ফাইল চিত্র
প্রধানমন্ত্রী নরেন্দ্র মোদী সভাস্থলের কাঠামো নির্মাণে তাড়াহুড়ো হয়েছে। স্বীকার করে নিল বিজেপির জেলা নেতৃত্ব।
বৃহস্পতিবার বিজেপির জেলা সভাপতি শমিত দাশ বলেন, ‘‘সময় কম ছিল। বৃষ্টির জন্য কাজ ব্যাহত হয়। হয়তো কিছুটা তাড়াহুড়ো হয়েছে।” প্রধানমন্ত্রীর দফতরের অভ্যন্তরীণ তদন্তে উঠে এসেছে মোদীর মেদিনীপুর সফরের নানা ক্ষেত্রে গাফিলতি ছিল। পরিস্থিতি দেখে তাড়াহুড়োর কথা মানছে বিজেপিও।
ঠিক কেমন সেই তাড়াহু়ড়ো? মঞ্চ এবং ছাউনি মিলিয়ে মোদীর সভাস্থল মেদিনীপুর কলেজ-কলেজিয়েট স্কুল মাঠে ৭১ হাজার বর্গফুটের কাঠামো নির্মাণ হয়েছিল। আর এই কাজ হয়েছিল মাত্র চারদিনে। বিজেপি সূত্রে খবর, প্রধানমন্ত্রীর মেদিনীপুর সফরসূচি চূড়ান্ত হয় গত ৬ জুলাই। অর্থাৎ সভার ৯ দিন আগে। ৭ জুলাই কলেজ- কলেজিয়েট মাঠ পরিদর্শন করেন বিজেপি নেতৃত্ব। ওই দিনই সভাস্থল চূড়ান্ত হয়। ১২ জুলাই ভূমিপুজো হয়। সেদিনই সভাস্থলে মঞ্চ বাঁধা শুরু হয়। তার আগে সামান্য কাজই হয়েছিল। বিজেপির এক জেলা নেতা মানছেন, ‘‘সভার দিন সকালে, এমনকি প্রধানমন্ত্রীর পৌঁছনোর আগে আগেও অনেক কাজ করতে হয়েছে।’’
ইতিমধ্যে ঘটনাস্থল পরিদর্শন করেছেন সিআইডির তদন্তকারী অফিসার। সিআইডিরও মনে হয়েছে, ছাউনি নির্মাণে চূড়ান্ত গাফিলতি করা হয়েছে। এর দায় উদ্যোক্তাদেরই। কারণ, ছাউনি নির্মাণের দেখভাল তারাই করেছে। কাঠামো তৈরিতে তাড়াহুড়োর কথা মানলেও দুর্ঘটনার জন্য এখনও প্রশাসনকে বিঁধতে ছাড়ছে না গেরুয়া শিবির। বিজেপির রাজ্য সম্পাদক তুষার মুখোপাধ্যায়ের অবশ্য বক্তব্য, “এই দুর্ঘটনার দায় পুলিশ- প্রশাসনেরও। মুখ্যমন্ত্রীর সভা ঘিরে পুলিশ- প্রশাসনের যে তত্পরতা থাকে, প্রধানমন্ত্রীর সভা ঘিরে তার এতটুকুও ছিল না।’’
চাপানউতোরের মাঝেই এ দিন সকাল থেকে মঞ্চ খোলার কাজ শুরু হয়েছে। বুধবার রাত পর্যন্ত সিল ছিল সভাস্থল। ভেঙে প়ড়া ছাউনির দু’টি অংশ ছাড়া মঞ্চ বাকিগুলি সকাল থেকে খোলা হয়।