Violence

বিজেপির পথ অবরোধ, ধিক্কার সভা তৃণমূলের

হলদেঘাটা এলাকার পরিস্থিতি আজও ছিল থমথমে। ঝামেলার আশঙ্কায় কোনও দোকানপাট খোলেনি।

Advertisement

নিজস্ব সংবাদদাতা

কলকাতা শেষ আপডেট: ০৭ জুলাই ২০২০ ০৫:৫৬
Share:

—প্রতীকী চিত্র।

তৃণমুল-বিজেপির গোলমালের জেরে রবিবার রাত থেকে সোমবার গোটা দিনই অশান্তি ছড়াল ব্যারাকপুর শিল্পাঞ্চলের নানা জায়গায়। একাধিক জায়গায় তাঁদের দলীয় কার্যালয়ে ভাঙচুর হয়েছে বলে অভিযোগ বিজেপি নেতাদের। প্রতিবাদে পথ অবরোধ করে বিজেপি। দুপুরে হালিশহরে হলদেঘাটায় দু’পক্ষ ফের মুখোমুখি হলে সংঘর্ষের পরিস্থিতি তৈরি হয়। বিকেলে হালিশহরে ধিক্কার সভা করে তৃণমূল। তাদের নেতাদের বাড়ি বড়ি গিয়ে প্রাণনাশের হুমকি দেওয়া হচ্ছে বলে দাবি তৃণমূল নেতৃত্বের।

Advertisement

হলদেঘাটা এলাকার পরিস্থিতি আজও ছিল থমথমে। ঝামেলার আশঙ্কায় কোনও দোকানপাট খোলেনি। রবিবার রাতে এখানেই ব্যারাকপুরের বিজেপি সাংসদ অর্জুন সিংহ এবং তাঁর দেহরক্ষীদের গাড়িতে ভাঙচুর চালানোর অভিযোগ উঠেছে তৃণমূলের বিরুদ্ধে। তৃণমূল নেতা সুবোধ অধিকারীর গাড়িতেও ভাঙচুর চলে। তৃণমূলের একটি পার্টি অফিসে আগুন দেওয়া হয়।

ব্যারাকপুর কমিশনারেটের ডিসি (সাউথ) অজয় ঠাকুর জানান, রবিবার রাতের ঘটনায় দু’জনকে গ্রেফতার করা হয়েছে। ধৃতেরা কোন দলের, তা জানাননি তিনি। তবে জানিয়েছেন, রবিবার গোলমাল থামাতে গিয়ে পাঁচ পুলিশকর্মী জখম হন। পরিস্থিতি নিয়ন্ত্রণে আছে বলেই তাঁর দাবি।

Advertisement

তবে বিজেপি-তৃণমূলের মধ্যে উত্তেজনার পারদ যে ফের চড়তে শুরু করেছে শিল্পাঞ্চলে, রবি ও সোমবারের একাধিক অভিযোগ-পাল্টা অভিযোগ সে দিকেই ইঙ্গিত করছে।

বিজেপির দাবি, রবিবার রাতে হালিশহর জুড়ে বিভিন্ন এলাকায় তাদের নেতাদের বাড়িতে হামলা, ভাঙচুর চলেছে। ব্যারাকপুর বটতলায় তাদের একটি কার্যালয়ে আগুন লাগানো হয় বলেও অভিযোগ অর্জুনের। তিনি বলেন, “পুলিশ দলদাসে পরিণত হয়েছে। ফলে পুলিশের কাছে আর অভিযোগ জানানোর প্রয়োজন বোধ করছি না। মঙ্গলবার দলের রাজ্যস্তরে বিষয়টি নিয়ে আলোচনা হবে।”

হামলার প্রতিবাদে সোমবার সকালে পানপুর মোড়ে ও বাসুদেবপুর মোড়ে কল্যাণী এক্সপ্রেসওয়ে অবরোধ করেন বিজেপি কর্মী-সমর্থকেরা। সন্ধ্যার পরে নৈহাটি শহরের বিভিন্ন জায়গায় অবরোধ হয়। দুপুরে হালিশহরে হলদেঘাটায় রাজা দত্তের বাড়ির সামনে বিজেপি কর্মী-সমর্থকদের জমায়েত শুরু হয়। রাজার বাড়ি লাগোয়া দলীয় কার্যালয়ে পাল্টা জমায়েত করে তৃণমূলও। পুলিশ দু’পক্ষকে সরিয়ে দেয়।

তৃণমূলের আবার অভিযোগ, হালিশহর, কাঁচরাপাড়া, কাঁকিনাড়া, ভাটপাড়া এলাকায় বিজেপির দলবল তৃণমূলের নেতা-কর্মীদের বাড়ি বাড়ি গিয়ে প্রাণনাশের হুমকি দিচ্ছে। সোমবার হালিশহরের ধিক্কার সভায় হাজির ছিলেন তৃণমূলের জেলা সভাপতি জ্যোতিপ্রিয় মল্লিক, দমদমের সাংসদ সৌগত রায়, নৈহাটির বিধায়ক পার্থ ভৌমিক-সহ একাধিক নেতা। জ্যোতিপ্রিয় বলেন, “এক বছর আগে হুমকি দিয়ে একের পর এক আমাদের পুরসভা দখল করেছিল বিজেপি। আমাদের কর্মী-সমর্থকদের জোর করে ওদের দলে যোগ দিতে বাধ্য

করা হয়েছিল। কিন্তু পরিস্থিতি স্বাভাবিক হতেই সকলেই আমাদের দলে ফিরে এসেছেন। পুরসভাও আমাদের হাতে এসেছে। ফের হিংসার বাতাবরণ তৈরি করে এলাকা দখলের ছক কষছে ওরা।”

(সবচেয়ে আগে সব খবর, ঠিক খবর, প্রতি মুহূর্তে। ফলো করুন আমাদের Google News, X (Twitter), Facebook, Youtube, Threads এবং Instagram পেজ)

আনন্দবাজার অনলাইন এখন

হোয়াট্‌সঅ্যাপেও

ফলো করুন
অন্য মাধ্যমগুলি:
Advertisement
Advertisement
আরও পড়ুন