WB Panchayat Election 2023

ভোটকর্মীর দায়িত্বেও পক্ষপাত, নালিশ

প্রিসাইডিং অফিসারদের কেন পোলিং অফিসার করা হল তা নিয়ে অবশ্য সদুত্তর মেলেনি। কমিশন সূত্রেও কোনও ব্যাখ্যা মেলেনি।

Advertisement

আর্যভট্ট খান

কলকাতা শেষ আপডেট: ১৮ জুন ২০২৩ ০৮:০৬
Share:

—প্রতীকী ছবি।

পঞ্চায়েত ভোটের ডিউটিতে যাওয়ার জন্য ইতিমধ্যেই সরকারি চিঠি পেতে শুরু করেছেন শিক্ষকেরা। তা নিয়েই এ বার নতুন অভিযোগ করছেন শিক্ষকদের একাংশ। তাঁদের বক্তব্য, বহু প্রধান শিক্ষক এবং প্রবীণ শিক্ষকদের এ বার পোলিং অফিসার হিসেবে নিযুক্ত করা হয়েছে। অথচ তাঁরা এর আগে বহু ভোটে প্রিসাইডিং অফিসার হিসেবে কাজ করেছেন। তা হলে এ বার তাঁদের পদাবনতি হল কেন? অভিযোগ, ডিএ আন্দোলনে শরিক হওয়া এবং বিভিন্ন দুর্নীতি কাণ্ডে সরব হওয়ার ফলেই প্রশাসন এ ভাবে ‘বদলা’ নিতে চাইছে। যদিও প্রশাসন সূত্রে এই অভিযোগ অস্বীকার করা হয়েছে। প্রিসাইডিং অফিসারদের কেন পোলিং অফিসার করা হল তা নিয়ে অবশ্য সদুত্তর মেলেনি। কমিশন সূত্রেও কোনও ব্যাখ্যা মেলেনি।

Advertisement

প্রশাসনিক পর্যবেক্ষকদের একাংশের অবশ্য ব্যাখ্যা, এই তালিকা তৈরি করেছে সংশ্লিষ্ট জেলা প্রশাসনগুলি। সেই তালিকা কমিশনে পৌঁছলে এ ব্যাপারে তারা পদক্ষেপ করতেও পারে।

পশ্চিম বর্ধমানের পানাগড়ের একটি প্রাথমিক স্কুলের শিক্ষক নির্ঝর কুণ্ডু সংগ্রামী যৌথ মঞ্চের অন্যতম সদস্য। শহিদ মিনারের নীচে ধারাবাহিক ভাবে ডিএ-র দাবিতে আন্দোলন করে যাচ্ছেন তিনি। নির্ঝর বলেন, “আমি প্রতি বারভোটে প্রিসাইডিং অফিসারের দায়িত্ব পালন করেছি। এ বার পঞ্চায়েত ভোটে আমাকে থার্ড পোলিং অফিসারের দায়িত্ব পালন করতে হবে! আমার মতো অনেক শিক্ষক, প্রধান শিক্ষক এ ভাবে নীচের পদে নিযুক্ত হয়েছেন।’’ শিক্ষকেরা জানান, সদ্য প্রাথমিক শিক্ষকের চাকরিতে যোগ দিয়েছেন এমন অনেককে প্রিসাইডিং অফিসার করা হয়েছে। ‘‘এমনকি, কম্পিউটার প্রশিক্ষককে পর্যন্ত প্রিসাইডিং অফিসার করা হয়েছে,’’ বলছেন নির্ঝর।

Advertisement

শিক্ষানুরাগী ঐক্য মঞ্চের রাজ্য সম্পাদক কিঙ্কর অধিকারী বলেন, “যে ভাবে প্রিসাইডিং অফিসার এবং পোলিং অফিসার নিয়োগ করা হয়েছে, তাতে স্পষ্ট যে ডিএ আন্দোলনে যোগ দেওয়া শিক্ষকদের ইচ্ছাকৃত ভাবে নিচু পদ দিয়ে হেনস্থা করা হয়েছে। ডিএ-র দাবিতে কর্মবিরতি পালন করা শিক্ষকদের তো আলাদা করে চিহ্নিত করে রাখা হয়েছে!’’

বিজেপির শিক্ষা সেলের রাজ্য সহ-আহ্বায়ক পিন্টু পাড়ুই হাওড়া আমতার একটি প্রাথমিক স্কুলের প্রধান শিক্ষক। তিনি বলেন, “প্রতি বছর প্রিসাইডিং অফিসারের দায়িত্ব পালন করার পরে এ বার আমি সেকেন্ড পোলিং অফিসার! শাসক দলের ঘনিষ্ঠ এবং তৃণমূলপন্থী শিক্ষক সংগঠনের শিক্ষকদের প্রিসাইডিং অফিসার করা হচ্ছে। বুথে যদি ভোট লুট হয় এবং প্রিসাইডিং অফিসার চুপ থাকেন তা হলে তো আমরাও কিছু বলতে পারব না। কারণ, আমরা প্রিসাইডিং অফিসারের অধীনে থাকব। এ সব পরিকল্পিত ভাবে করা হচ্ছে।”

যদিও তৃণমূলপন্থী একটি শিক্ষক সংগঠনের নেতা দিব্যেন্দু মুখোপাধ্যায় বলেন, “এ সব অভিযোগ ভিত্তিহীন। আমার পরিচিত অনেকেই আগে প্রিসাইডিং অফিসার হয়েছিলেন। তাঁরা তৃণমূলপন্থী না-হয়েও এ বার প্রিসাইডিং অফিসারই আছেন।”

(সবচেয়ে আগে সব খবর, ঠিক খবর, প্রতি মুহূর্তে। ফলো করুন আমাদের Google News, X (Twitter), Facebook, Youtube, Threads এবং Instagram পেজ)

আনন্দবাজার অনলাইন এখন

হোয়াট্‌সঅ্যাপেও

ফলো করুন
অন্য মাধ্যমগুলি:
Advertisement
আরও পড়ুন