বিমল গুরুঙ্গ।— ফাইল চিত্র।
মদন তামাঙ্গকে খুনের অভিযোগ থেকে রেহাই পেলেন গোর্খা জনমুক্তি মোর্চার সভাপতি বিমল গুরুঙ্গ।
এই মামলার চার্জশিটে ৪৮ জনের নাম ছিল। সকলেই নিজেদের নাম চার্জশিট থেকে বাদ দেওয়ার আর্জি জানান আদালতে। বৃহস্পতিবার কলকাতার নগর দায়রা আদালতের মুখ্য বিচারক কুন্দনকুমার কুমাই জানিয়ে দিলেন, গুরুঙ্গকে অব্যাহতি দেওয়া হল। তবে বাকি ৪৭ জনের বিরুদ্ধে চার্জগঠন হবে ২৮ অগস্ট।
২০১০-এর ২১ মে মদনকে খুন করা হয়। তদন্ত শেষে প্রথমে চার্জশিট দেয় সিআইডি। বিমলের নাম ছিল না তাতে। পরে সিবিআই-ও চার্জশিট দেয়। তাতেও তাঁর নাম ছিল না। এমনকী, নাম ছিল না এফআইআর-এও। নগর দায়রা আদালতে বিমলের আইনজীবীরা প্রশ্ন তোলেন, সুপ্রিম কোর্টের নির্দেশে আরও তদন্ত করতে গিয়ে বিমলের বিরুদ্ধে ষড়যন্ত্র ও খুনের কোন প্রমাণ পেল সিবিআই?
আরও পড়ুন: জিতে নিল শাসকই, সবাই সাফ
আইনজীবীরা আরও জানান, সিবিআই এক দীনেশ সুব্বার বিরুদ্ধে মদন তামাঙ্গকে খুনের অভিযোগ এনেছে। সেই পলাতক দীনেশ মোর্চা সভাপতি গুরুঙ্গের দেহরক্ষী ও তাঁকে দিয়েই মদন তামাঙ্গকে গুরুঙ্গ খুন করিয়েছিলেন বলে সিবিআইয়ের অভিযোগ। আইনজীবীরা তাতে প্রশ্ন তোলেন, কিন্তু দীনেশ যে বিমলের দেহরক্ষী ছিলেন, কোনও সাক্ষী কি প্রমাণ-সহ তা সিবিআই-কে জানিয়েছেন? সেই প্রমাণ সিবিআই আদালতে পেশ করেনি কেন? সিবিআই জানিয়েছে, আইনজ্ঞদের পরামর্শ নিয়েই তারা এগোবে।
মোর্চার একাংশ এই নির্দেশে খুশি। তবে রোশন গিরি, হরকাবাহাদুর ছেত্রী (জন আন্দোলন পার্টির সভাপতি), বিনয় তামাঙ্গ, গুরুঙ্গের স্ত্রী আশা-সহ পাহাড়ের প্রথম সারির ২৭ জনের বিরুদ্ধে চার্জগঠন হবে এ বার। রোশন অবশ্য বলেন, ‘‘গোড়া থেকেই বলছি, সবার নাম উদ্দেশ্যপ্রণোদিতভাবে জড়ানো হয়েছে। এ দিনে রায়ে তা আরও স্পষ্ট। আমরাও যে নির্দোষ সেটাও প্রমাণিত হবে।’’