assembly

BJP: গণনা-বিতর্কের জেরে ভোটে নেই বিজেপি

আচার্য পদে রাজ্যপালের পরিবর্তে মুখ্যমন্ত্রীকে নিয়ে আসার সংস্থান তৈরি করতে সোমবার সংশ্লিষ্ট আইন সংশোধন করার বিল পাশ হয়েছিল বিধানসভায়।

Advertisement

নিজস্ব সংবাদদাতা

কলকাতা শেষ আপডেট: ১৫ জুন ২০২২ ০৬:০৫
Share:

ফাইল ছবি

বিশ্ববিদ্যালয় আইন সংশোধনী বিলের উপরে ভোট-গণনায় ভুল হয়েছিল বলে বিধানসভায় জানিয়ে দিলেন স্পিকার। সেই সঙ্গে দেওয়া হল প্রথামাফিক তদন্তের নির্দেশও। কিন্তু বিধানসভার মধ্যেও ভোট-গণনায় ‘কারচুপি’র অভিযোগ প্রমাণিত হয়েছে বলে দাবি করে আপাতত বিলের উপরে ভোটাভুটি থেকে বিরত থাকার কথা জানাল বিরোধী দল বিজেপি।

Advertisement

রাজ্যের সরকারি বিশ্ববিদ্যালয়গুলিতে আচার্য পদে রাজ্যপালের পরিবর্তে মুখ্যমন্ত্রীকে নিয়ে আসার সংস্থান তৈরি করতে সোমবার সংশ্লিষ্ট আইন সংশোধন করার বিল পাশ হয়েছিল বিধানসভায়। ভোটাভুটির পরে সভায় ঘোষণা হয়েছিল, বিলের পক্ষে ১৮২ এবং বিরোধিতায় ৪০টি ভোট পড়েছে। বিজেপি তখনই অভিযোগ করেছিল, গণনায় ‘কারচুপি’ হয়েছে। কারণ, তাদের ৫৭ জন বিধায়ক সভায় উপস্থিত থেকে ভোট দিয়েছেন। রাতে স্পিকার জানান, ভোটের ফল আসলে ১৬৭-৫৫। বিলের বিপক্ষে আরও ১৫টি ভোট যোগ হয় তখন। ‘ভুল’ করেই যে ওই ঘটনা ঘটেছিল, মঙ্গলবার অধিবেশনের শুরুতে সেই কথাই আনুষ্ঠানিক ভাবে জানিয়ে দেন স্পিকার বিমান বন্দ্যোপা‌ধ্যায়। এর পরে বেসরকারি বিশ্ববিদ্যালয় আইন সংশোধনী বিলের (ভিজ়িটর পদে রাজ্যপালের বদলে শিক্ষামন্ত্রীকে আনার লক্ষ্যে) উপরে আলোচনার শেষের দিকে প্রায় হঠাৎই ওয়াক-আউট করে বেরিয়ে যান বিরোধী দলের বিধায়কেরা। বাইরে বিজেপির বিধায়ক বঙ্কিম ঘোষ বলেন, ‘‘বিধানসভাতেও কারচুপি হচ্ছে। আমাদের বিধায়কেরা যা ভোট দিয়েছেন, তার চেয়ে কম দেখানো হচ্ছে। আমাদের আশঙ্কা, আমাদের মধ্যে ভুল বোঝাবুঝি তৈরি করার জন্য আবার এমন ঘটনা ঘটানো হতে পারে। তাই এখন আমরা ভোটাভুটিতে যাব না।’’

ভোট-বিতর্কের সূত্রেই এ দিন দুর্গাপুরে বিরোধী দলনেতা শুভেন্দু অধিকারী বলেছেন, ‘‘বিধানসভাতেও ছাপ্পা দিয়েছিল! লজ্জা থাকা উচিত! বিধানসভায় ১১ বছর ধরে ইলেকট্রনিক ভোটিং সিস্টেম চালু হল না। সারা দেশে একমাত্র পশ্চিমবঙ্গ বিধানসভায় চলছে না। বাংলায় নাকি ২০০% কাজ হয়ে গিয়েছে! আর বিধায়কেরা স্লিপ কাগজে ভোট দেন।’’

Advertisement

স্পিকার বিমানবাবু অবশ্য ব্যাখ্যা দিয়েছেন, ‘‘সংসদেও ইলেক্ট্রনিক বোর্ডে ভোটাভুটির ফল প্রকাশের পাশাপাশি জানিয়ে দেওয়া হয় যে, প্রয়োজনে তা সংশোধন করা হতে পারে। এ ক্ষেত্রেও একটি ভুল হয়েছিল। যাঁর ভুল হয়েছিল, দীর্ঘ দিনের সেই কর্মী নিজেই এসে জানিয়েছেন সে কথা। এটাকে অন্য ভাবে ব্যাখ্যা করা ঠিক হবে না।’’ বিজেপির দাবি নস্যাৎ করে তৃণমূলের উপ-মুখ্য সচেতক তাপস রায়ের বক্তব্য, ‘‘কারচুপির প্রশ্নই ওঠে না। আসলে ভোটাভুটি হলে ফল কী হতে পারে, তা ঠিক ২৪ ঘণ্টা আগেই দেখা গিয়েছে। তাই নতুন করে লজ্জায় পড়তে চায়নি বিজেপি!’’

সবচেয়ে আগে সব খবর, ঠিক খবর, প্রতি মুহূর্তেফলো করুন আমাদের Google News, Twitter এবং Instagram পেজ

আনন্দবাজার অনলাইন এখন

হোয়াট্‌সঅ্যাপেও

ফলো করুন
অন্য মাধ্যমগুলি:
Advertisement
Advertisement
আরও পড়ুন