ফাইল চিত্র।
ভোট প্রক্রিয়ার উপর স্থগিতাদেশ রয়েছে। তবুও শনিবার ছুটির দিনে কাজের শেষ নেই রাজ্য নির্বাচন কমিশনের আধিকারিকদের। আগামিকাল, সোমবার কলকাতা হাইকোর্ট মামলা রয়েছে। তারই প্রস্তুতিতে এ দিন ব্যস্ত থেকেছে রাজ্য নির্বাচন কমিশনের দফতর।
কমিশনের আধিকারিকদের একাংশ জানাচ্ছেন, মোট কত মনোনয়নপত্র জমা পড়েছে, স্ক্রুটিনির পরে সেগুলির কী অবস্থা, কত সংখ্যক মনোনয়নপত্র চূড়ান্ত হয়েছে— তারই খুঁটিনাটি রিপোর্ট তৈরি করা হচ্ছে।
বিরোধীদের অভিযোগ ছিল, মনোনয়নপত্র জমা দেওয়ায় বাধা পেয়েছেন তাঁদের প্রার্থীরা। কমিশনের ভূমিকা নিয়েও প্রশ্ন তুলেছিলেন বিরোধীরা। মনে করা হচ্ছে, এ বার আদালতেও কোনও প্রশ্ন উঠলে তার উপযুক্ত উত্তর তৈরি রাখতে চাইছে কমিশন। সেই দিক থেকে এ পর্যন্ত মোট কত অভিযোগপত্র কমিশনে জমা পড়েছে এবং সেগুলির ব্যাপারে কী পদক্ষেপ করা হয়েছে, নিজস্ব রিপোর্টে তার বর্ণনাও রাখতে পারেন কমিশনের
কর্তারা। একেকটি অভিযোগ পাওয়ার পরে রাজ্য নির্বাচন কমিশনার নিজে থেকে জেলা এবং রাজ্য প্রশাসনের শীর্ষকর্তাদের সঙ্গে কী ভাবে যোগাযোগ করে উপযুক্ত পদক্ষেপের পক্ষে সওয়াল করেছিলেন, তার প্রতিফলনও থাকতে পারে কমিশনের রিপোর্টে।
ভোটপ্রক্রিয়া আপাতত স্থগিত থাকলেও পর্যবেক্ষদের অনেকেই জেলায় জেলায় রয়েছেন। জেলা পর্যবেক্ষকদের কারও কারও দাবি, ভোট প্রক্রিয়া না চললেও প্রায়ই প্রতিনিয়ত নানা ধরনের অভিযোগ সামলাতে হচ্ছে তাঁদের। ফলে সর্বশেষ সেই তথ্যগুলিও কমিশনের রিপোর্টের অন্তর্ভুক্ত থাকতে পারে বলে মনে করছেন অভিজ্ঞ কর্তাদের কেউ কেউ।