বিনয়কে দেখলেই দণ্ড দিন: ফতোয়া জারি গুরুঙ্গের

এক ভিডিও-বার্তায় গোর্খাদের কাছে তাঁর নির্দেশ, ‘‘যেখানে বিনয়-অনীতকে দেখা যাবে, সেখানেই দণ্ড দিতে হবে। দুনিয়ার গোর্খাল্যান্ড সমর্থকদের কাছে আমার বার্তা, ওই দুজনকে দণ্ড দিন।’’

Advertisement

নিজস্ব সংবাদদাতা

দার্জিলিং ও শিলিগুড়ি শেষ আপডেট: ২২ সেপ্টেম্বর ২০১৭ ০৩:০৮
Share:

বিমল গুরুঙ্গ

সদ্য বুধবার বিনয় তামাঙ্গকে জিটিএ-র কেয়ারটেকার বোর্ডের মাথায় বসিয়েছে রাজ্য। সহযোগী হিসেবে রয়েছেন অনীত থাপাও। তার ২৪ ঘণ্টার মধ্যে দু’জনের বিরুদ্ধে ফতোয়া জারি করলেন ফেরার মোর্চা সভাপতি বিমল গুরুঙ্গ। এক ভিডিও-বার্তায় গোর্খাদের কাছে তাঁর নির্দেশ, ‘‘যেখানে বিনয়-অনীতকে দেখা যাবে, সেখানেই দণ্ড দিতে হবে। দুনিয়ার গোর্খাল্যান্ড সমর্থকদের কাছে আমার বার্তা, ওই দুজনকে দণ্ড দিন।’’

Advertisement

এর ঘণ্টা তিনেক আগেই গোর্খাল্যান্ডের দাবিতে সরব হওয়ার বার্তা দেন বিনয়। বলেন, ‘‘ত্রিপাক্ষিক বৈঠক হলে গোর্খাল্যান্ডের দাবি তুলব। পাহাড়বাসীকে সঙ্গে নিয়ে শান্তিপূর্ণ আন্দোলন, আলোচনার মাধ্যমে গোর্খাল্যান্ডের স্বপ্ন পূরণ করা সম্ভব।’’

গুরুঙ্গ অবশ্য মনে করেন, এ ভাবে পাহাড়ের মানুষের সঙ্গে বিশ্বাসঘাতকতা করছেন বিনয়। তিনি এ দিন দাবি করেন, যখন মোর্চার মূল স্রোতকে (অর্থাৎ তিনি নিজে) বাদ দিয়ে আলোচনা শুরু করে রাজ্য, তখনই বুঝে গিয়েছিলেন, এক দিন বিনয়কে জিটিএ-র মাথায় বসানো হবে। তবে রাজ্যের থেকে বিনয়রাই এ দিন বেশি করে গুরুঙ্গের নিশানায় ছিলেন। ভিডিও-বার্তার শেষে তিনি ‘দণ্ড’ দেওয়ার কথা ঘোষণা করেন।

Advertisement

আরও পড়ুন:মহরমের সঙ্গেই বিসর্জন, রায় কলকাতা হাইকোর্টের

হঠাৎ বিনয়দের ‘দণ্ড’ বা সাজা দেওয়ার মতো চরম ফতোয়ার পথ কেন নিলেন গুরুঙ্গ? পাহাড়ের লোকজনের কথায়, গুরুঙ্গের আশঙ্কা, বিনয় ধীরে ধীরে ক্ষমতা হাতে নিয়ে নেবেন। আর তিনি অপ্রাসঙ্গিক হয়ে পড়বেন। দ্বিতীয়ত, এর পরে ত্রিপাক্ষিক বৈঠক হলে সেখানেও তাঁর অংশ নেওয়া কঠিন হয়ে পড়ল। জিটিএ-র প্রতিনিধি হিসেবে বিনয়দের সেখানে যাওয়ার সম্ভাবনাই বেশি।

পাহাড়ে নিয়মিত মিটিং-মিছিল করছেন বিনয়। এটাও গুরুঙ্গের বড় গাত্রদাহ। তার উপরে কেন্দ্রের বার্তা পাওয়ার পরে বুঝেছেন, বিনয়কে জিটিএ প্রধান হওয়া থেকে এখন আটকাতে পারবেন না তিনি।

পরীক্ষা অবশ্য বিনয়েরও কম নয়। জিটিএ-র অস্থায়ী চেয়ারম্যান হওয়ার পরেই পাহা়ড়ে অন্য দলগুলির ক্ষোভের মুখে পড়েছেন তিনি। যে মন ঘিসিঙ্গকে বোর্ডে রাখা হয়েছে, তিনিও বলেন, ‘‘জিটিএ-কে সক্রিয় করার বিরোধী আমরা। এর পরে ১৬ অক্টোবর রাজ্যের ডাকা বৈঠকে যাওয়া অর্থহীন। তবে বিষয়টি নিয়ে আরও আলোচনা করতে চাই।’’ এই অবস্থায় সব দলকে একজোট করে বোর্ডের কাজ শুরু করাই বড় চ্যালেঞ্জ বিনয়ের।

আর গুরুঙ্গের ফতোয়া? বিনয় বললেন, ‘‘যাঁরা গোর্খাল্যান্ড আন্দোলনের প্রকৃত নেতা, তাঁরা নদী-জঙ্গলে বসে ফতোয়া দেন না। কারও ফতোয়া শুনে পালিয়ে যাব, এমন বান্দা আমরা নই!’’

(সবচেয়ে আগে সব খবর, ঠিক খবর, প্রতি মুহূর্তে। ফলো করুন আমাদের Google News, X (Twitter), Facebook, Youtube, Threads এবং Instagram পেজ)

আনন্দবাজার অনলাইন এখন

হোয়াট্‌সঅ্যাপেও

ফলো করুন
অন্য মাধ্যমগুলি:
Advertisement
Advertisement
আরও পড়ুন