বুধবার বিধানসভায় নতুন ভবনের শিলান্যাস অনুষ্ঠানে মমতা বন্দ্যোপাধ্যায় বলেন, “কেউ কেউ এ নিয়ে কুৎসা রটাচ্ছে।—ফাইল চিত্র।
এই প্রথম বার বিশ্ব বাংলা বিতর্কে মুখ খুললেন মুখ্যমন্ত্রী। বেশ কিছু দিন ধরেই বিশ্ববাংলা ইস্যুতে বিতর্ক চলছে। বিরোধীরা প্রশ্ন তুলেছেন, বিশ্ববাংলা নিয়ে যেখানে আদালতে মামলা চলছে, সে সময়ে কেন সেই মামলার নিষ্পত্তি হওয়ার আগে একটা সরকারি বিশ্ববিদ্যালয়ের নাম সেই নামে করা হচ্ছে? বোলপুরে ওই বিশ্ববিদ্যালয়ের জন্য সরকার যে জমি নির্বাচন করেছে তা নিয়ে জমিদাতাদের আন্দোলন চলছে।
বুধবার বিধানসভায় নতুন ভবনের শিলান্যাস অনুষ্ঠানে মমতা বন্দ্যোপাধ্যায় বলেন, “কেউ কেউ এ নিয়ে কুৎসা রটাচ্ছে। কিন্তু, বিশ্ব বাংলা লোগো আর নাম আমার তৈরি। ২০১৩ সালে এই লোগো তৈরি করি। রাজ্য সরকারকে সম্পূর্ণ বিনামূল্যে তা ব্যবহার করতে দেওয়া হয়েছে। রাজ্য সরকার যত দিন ইচ্ছা তা ব্যবহার করবে। রাজ্য সরকার কোনওদিন ছেড়ে দিলে তা আমার কাছে ফিরে আসবে। বিশ্ব বাংলা আমার স্বপ্ন। স্বপ্ন কখনও বিক্রি হয় না। স্বপ্নের কোনও মূল্য হয় না।” তিনি জানান, ২০১৩-র ১৬ সেপ্টেম্বর বিশ্ব বাংলা লোগোর আত্মপ্রকাশ ঘটে। ২০১৪-র ২৩ মার্চ সরকার লোগোটির সত্ত্ব পায়।
আরও পড়ুন: রাষ্ট্রপতি মাটির মানুষ, আগে চিনতে পারিনি, ভোলবদল মমতার
সম্প্রতি ধর্মতলায় বিজেপির সভা থেকে মুকুল রায় দাবি করেন, বিশ্ব বাংলা লোগো সরকারি নয়। এটি বেসরকারি। যার মালিক অভিষেক বন্দ্যোপাধ্যায়। এর পর নবান্নে সাংবাদিক সম্মেলন করে স্বরাষ্ট্রসচিব অত্রি ভট্টাচার্য দাবি করেন, ওই ব্র্যান্ড ও লোগো পশ্চিমবঙ্গ সরকারের নামেই নথিভুক্ত রয়েছে। শুধু তাই নয়, মুকুল রায়ের এ হেন দাবির জন্য তাঁর বিরুদ্ধে মানহানির মামলা করেছেন অভিষেক।