পঞ্চায়েত নির্বাচনে মৃত রাজনৈতিক কর্মীদের পরিবারের পাশে তাঁর সরকার থাকবে বলে বৃহস্পতিবার নবান্নে আশ্বাস দিয়েছিলেন মুখ্যমন্ত্রী মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়। নবান্ন সূত্রের খবর, শুক্রবার সিদ্ধান্ত হয়েছে, তাঁদের নির্বাচনের দিন মৃত ১৪ জনের পরিবারকে রাজ্যের পক্ষ থেকে দু’লক্ষ টাকা করে ক্ষতিপূরণ দেওয়া হবে।
মমতা নবান্নে জানিয়েছিলেন, তাঁর দলের জয় তিনি মানুষের জন্য উৎসর্গ করেছেন। যাঁরা মারা গিয়েছেন, তাঁরা যে-দলেরই হোন, তাঁদের পরিবারকে তিনি দেখবেন। মুখ্যমন্ত্রীর মতে, শহিদদের মধ্যে তারতম্য হয় না। তাঁরা যে-ঘটনাতেই মারা যান, তাঁদের পরিবারকে দেখার দায়িত্ব সরকারের। তাঁদের পরিবারকে নিরাপত্তা দেওয়া দরকার। ‘‘আমি করলে সবার জন্যই করব,’’ বলেছিলেন মমতা।
এ বছর পঞ্চায়েত নির্বাচনের দিন রাজনৈতিক সংঘর্ষে বা অন্যান্য কারণে যাঁরা মারা গিয়েছেন, তাঁদের মধ্যে তৃণমূলকর্মী ছাড়াও সিপিএম এবং অন্যান্য রাজনৈতিক দলের কর্মী আছেন। তবে মমতার দাবি, ভোটে তাঁর দলেই প্রাণহানি বেশি।
প্রিসাইডিং অফিসার রাজকুমার রায়ের মৃত্যুতে পাঁচ লক্ষ টাকা ক্ষতিপূরণ ছাড়াও তাঁর স্ত্রীকে সরকারি চাকরি দেওয়া হচ্ছে। বিজেপির দাবি, রাজকুমার তাদের সমর্থক ছিলেন। তাঁর মৃত্যুর সিবিআই তদন্ত চেয়ে তারা জনস্বার্থ মামলা করবে।
কলেজ-বিশ্ববিদ্যালয়ের বাম শিক্ষক সংগঠন ওয়েবকুটা-ও রাজ্যপাল কেশরীনাথ ত্রিপাঠীকে চিঠি লিখে দাবি জানিয়েছে, ভোটের কাজ করতে গিয়ে শিক্ষক রাজকুমারের মৃত্যু কী ভাবে হল, সিবিআই-কে দিয়ে তার তদন্ত করানো হোক। ওয়েবকুটা-র দাবি, তাঁর পরিবারকে ক্ষতিপূরণ দিতে হবে। আগামী দিনে ভোটকর্মীদের জন্য নিরাপত্তা সুনিশ্চিত করতে হবে। সেই সঙ্গে ভবিষ্যতে শিক্ষকদের যাতে নির্বাচনী কর্মকাণ্ডের বাইরে রাখা হয়, চিঠিতে সেই আবেদনও জানানো হয়েছে বলে জানাচ্ছেন ওয়েবকুটা-র সাধারণ সম্পাদক শ্রুতিনাথ প্রহরাজ।