তাঁর সই জাল করে মনোনয়ন প্রত্যাহার করা হয়েছে বলে কলকাতা হাইকোর্টে অভিযোগ করেছিলেন দক্ষিণ ২৪ পরগনার বারুইপুরের শঙ্করপুর-২ নম্বর গ্রাম পঞ্চায়েতের নির্দল প্রার্থী রেহানা বিবি। শুক্রবার বিচারপতি সুব্রত তালুকদারের এজলাসে মনোনয়ন প্রত্যাহারের ফর্মের সইয়ের সঙ্গে রেহানার সই মিলিয়ে দেখেন হস্তলিপি বিশেষজ্ঞ। আগামী সোমবার তাঁর রিপোর্ট দেওয়ার কথা। আদালত তার আগে ওই আসনে ভোটপ্রক্রিয়া স্থগিত রাখার নির্দেশ দিয়েছেন বলে রেহানার আইনজীবী সুব্রত মুখোপাধ্যায়ের দাবি।
সুব্রতবাবু এ দিন জানান, প্রতীকের বিষয়ে কথা বলতে রেহানা যখন বারুইপুর বিডিও অফিসে যান, তখন তাঁকে বলা হয় যে তিনি মনোনয়ন প্রত্যাহার করেছেন। অথচ রেহানা মনোনয়ন প্রত্যাহারের ফর্মে কোনও সই করেননি। একটি ভুয়ো স্বাক্ষর করা হয়েছে।
শঙ্করপুর-২ গ্রাম পঞ্চায়েতের ১২টি আসনের মধ্যে ১১টি আসনে নির্দল প্রার্থীরা প্রতিদ্বন্দ্বিতা করছেন। স্থানীয় সূত্রে খবর, বিরোধী দলের পাশাপাশি তৃণমূলের বিক্ষুব্ধ নেতাদেরও কেউ কেউ নির্দল প্রার্থী হয়েছেন।
এ দিনই বারুইপুর বিডিও অফিসের সামনে বিক্ষোভ দেখান রেহানার অনুগামীরা। তাঁদের অভিযোগ, কী ভাবে এমন ঘটনা ঘটল, তার সদুত্তর প্রশাসন দেয়নি। অথচ গোড়া থেকেই বারুইপুর ব্লকে নির্বাচনের দায়িত্বপ্রাপ্ত আধিকারিকেরা জানিয়েছিলেন, তাঁরা বিষয়টি দেখছেন। রেহানার অনুগামীদের বক্তব্য, ‘‘সরকারি কর্মীদের গাফিলতি এবং শাসক দলের একাংশের ষড়যন্ত্রে আমাদের প্রার্থী গণতান্ত্রিক অধিকার থেকে বঞ্চিত হচ্ছেন।’’
বিষয়টি নিয়ে ইতিমধ্যেই বারুইপুর বিডিওর সঙ্গে কথা বলেছে রাজ্য নির্বাচন কমিশন। যদিও বিচারাধীন বিষয় বলে কমিশনের তরফে কেউ কোনও মন্তব্য করেননি।