Panchayat Poll 2018

প্রচার শেষ, কাল পঞ্চায়েত ভোট

সাম্প্রতিক অতীতের দীর্ঘতম আইনি টানাপড়েনে পড়েছিল রাজ্যের সপ্তম পঞ্চায়েত নির্বাচন। হাইকোর্ট থেকে সুপ্রিম কোর্ট—অসংখ্য মামলা আর পাল্টা মামলা চলেছে প্রায় একমাস ধরে।

Advertisement

নিজস্ব সংবাদদাতা

কলকাতা শেষ আপডেট: ১৩ মে ২০১৮ ০৩:২৫
Share:

প্রতীকী ছবি।

আইনি লড়াই পেরিয়ে নির্ঘন্ট যখন নিশ্চিত হল, হাতে সময় তখন তিনদিন। সেই মতোই এবারের পঞ্চায়েত নির্বাচনের পূর্ণাঙ্গ প্রচার শেষ হল শনিবার বিকালে। শুধু তাই নয়, বিনাপ্রতিদ্বন্দ্বিতার কারণে রেকর্ড সংখ্যক আসনে নির্বাচন না থাকাও এবারের প্রচার পর্বকে অনেকটাই ম্রিয়মাণ করেছে।

Advertisement

সাম্প্রতিক অতীতের দীর্ঘতম আইনি টানাপড়েনে পড়েছিল রাজ্যের সপ্তম পঞ্চায়েত নির্বাচন। হাইকোর্ট থেকে সুপ্রিম কোর্ট—অসংখ্য মামলা আর পাল্টা মামলা চলেছে প্রায় একমাস ধরে। নির্বাচন ঘোষণার পর প্রস্তুতি থাকলেও ভোটের চেনা প্রচারে পুরোপুরি নামতে পারেনি প্রায় কোনও দলই। বিশেষ করে মনোনয়ন ও ভোটের দিনক্ষণ বদল হওয়ার কারণে এই প্রক্রিয়া বাধা পেয়েছে বারবার। ভোটের অনিশ্চয়তা নিয়ে এই দড়ি টানাটানিতে অনেক ক্ষেত্রেই ঢিলে পড়েছে প্রচারের কাজ। ফলে সাধারণত নির্বাচনী প্রচারে যে মেজাজ থাকে, এবার তা দেখা যায়নি প্রায় কোনও জেলায়।

গত ৩১ মার্চ প্রথম বার ভোটের দিনক্ষণ ঘোষণা করেছিল রাজ্য নির্বাচন কমিশন। কিন্তু সেই পর্ব থেকে শুরু হিংসা ও মামলার জেরে তা পিছিয়ে গিয়েছে বারবার। সেই দড়ি টানাটানিতে প্রার্থীরা নির্বাচনী প্রচারে নেমেও কখনই তা চেনা মাত্রায় পৌঁছতে পারেনি। পাশাপাশি বিনাপ্রতিদ্বন্দ্বিতার কারণে তিনস্তরেই ভোট নেই, এইরকম বেশ কিছু জায়গায় নির্বাচনের রোনও উত্তাপই দেখা যায়নি এবার। একই কারণে এই সব জায়গায় দেওয়াল লেখা, মিছিল, সভাও করতে হয়নি শাসক ও বিরোধীদের।

Advertisement

তৃণমূলের মহাসচিব পার্থ চট্টোপাধ্যায়ের কথায়, ‘‘দিনক্ষণ নিয়ে এই টানাপোড়েনে ক্ষতি তো হয়েইছে। তবে আমরা তৈরিই ছিলাম। প্রয়োজন মতো প্রচারেও ছিলাম। আশা করব, বিরোধীরা এতদিন যে নেতিবাচক ভূমিকা নিয়েছিলেন, ভোটের দিন অন্তত তা থেকে বেরিয়ে আসবেন।’’ প্রচারের শেষবেলায়ও বিরোধীরা বিঁধেছেন কমিশন ও শাসকদলকে। বামফ্রন্ট চেয়ারম্যান বিমান বসু এদিন বলেন, ‘‘এই প্রথম ৩৪% আসন বাদ রেখে ভোট হচ্ছে। জেদ রেখেই ভোটকেন্দ্রে গিয়ে গণতন্ত্র পুনরুদ্ধার করুন। অন্য কোনও উপায় নেই।’’ বিজেপির কেন্দ্রীয় সম্পাদক রাহুল সিংহ বলেন, ‘‘সন্ত্রাসের কারণে অনেকে প্রচারে নামতেই পারেননি। অনেকেই গ্রামছাড়া। প্রার্থীদের অনেকে বাড়ি থেকে বেরোতেই পারেননি।’’ তবে এ পর্যন্ত যা হয়েছে, আপাতত তা নিয়ে আলোচনা ছেড়ে ভোটের দিন ‘বুথরক্ষা’র উপরেই জোর দিয়েছে বিজেপি। দলের তরফে এই বিষয়টির পর্যালোচনা শুরু হয়েছে এদিন থেকেই। প্রদেশ কংগ্রেস সভাপতি অধীর চৌধুরী বলেন, ‘‘প্রচার শেষ হয়েছে কিন্তু সন্ত্রাসের বাতাবরণ রয়ে গিয়েছে। অভূতপূর্বভাবে এবার শাসকদলের সঙ্গে হুমকি ও ভীতি প্রদর্শনে নেমেছে পুলিশও।’’

(সবচেয়ে আগে সব খবর, ঠিক খবর, প্রতি মুহূর্তে। ফলো করুন আমাদের Google News, X (Twitter), Facebook, Youtube, Threads এবং Instagram পেজ)

আনন্দবাজার অনলাইন এখন

হোয়াট্‌সঅ্যাপেও

ফলো করুন
অন্য মাধ্যমগুলি:
Advertisement
Advertisement
আরও পড়ুন