পর্যটন মরসুমে আন্দোলন নয়: গুরুঙ্গ

শীতের পর্যটন মরসুমের সঙ্গে স্কুল-কলেজের পরীক্ষার কথা মাথায় রেখে পাহাড়-সমতলে এখন কোনও আন্দোলন হবে না বলে আবার ঘোষণা করলেন মোর্চা সভাপতি বিমল গুরুঙ্গ। মঙ্গলবার সুকনা লাগোয়া শালবাড়িতে ‘গোর্খা সম্মিলন ভবনে’র উদ্বোধনে এসে এ কথা জানান গুরুঙ্গ।

Advertisement

নিজস্ব সংবাদদাতা

শিলিগুড়ি শেষ আপডেট: ০৭ ডিসেম্বর ২০১৬ ০১:৪৮
Share:

শঙ্করের সঙ্গে গুরুঙ্গ। — নিজস্ব চিত্র

শীতের পর্যটন মরসুমের সঙ্গে স্কুল-কলেজের পরীক্ষার কথা মাথায় রেখে পাহাড়-সমতলে এখন কোনও আন্দোলন হবে না বলে আবার ঘোষণা করলেন মোর্চা সভাপতি বিমল গুরুঙ্গ। মঙ্গলবার সুকনা লাগোয়া শালবাড়িতে ‘গোর্খা সম্মিলন ভবনে’র উদ্বোধনে এসে এ কথা জানান গুরুঙ্গ। তবে আলাদা রাজ্যের দাবিতে, দিল্লিতে ধর্ণা, মিছিল ছাড়াও প্রয়োজনে অনশনে বসার হুমকিও দিয়েছে গুরুঙ্গ। মোর্চা সভাপতির কথায়, ‘‘আমাদের চাই আলাদা রাজ্য। আর তা দিতে পারে কেন্দ্রীয় সরকার। তাই দিল্লিতেই সরব হতে হবে। এখানে পর্যটন মরসুম রয়েছে। ছাত্রছাত্রীদের পরীক্ষা আছে। এসবে সমস্যা তৈরি করা যাবে না। তাই সমস্ত আন্দোলন দিল্লিতে হবে।’’

Advertisement

কয়েক বছর আগেও অবশ্য আন্দোলনে পর্যটন মরসুম বা স্কুল-কলেজের পরীক্ষার কথা ভাবতেন না গুরুঙ্গ। রাতারাতি ‘পাহাড় ছাড়ো’ বা ‘ঘর ভিতর জনতা’-র মতো কর্মসূচির ডাক দিতে পিছপা হননি। তেমনই, পর্যটন মরসুমে বন্‌ধ, অবরোধের জেরে আখেরে পাহাড়ের বহু ব্যবসায়ীদেরই সমস্যায় পড়তে হয়েছে। তার উপর মুখ্যমন্ত্রী মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়ের একাধিকবার পাহাড় সফর এবং তৃণমূলের পাহাড়ে সংগঠন গড়ার কাজ জোর শুরু হয়েছে। পাহাড়ে একাধিক উন্নয়ন পর্ষদও তৈরি হচ্ছে। প্রদীপ প্রধানের মত নেতারা ইতিমধ্যে মোর্চা ছেড়েছেন। এতে ঘরে বাইরে চাপের মুখে পড়ে গুরুঙ্গ আপাতত খাসতালুকে হুটহাট আন্দোলনের পথে আর হাঁটতে চাইছেন না বলেই পাহাড়ের বিরোধী রাজনৈতিক দলের নেতারা মনে করছেন। এমনকী, গুরুঙ্গ এ দিন বলেছেন, ‘‘পর্যটন মরসুমে মানুষের সুযোগ সুবিধা তো বটেই ব্যবসা, রোজগারের কথাও তো ভাবতে হবে।’’

আগামী ১২-১৬ ডিসেম্বর দিল্লিতে মোর্চার ধর্না, মিছিল কর্মসূচি রয়েছে। ১৭ ডিসেম্বরের পর প্রয়োজনে রিলে অনশন করা হবে বলে গুরুঙ্গ জানিয়েছেন। তিনি জানান, আলাদা রাজ্যের জন্য সময়ও লাগবে। তাই সেখানেই আমাদের আন্দোলন চলবে। আমরা প্রধানমন্ত্রী, স্বরাষ্ট্রমন্ত্রীর সঙ্গে বৈঠক করার চেষ্টাই করছি। তাঁর অভিযোগ, ‘‘রাজ্য সরকার পাহাড়ে যা পরিস্থিতি করছে তাতে সমাধানের পথ তো বার করতেই হবে। জিটিএ-কে এড়িয়ে সমান্তরাল প্রশাসন চলছে। দফতর হস্তান্তর হচ্ছে না। বরাদ্দ ঠিকঠাক মিলছে না।’’

Advertisement

এ দিন ১৯৯৯ সালে তৈরি হওয়া ভবনটির উদ্বোধনে উপস্থিত ছিলেন স্থানীয় কংগ্রেস বিধায়ক শঙ্কর মালাকার, মোর্চার সাধারণ সম্পাদক রোশন গিরিও। বিধায়ক তহবিল এবং নানা অনুদানে ভবনটি তৈরি হয়েছে। ২৫ লক্ষ টাকায় কমিউনিটি হলের পর সেখানে গ্রন্থাগার, গেস্ট হাউস, স্টাডি সেন্টার তৈরি হবে বলে সমাজের সম্পাদক বিজয়কুমার সুব্বা জানিয়েছেন।

(সবচেয়ে আগে সব খবর, ঠিক খবর, প্রতি মুহূর্তে। ফলো করুন আমাদের Google News, X (Twitter), Facebook, Youtube, Threads এবং Instagram পেজ)

আনন্দবাজার অনলাইন এখন

হোয়াট্‌সঅ্যাপেও

ফলো করুন
অন্য মাধ্যমগুলি:
Advertisement
আরও পড়ুন