Panchayat Poll 2018

লড়াই ত্রিমুখী হলেও ‘ছক’ দেখছে বিরোধীরা

প্রশাসনের তরফে যে তথ্য দেওয়া হচ্ছে তার সঙ্গে বাস্তবের মিল কম। কারণ অনেক ক্ষেত্রে ‘বকলমে’ তাদের প্রার্থী দাঁড় করিয়ে দিয়েছে শাসকদলই।

Advertisement

রবিশঙ্কর দত্ত

কলকাতা শেষ আপডেট: ০৮ মে ২০১৮ ০৪:২৫
Share:

প্রতীকী ছবি।

পঞ্চায়েতের যত আসনে ভোট হবে, তার সিংহভাগেই প্রতিদ্বন্দ্বিতায় আছে বিজেপি ও বামেরা। অর্থাৎ সরকারিভাবে লড়াই ত্রিমুখী। কিন্তু এটা মানতে নারাজ খোদ বিরোধীরাই। তাদের দাবি, প্রশাসনের তরফে যে তথ্য দেওয়া হচ্ছে তার সঙ্গে বাস্তবের মিল কম। কারণ অনেক ক্ষেত্রে ‘বকলমে’ তাদের প্রার্থী দাঁড় করিয়ে দিয়েছে শাসকদলই। অভিযোগ নস্যাৎ করে তৃণমূল নেতৃত্বের বক্তব্য, নিশ্চিত পরাজয় এড়াতে একের পর এক যুক্তির ঢাল তৈরি করছে বিরোধীরা।

Advertisement

মনোনয়নের হিসাব অনুযায়ী, বিরোধী হিসাবে অন্যদের পিছনে ফেলে দিয়েছে বিজেপি। যে সব আসনে ভোট হবে, তাতে তিনস্তরে তাদের প্রার্থীর সংখ্যা কমবেশি ৭০ শতাংশ। কাছাকাছি রয়েছে সিপিএম তথা বামেরা। বিজেপির দাবি, সিপিএম তথা বামেদের প্রতিদ্বন্দ্বিতায় রেখে বিরোধী ভোট ভাগের সুযোগ নিতে চেয়েছে শাসকদল। আর বামফ্রন্টের দাবি, বহু ক্ষেত্রেই দলের হিসাবের সঙ্গে সঙ্গে নির্বাচন কমিশনের তথ্যে ‘গোলমাল’ বিস্তর।

ঠিক কী ‘গোলমাল’ দেখছে বামেরা? ফ্রন্ট চেয়ারম্যান বিমান বসুর কথায়, ‘‘অনেক জায়গায় আমাদের প্রার্থীর কাগজপত্র কেড়ে নেওয়া হয়েছে। বামফ্রন্টের নাম করে প্রার্থী দাঁড় করিয়ে দেওয়া হয়েছে।’’ এছাড়াও সিপিএম নেতা রবীন দেব বলেন, ‘‘জেতা পঞ্চায়েত, সমিতির আসনে মনোনয়ন আটকে দিয়েছে তৃণমূল। অন্তত ৫০ হাজার প্রার্থী দিতে পারতাম। বিজেপিকে জায়গা দিতে পরিকল্পনামাফিক এ সব হয়েছে।’’ তাঁর হিসাব মতো তিনস্তর মিলিয়ে বামেরা প্রার্থী ২৩ হাজার প্রার্থী দিয়েছেন। মনোনয়ন ও প্রত্যাহারের এই ‘গোলমাল’ প্রমাণ করতে কাঁকসার ঘটনাকে সামনে এনেছে সিপিএম। প্রত্যাহার করে নেওয়া দলীয় প্রার্থী এদিন দলের রাজ্য সম্পাদক সূর্যকান্ত মিশ্রের মঞ্চে দাঁড়িয়ে বলেছন, তাঁকে সরে দাঁড়াতে বাধ্য করা হয়েছে।

Advertisement

আরও পড়ুন: সিসি ক্যামেরা কম, নজরে ১০ শতাংশ বুথ

ভোট হবে মোট আসন সাড়ে ৩৮ হাজারের মতো। শতাংশের হিসাবে তা ৭০ -এর বেশি। বিজেপি নেতা শমীক ভট্টাচার্য অন্য ‘গোলমালে’র অভিযোগ করেছেন। তাঁর কথায়, ‘‘অনেক জায়গায় বামেদের দিয়ে মনোনয়ন দেওয়ানো হয়েছে। বিরোধী ভোট ভাগের সুযোগ নিতে এই কৌশল নিয়েছে তৃণমূল। তবে এই প্রার্থী সংখ্যার সঙ্গে জনমতের কোনও সাজুয্য থাকবে না।’’

মনোনয়নে অনেক পিছিয়ে রাজ্য বিধানসভায় প্রধান বিরোধীদল কংগ্রেস। তাদের প্রার্থী রয়েছে সাড়ে আট হাজারের মতো। প্রদেশ কংগ্রেস সভাপতি অধীর চৌধুরীর দাবি, ‘‘মুর্শিদাবাদের মতো দলের শক্তঘাঁটিতেই তৃণমূল মনোনয়ন জমা দিতে দেয়নি। ফলে এই হিসাবে দলের সাংগঠনিক শক্তি প্রতিফলিত হয়নি।।’’ তাঁর দাবি, শেষমুহুর্তে ভয় দেখিয়ে কংগ্রেসের আরও অনেককেই ভোট থেকে সরে দাঁড়াতে বাধ্য করবে তৃণমূল। তৃণমূলের মহাসচিব পার্থ চট্টোপাধ্যায় বলেন, ‘‘আগে বলা হল তৃণমূল বাধা দিয়েছে। এখন বলা হচ্ছে বিরোধী ভোট ভাগের সুবিধার কথা।’’

(সবচেয়ে আগে সব খবর, ঠিক খবর, প্রতি মুহূর্তে। ফলো করুন আমাদের Google News, X (Twitter), Facebook, Youtube, Threads এবং Instagram পেজ)

আনন্দবাজার অনলাইন এখন

হোয়াট্‌সঅ্যাপেও

ফলো করুন
অন্য মাধ্যমগুলি:
Advertisement
Advertisement
আরও পড়ুন