আহত বিশু রাহা।
বিরোধী হলেই কি গুলি খেতে হবে? নইলে কেন আমাকে খুনের চেষ্টা করা হবে? আমি বিশু রাহা, কেউকেটা কেউ নই। বেলঘরিয়া ২ নম্বর গ্রাম পঞ্চায়েতে নির্দল প্রার্থী হিসেবে প্রতিদ্বন্দ্বিতা করছেন আমার বৌদি কমলা রাহা। তখন সকাল ছ’টা সাড়ে ছ’টা হবে। সামান্য দুটো খেয়ে ছুটে এসেছিলাম ভোট কেন্দ্রে। কিন্তু সেখানে যে বিপদ লুকিয়ে রয়েছে, তা আঁচ পর্যন্ত করতে পারিনি।
আচমকাই এলাকায় হাজির জনা চল্লিশেক যুবক। ওদের প্রত্যেককে আমি চিনি। সুজয়, মণ্ডল ও সঞ্জয়, আরও ছিল দলে। প্রত্যেকেই শান্তিপুরের বিধায়ক অরিন্দম ভট্টাচার্যের অনুগত। ওরা বুথ দখলের চেষ্টা করছে দেখে আমি প্রতিবাদ করেছিলাম। আমার বৌদি যে প্রার্থী, এটুকু তো আমাকে করতেই হত। কিন্তু ওরা আমাদের ঘিরে ধরে মারধর শুরু করে দিল। ঘুষি, লাথি, যে যেমন ভাবে পারে মারছিল।
প্রতিরোধ করার চেষ্টা করতেই সুজয় পিস্তল বের করে আমায় লক্ষ্য করে গুলি চালিয়ে দিল। বুকে লেগেছিল গুলিটা। আমার মনে হল, বোধহয় এখানেই শেষ। মরেই যাব। রক্তে মাখামাখি অবস্থা। মাটিতে পড়ে রয়েছি। কিন্তু কী আশ্চর্য! পুলিশ তো আমাদের সাহায্য করল না। উল্টে আমার সঙ্গে যাঁরা ছিলেন, তাঁদের মারধর করতে লাগল।
আরও পড়ুন: হারের আশঙ্কা সম্ভাব্য সভাধিপতির, রাত থেকেই বোমাবাজি শুরু স্বরূপনগরে
আরও পড়ুন : কাকদ্বীপে পুড়িয়ে খুনের অভিযোগ সিপিএম কর্মী এবং তাঁর স্ত্রীকে
কোনওক্রমে আমাকে ঘটনাস্থল থেকে বের করে ভর্তি করা হয় শান্তিপুর স্টেট জেনারেল হাসপাতালে। সেখান থেকে আনা হয় কলকাতায়। এসএসকেএম হাসপাতালে। আমি এখন চিকিত্সাধীন। আমার দাবি, যারা আমার উপর হামলা চালিয়েছে, তাদের প্রত্যকের বিরুদ্ধে কঠোর ব্যবস্থা নেওয়া হোক। আর ইস্তফা দিন বিধায়ক অরিন্দম ভট্টাচার্য।