সুপ্রিম কোর্ট বলেছে, পঞ্চায়েত ভোটে সকলে যাতে গণতান্ত্রিক অধিকার প্রয়োগ করতে পারেন, তা রাজ্য নির্বাচন কমিশনকেই দেখতে হবে। ওই নির্দেশকে হাতিয়ার করেই বাধাপ্রাপ্ত প্রার্থীদের কমিশনে মনোনয়ন জমা নেওয়ার দাবি তুলল বিরোধীরা। এবং চাপের মুখে এই প্রথম কমিশনে জমা নেওয়া হল ১৪৩ জন প্রার্থীর মনোনয়নপত্র।
তবে সেই মনোনয়ন আদৌ স্বীকৃত হল কি না, তা নিয়ে বিভ্রান্তি এবং টানাপড়েন অব্যাহত সোমবার রাত পর্যন্ত। আইন অনুযায়ী, কমিশন তার দফতরে মনোনয়ন গ্রহণ করতে পারে না। ভাঙড়ে জমি আন্দোলনের সঙ্গে যুক্ত তিন ব্যক্তি সুলতান হুসেন মোল্লা, আজিজুল মোল্লা এবং ছেলেয়ারা বিবির মনোনয়ন সরাসরি কমিশনকেই জমা নিতে হবে বলে এ দিন রায় দেন কলকাতা হাইকোর্টের বিচারপতি ববি শরাফ। তার পরেই ভাঙড়ের জমিরক্ষা কমিটি কমিশনে গিয়ে মনোনয়ন দিতে তৎপর হয়। তাদের তরফে ৯ জন এবং দক্ষিণ ২৪ পরগনা থেকে সিপিএমের ১৩৪ জন প্রার্থীর মনোনয়ন গ্রহণ করা হয় সেখানে। উপরন্তু, সুজন চক্রবর্তী, শমীক লাহিড়ীদের দাবির মুখে রাজ্য নির্বাচন কমিশনার এ কে সিংহ সংশ্লিষ্ট মহকুমাশাসকদের প্রতি নির্দেশিকা জারি করেন, ওই ১৩৪ জনের মনোনয়ন তাঁদের কাছে বেলা ৩টের পরে পৌঁছলেও তা গ্রহণ করতে হবে।
একই সময়ে কমিশনে হাজির ছিল মুকুল রায়ের নেতৃত্বে বিজেপির একটি দল। কিন্তু তারা কোনও মনোনয়ন জমা দেয়নি। সন্ধ্যায় আবার কমিশনারের সঙ্গে দেখা করে বেরিয়ে বিজেপির কেন্দ্রীয় সম্পাদক রাহুল সিংহ বলেন, ‘‘কমিশন মনোনয়ন জমা নেওয়ার জায়গা নয়। লোক দেখানোর জন্য কিছু করে লাভ নেই!’’ রবীন দেবের নেতৃত্বে বামেদের একটি দল রাতে গিয়ে অবশ্য কমিশনারের সাক্ষাৎ পায়নি। রবীনবাবুদের অভিযোগ, দুপুরে কমিশনে জমা দেওয়া মনোনয়ন এখনও সংশ্লিষ্ট জায়গায় স্বীকৃত হয়নি। মনোনয়ন বাতিল হলে কমিশনারের জারি করা নির্দেশিকা নিয়ে তাঁরা আদালতের দ্বারস্থ হবেন।