প্রতীকী ছবি।
লোকসভা নির্বাচনের আগে ‘রাজনৈতিক’ রথযাত্রার তোড়জোড় শুরু করে দিল রাজ্য বিজেপি। স্থির হল তার দিনক্ষণ এবং কর্মসূচি। একই সঙ্গে ২৯ জানুয়ারি থেকে ৫ ফেব্রুয়ারির মধ্যে প্রধানমন্ত্রী নরেন্দ্র মোদীর ব্রিগেড সভার সম্ভাব্য দিনও স্থির হয়েছে। রথাযাত্রায় বিভিন্ন রাজ্যের বিজেপি মুখ্যমন্ত্রীদেরও আনতে চান রাজ্য নেতৃত্ব।
শনিবার কলকাতার জাতীয় গ্রন্থাগারের অডিটোরিয়ামে বৈঠকে বসেছিলেন বিজেপির রাজ্য নেতৃত্ব। উপস্থিত ছিলেন কেন্দ্রীয় পরিদর্শক কৈলাস বিজয়বর্গীয়। সেখানেই ডিসেম্বর জুড়ে রথযাত্রার খুঁটিনাটি বিষয়ে আলোচনা হয়। পরে রাজ্য সভাপতি দিলীপ ঘোষ বলেন, ‘‘তিনটি রথ বার হবে। ৩ তারিখ তারাপীঠ, ৫ তারিখ কোচবিহার এবং ৭ তারিখ গঙ্গাসাগর থেকে।’’ সূত্রের খবর, কোচবিহার এবং গঙ্গাসাগরের রথ দু’টি ৩৫ দিন ধরে বিভিন্ন বিধানসভা এলাকা পরিক্রমা করবে। তারাপীঠ থেকে রওনা হওয়া রথটি ৩৮ দিন ধরে বিভিন্ন এলাকায় ঘুরবে। রথযাত্রার সূচনা করার জন্য রাজ্য নেতারা সর্বভারতীয় সভাপতি অমিত শাহকে আনার চেষ্টা করছেন বলে খবর। ইতিমধ্যেই তাঁর কাছে অনুরোধ পৌঁছেছে বলে কোনও কোনও সূত্রের দাবি।
বিজেপি সূত্রের খবর, অন্তত ২০ জন নেতা-মন্ত্রীকে রাজ্যের রথযাত্রার দায়িত্ব দেওয়া হবে। তাঁরা ঘুরে ফিরে যাত্রায় অংশ নেবেন। অন্য দিকে, প্রতিটি বিজেপি শাসিত রাজ্যের মুখ্যমন্ত্রীকে অন্তত এক বার করে রাজ্যে আনার চেষ্টা করা হবে বলে শোনা গিয়েছে।
সূত্রের খবর, রাজ্য নেতৃত্ব রথযাত্রা শেষ করতে চাইছেন মোদীর ব্রিগেডের সভার মধ্য দিয়ে। শনিবার দিলীপবাবু জানান, ২৯ জানুয়ারি থেকে ৫ ফেব্রুয়ারির মধ্যে ব্রিগেডে মোদীর সভার বিষয়ে প্রধানমন্ত্রীর দফতরের সঙ্গেও তাঁদের কথা হয়েছে।
সূত্রের খবর, এ দিনের বৈঠকে ১১ তারিখ অমিত শাহের সভা নিয়েও দীর্ঘ আলোচনা হয়। কোন কোন জেলা থেকে কত লোক আনা হবে এবং কী ভাবে আনা হবে তা নিয়ে নির্দেশ দেওয়া হয়েছে জেলা নেতৃত্বকে।