পঞ্চায়েত ভোটে একদা বুথওয়াড়ি গণনা হত। তা পরিবর্তন করে ইদানীং কেন্দ্রীয় ভাবে ব্লকওয়াড়ি গণনা শুরু হয়েছে। এ বারের পঞ্চায়েত ভোটেও তা-ই গণনা হবে। বিরোধীদের আশঙ্কা, সন্ত্রাসের পরিবেশ তৈরি করে মনোনয়ন জমা দিতে বাধা দিয়েছে তৃণমূল। গণনাও ‘লুঠ’ করতে চায় তারা। সে কারণেই কেন্দ্রীয় ভাবে গণনার আয়োজন। বিরোধীদের দাবি, শাসক দল গণনাকেন্দ্রে গোলমাল করলে তারা প্রতিরোধ করবেন।
বিরোধীদের অভিযোগ অবশ্য মানতে নারাজ কমিশন। তাদের মতে, নিরাপত্তা ব্যবস্থা জোরদার করতেই কেন্দ্রীয় ভাবে গণনার আয়োজন। বুথওয়া়ড়ি হলে গোলমালের আশঙ্কা বেশি থাকে। সব জায়গায় সমান ভাবে নিরাপত্তা দেওয়া যায় না। কেন্দ্রীয় ভাবে গণনা হলে নিরাপত্তা মজবুত করা যাবে। এ বার বুথওয়াড়ি নিরাপত্তায় এক জন সশস্ত্র পুলিশের সঙ্গে লাঠিধারী হিসাবে সিভিক ভলান্টিয়ারেরা থাকবেন। বুথে গণনা হলে যা নিরাপত্তার জন্য যথেষ্ট নয়।
কমিশন ৩৩০টি গণনাকেন্দ্রেই ভিডিয়োগ্রাফির ব্যবস্থা করতে চায়। তাদের মতে, ভিডিয়োগ্রাফির ব্যবস্থা হলে গণনা নিয়ে কোনও অভিযোগ এলে বিষয়টির সত্যতা যাচাই করতে অনেকটাই সুবিধা হবে।
রাজনৈতিক বিশ্লেষকদের মতে, বুথওয়াড়ি গণনা হলে শাসক দলের ক্ষেত্রে শক্তি প্রদর্শনের সুযোগ থাকে। কিন্তু কিছু ক্ষেত্রে বিরোধীরাও শক্তি দেখাতে পারে। ফলে কেন্দ্রীয় ভাবে গণনা হলে বেশি সুবিধা শাসকেরই। এমনকী, কেন্দ্রীয় ভাবে কর্মীদের জড়ো করে বিরোধীদের সরিয়ে দিতেও তাদের সুবিধা হতে পারে বলে বিশ্লেষকদের আশঙ্কা। তৃণমূল অবশ্য এই সব আশঙ্কাকে আমল দিচ্ছে না। তাদের মতে, ভোটে হার নিশ্চিত জেনেই এই ধরনের অভিযোগ করছে বিরোধীরা।