জন্মদিনে পাক গুলিতে নিহত বাঙালি জওয়ান

বছর একান্নর হাজরা ১৭৩ নম্বর ব্যাটেলিয়নের সঙ্গে যুক্ত ছিলেন। আন্তর্জাতিক সীমান্তের হীরানগর সাব সেক্টরে চাক দুলমা পোস্টে মোতায়েন ছিলেন তিনি। আজ বিকেল সোয়া চারটে নাগাদ আচমকা গুলি চালায় পাক রেঞ্জার্স বাহিনীর স্নাইপার।

Advertisement

সাবির ইবন ইউসুফ ও অনমিত্র সেনগুপ্ত

শেষ আপডেট: ০৪ জানুয়ারি ২০১৮ ০৩:৫১
Share:

আর পি হাজরা

ফের সংঘর্ষবিরতি ভেঙে হামলা চালাল পাকিস্তান। আজ জম্মুর সাম্বা সেক্টরে পাক বাহিনীর গুলিতে নিহত হয়েছেন বিএসএফের হেড কনস্টেবল আর পি হাজরা। মুর্শিদাবাদের বাসিন্দা হাজরার আজই জন্মদিন বলে জানিয়েছে বিএসএফ।

Advertisement

বছর একান্নর হাজরা ১৭৩ নম্বর ব্যাটেলিয়নের সঙ্গে যুক্ত ছিলেন। আন্তর্জাতিক সীমান্তের হীরানগর সাব সেক্টরে চাক দুলমা পোস্টে মোতায়েন ছিলেন তিনি। আজ বিকেল সোয়া চারটে নাগাদ আচমকা গুলি চালায় পাক রেঞ্জার্স বাহিনীর স্নাইপার। তাতে গুরুতর আহত হাজরাকে জেলা হাসপাতালে নিয়ে যাওয়া হয়। সেখানেই মৃত্যু হয় তাঁর। ঘটনার পরেই পাল্টা হামলা শুরু করে বিএসএফ। চাক দুলমায় এখনও সংঘর্ষ চলছে বলে জানিয়েছে বিএসএফ।

২৭ বছর আগে বিএসএফে যোগ দিয়েছিলেন হাজরা। তাঁর স্ত্রী, বছর একুশের মেয়ে ও বছর আঠারোর ছেলে রয়েছেন।

Advertisement

আরও পড়ুন: তিন তালাক বিলে নয়, মমতার আপত্তি পদ্ধতিতে

বছর ঘুরে গেলেও জম্মু-কাশ্মীরে সংঘর্ষবিরতি ভাঙা থামাচ্ছে না পাকিস্তান। গত বছরে মোট ৮৮২ বার সংঘর্ষবিরতি ভেঙেছে পাকিস্তান। তাতে ১৪ জন সেনা, ৪ জন বিএসএফ জওয়ান ও ১২ জন স্থানীয় বাসিন্দা নিহত হয়েছেন।

ডিসেম্বরে কাশ্মীরের কেরি-রাজৌরি সেক্টরে পাক সেনার হামলায় এক মেজর-সহ চার ভারতীয় সেনা নিহত হন। তার পরে নিয়ন্ত্রণরেখা পেরিয়ে পাকিস্তানি পোস্ট আক্রমণ করেন ভারতীয় সেনার কম্যান্ডোরা। ওই হামলায় নিহত হন তিন পাক সেনা। ৩১ ডিসেম্বর ফের হামলা চালায় পাক সেনা। তাতে এক ভারতীয় সেনা নিহত হন। নতুন বছরের গোড়াতেই ফের হামলা চালাল পাকিস্তান। ফলে আপাতত সীমান্তে শান্তি ফেরার কোনও লক্ষণ দেখছেন না সেনা ও বিএসএফ কর্তারা।

শত্রুর গুলিবৃষ্টি থেকে জওয়ানদের রক্ষা করতে বাহিনীর জন্য বিশেষ ধাতব প্যানেল দিয়ে বাঙ্কার তৈরি করা হচ্ছে বলে আজ লোকসভায় জানিয়েছেন প্রতিরক্ষা প্রতিমন্ত্রী সুভাষ ভাম্বরে। তিনি জানান, এ নিয়ে প্রতিরক্ষা গবেষণা সংস্থার পাশাপাশি চারটি বিশ্ববিদ্যালয়েও গবেষণা হচ্ছে। এখন মূলত ইস্পাত, কংক্রিটের ব্লক ও পাথর দিয়ে বাঙ্কার তৈরি হয়। কিন্তু অনেক দিন ধরেই নিয়ন্ত্রণরেখার
জন্য বিশেষ ধরনের বাঙ্কার চাইছে সেনা। ধাতব প্যানেল দিয়ে তৈরি বুলেটপ্রুফ বাঙ্কারগুলি সহজেই খুলে এক জায়গা থেকে অন্য জায়গায় নিয়ে যাওয়া যাবে বলে জানান ভাম্বরে। ছ’মাসের মধ্যে ওই বাঙ্কার তৈরির কাজ শেষ হয়ে যাবে বলে আশা তাঁর।

ভাম্বরে আরও জানান, ছ’মাসের মধ্যে বাহিনীর জন্য বিভিন্ন ভারতীয় সংস্থার কাছ ৫০ হাজার বুলেটপ্রুফ জ্যাকেট কিনবে কেন্দ্র। আরও ১ লক্ষ বুলেটপ্রুফ জ্যাকেট কেনার প্রস্তাব দেওয়া হয়েছে।

আনন্দবাজার অনলাইন এখন

হোয়াট্‌সঅ্যাপেও

ফলো করুন
অন্য মাধ্যমগুলি:
আরও পড়ুন
Advertisement