প্রচার: তৃণমূলের হয়ে ভোট চাইছেন তিন বিজেপি প্রার্থী। বুধবার কালনায়। —নিজস্ব চিত্র।
রাতারাতি দল বদলালেন পূর্ব বর্ধমানের কালনা ১ ব্লকের নান্দাই পঞ্চায়েত এলাকার তিন বিজেপি প্রার্থী। বুধবার তাঁরা পথেও নামলেন তৃণমূলের হয়ে ভোট চেয়ে।
এ দিন সকালে এলাকার অনেকেই অবাক হয়ে দেখেন, কালনা ১ পঞ্চায়েত সমিতির বিজেপি প্রার্থী ঝুমা হালদার, নান্দাই পঞ্চায়েতের আসাননগরের বিজেপি প্রার্থী বাবলু হালদার এবং আশ্রমপাড়ার প্রার্থী অনিতা বিশ্বাসের স্বামী অলোক বিশ্বাস তৃণমূলের পতাকা হাতে প্রচার শুরু করেছেন। তাঁদের দাবি, রাজ্য সরকারের ‘উন্নয়ন’ দেখেই দলবদলের সিদ্ধান্ত। বিজেপির অভিযোগ, ওই তিন জনকে চাপ দিয়ে দলবদল করিয়েছে তৃণমূল। এলাকার তৃণমূল নেতা রাজকুমার পাণ্ডের যদিও বক্তব্য, ‘‘ওঁদের ভুল বুঝিয়ে বিজেপি প্রার্থী করেছিল। দেরিতে হলেও ভুল বুঝতে পেরেছেন। যে আসনে ওঁরা দাঁড়িয়েছেন, সেগুলিতে যাতে তৃণমূল প্রার্থীকে মানুষ ভোট দেন, সেই মর্মে লিখিত আবেদনেও সই করেছেন।’’
মনোনয়ন পর্ব শেষ হওয়ার পরেই জেলায় জেলায় বিরোধী প্রার্থীদের শাসকদলে নাম লেখানোর ঘটনা সামনে আসছে। মঙ্গলবার সন্ধ্যায় নদিয়ার হাঁসখালি ব্লকের দলুই গ্রামে প্রকাশ্য সভায় তৃণমূলে যোগ দেন স্থানীয় পঞ্চায়েত সমিতির মামজোয়ান এলাকার বিজেপি প্রার্থী চারুমিহির সরকার। মামজোয়ান গ্রাম পঞ্চায়েতের বিজেপি প্রার্থী রমেন্দ্রনাথ সরকারও তৃণমূলে যোগ দিয়েছেন। বিজেপির অভিযোগ, যাঁদের ভয় দেখিয়ে মনোনয়ন প্রত্যাহার করানো যায়নি, এ ভাবে তাঁদের লড়াই থেকে সরিয়ে দেওয়া হচ্ছে। যদিও তৃণমূলের দাবি, উন্নয়নের টানেই বিরোধীরা দল বদলাচ্ছেন।
‘উন্নয়ন’ দেখে শিবির বদলেছেন বীরভূমের ময়ূরেশ্বর ২ ব্লকের উলকুন্ডা পঞ্চায়েতের তিন জন বিজেপি প্রার্থী দীপঙ্কর বাগদি, ছবি ভল্লা ও প্রভাত দাসও। বুধবার তাঁরা তৃণমূলের স্থানীয় কার্যালয়ে গিয়ে ভোটের লড়াই থেকে সরে দাঁড়ানোর কথা ঘোষণা করেন।