শুভেন্দু অধিকারী।
মুর্শিদাবাদের ২৫০টি গ্রাম পঞ্চায়েতের ২৩১টি সরাসরি হাতে পেয়েছে তৃণমূল। বাকিগুলির যে ১৭টি ত্রিশঙ্কু হয়ে রয়েছে, সেগুলিও চান দলের জেলা পর্যবেক্ষক শুভেন্দু অধিকারী। সোমবার বহরমপুরে দলের সাংগঠনিক বৈঠকে এই লক্ষ্য নির্দিষ্ট করেন তিনি। বলেন, ‘‘এই ত্রিশঙ্কু পঞ্চায়েতগুলিতে আমাদের বোর্ড গড়তে হবে। জেলা নেতৃত্বকে বলব, কৌশল করেই তা করতে হবে।’’
নির্বাচিত সদস্যদের বোর্ড গঠন করতে প্রায় দু’মাস বাকি। তার আগে যে সব পঞ্চায়েতে দল সংখ্যাগরিষ্ঠ নয়, সেগুলি হাতে পেতেই তৎপরতা শুরু করেছে তৃণমূল। এ দিন সদ্যনির্বাচিত দলীয় সদস্যদের বৈঠকে সেই বার্তাই দিয়েছেন শুভেন্দু। মুর্শিদাবাদ জেলা পরিষদে নিরঙ্কুশ সংখ্যাধিক্য রয়েছে তৃণমূলের। নীচের তলায়ও একচ্ছত্র প্রভাব শাসক দলের। গ্রাম পঞ্চায়েতের যে ১৯টি পঞ্চায়েত তৃণমূল পায়নি, তার একটি কংগ্রেস ও একটি পেয়েছে বিজেপি। বাকি ১৭টিতে কোনও রাজনৈতিক দলই সংখ্যাগরিষ্ঠ হতে পারেনি।
ঝুলে থাকা এই বোর্ডগুলি হাতে পেতে চাইলেও তা কোন কৌশলে, তা স্পষ্ট করেননি শুভেন্দু। তৃণমূলের এই কৌশলের নিন্দা করে বহরমপুরের কংগ্রেস বিধায়ক মনোজ চক্রবর্তী বলেন, ‘‘প্রথমে ভোট দিতে দেয়নি। এ বার তৃণমূল যে চেষ্টা চালাচ্ছে, গণতন্ত্রে তা লজ্জার।’’
নির্বাচনী হিংসায় নিহত দলীয় কর্মীদের পরিবারগুলিকে এ দিন আর্থিক সাহায্য করা হয়েছে। সংঘর্ষে নিহত দুই দলীয় কর্মীর পরিবারের দু’জনকে চাকরি দেওয়া হবে বলেও জানিয়েছেন শুভেন্দু।