরকারের জন্য সে দিকেই তাকিয়ে সমস্ত রাজনৈতিক দল।
সুপ্রিম কোর্টের প্রধান বিচারপতি দীপক মিশ্রের নেতৃত্বাধীন ডিভিশন বেঞ্চে এই মামলার শুনানি হবে। পঞ্চায়েত ভোট ঘিরে হিংসা এবং সেই ভোটে রাজ্য সরকার এবং নির্বাচন কমিশনের ভূমিকা নিয়ে বিরোধী দলগুলি মামলা করে। বেশ কয়েকটি জনস্বার্থ মামলাও হয় কলকাতা হাইকোর্টে। সুপ্রিম কোর্ট পর্যন্ত গড়ায় সেই মামলা। কলকাতা হাইকোর্ট তো বটেই, শীর্ষ আদালতেও রাজ্য সরকার এবং নির্বাচন কমিশনের ভূমিকা বার বার প্রশ্নের মুখে পড়ে।
গত ৩ জুলাই শীর্ষ আদালতে মামলাটির শুনানি হয়। পঞ্চায়েত ভোটে বিনা যুদ্ধে জয়ীর সংখ্যা জেনে ‘স্তম্ভিত’ হয় শীর্ষ আদালত। প্রধান বিচারপতি দীপক মিশ্র এ নিয়ে রাজ্য কমিশনকে তীব্র ভর্ত্সনাও করেন। সেই সঙ্গে বিনা প্রতিদ্বন্দ্বিতায় জয়ী আসনগুলি নিয়ে সমস্ত তথ্য-সহ হলফনামা জমা দেওয়ার নির্দেশ দেন।
আরও পড়ুন: বাংলায় আসনের কী হাল, সমীক্ষায় সিপিএম-কংগ্রেস
প্রধান বিচারপতি বলেন, “বিপুল সংখ্যক আসনে কোনও প্রতিদ্বন্দ্বিতা হয়নি। এটা জানার পর নিষ্ক্রিয় হয়ে বসে থাকা সম্ভব নয়। ৪৮ হাজার গ্রাম পঞ্চায়েত আসনের মধ্যে প্রায় ১৬ হাজার আসনে কোনও প্রতিদ্বন্দ্বিতা হয়নি। এটা সত্যিই ধাঁধা। পঞ্চায়েত সমিতি ও জেলা পরিষদের আসনগুলিতেও একই চিত্র সামনে আসছে।’’
সাম্প্রতিক পঞ্চায়েত নির্বাচনে ৪৮,৬৫০ টি গ্রাম পঞ্চায়েত আসনের ১৬,৮১৪ টি আসনে বিনা প্রতিদ্বন্দ্বিতায় জয় পায় তৃণমূল কংগ্রেস। পাশাপাশি ৯,২১৭ টি পঞ্চায়েত সমিতি আসনের মধ্যে ৩,০৫৯ টি ও ৮২৫ টি জেলা পরিষদ আসনের মধ্যে ২০৩ টি আসনে বিনা যুদ্ধে জয়ী হয় তৃণমূল কংগ্রেস।
আরও পড়ুন: বিধায়ককে হেনস্থা, অভিযুক্ত বিজেপি
পঞ্চায়েত ভোটের ফল ঘোষণার পরে গেজেট-বিজ্ঞপ্তি জারি করে বিজয়ী প্রার্থীদের নাম প্রকাশ করা হয়। তবে যাঁরা বিনা প্রতিদ্বন্দ্বিতায় নির্বাচিত হয়েছেন, তাঁদের ক্ষেত্রে কোনও ঘোষণা হয়নি। কারণ বিষয়টি বিচারাধীন। চলতি মাসের মাঝামাঝি পঞ্চায়েতগুলির মেয়াদ শেষ হওয়ার কথা। ভোটের ফলাফলের ভিত্তিতে পঞ্চায়েতের ত্রিস্তরেই বোর্ড গঠনের প্রস্তুতি সেরে রেখেছে রাজ্য সরকার। যদি কোনও বোর্ড গঠন করা না-যায়, সেখানে এক জন অফিসার তা দেখাশোনা করবেন বলে স্থির হয়েছে।