রাষ্ট্রপতি শাসনই চাই, দাবি বাইরের মন্ত্রীদেরও

এই ‘দুর্দশা’ থেকে মুক্তির জন্য এ রাজ্যে বিজেপিকে সরকারে আনার পক্ষে সওয়াল করেন মহেন্দ্র এবং মহেশ দু’জনেই। তবে তাৎপর্যপূর্ণ হল, যে অনুষ্ঠানে এসে ওই মন্ত্রীরা এই সব মন্তব্য করেছেন, সেখানে শ্রোতার বহু আসনই ভরাতে পারেনি বিজেপি।

Advertisement

নিজস্ব সংবাদদাতা

কলকাতা শেষ আপডেট: ১১ জুলাই ২০১৭ ০৪:৩৮
Share:

রাজ্যের তৃণমূল সরকারকে বরখাস্ত করে রাষ্ট্রপতি শাসন জারি করার জন্য শনিবারই রাজভবনে গিয়ে রাজ্যপাল কেশরীনাথ ত্রিপাঠীর কাছে ৩৫৬ ধারা প্রয়োগের দাবি জানিয়ে এসেছেন বিজেপি-র রাজ্য নেতৃত্ব। সোমবার কলকাতায় এসে ওই দাবিকেই সমর্থন করলেন উত্তরপ্রদেশের মন্ত্রী মহেন্দ্র সিংহ। ইউনিভার্সিটি ইনস্টিটিউট হলে পশ্চিমবঙ্গে শ্যামাপ্রসাদ মুখোপাধ্যায়ের অবদান শীর্ষক আলোচনাসভার শেষে এ দিন মহেন্দ্র বলেন, ‘‘এ রাজ্যে আইনশৃঙ্খলা পরিস্থিতি খুব খারাপ। জম্মু-কাশ্মীরের রাস্তায় হাঁটছে পশ্চিমবঙ্গ। এখানে নারী-শিশু-সহ কোনও নাগরিকের নিরাপত্তা নেই। কারণ রাজ্য সরকার ব্যর্থ। এই অবস্থায় ৩৫৬ ধারা তো চাইই।’’ কেন্দ্রীয় পর্যটন প্রতিমন্ত্রী মহেশ শর্মাও ওই আলোচনাসভায় মমতার সরকারের সমালোচনা করেন। তাঁর বক্তব্য, ‘‘মমতার সরল জীবনযাপন, সাদা পোশাক-সাদা চটি দিয়ে কোনও লাভ নেই। উন্নয়নের জন্য চাই কাজ। যেটা পশ্চিমবঙ্গে হচ্ছে না।’’ মহেশ আরও বলেন, ‘‘মমতা বন্দ্যোপাধ্যায় এক সময় আমাদের সরকারের শরিক ছিলেন। কিন্তু এখন উনি যা করছেন, তা সমর্থনযোগ্য নয়।’’ মমতা কেন্দ্রের বিরুদ্ধে অসহযোগিতার অভিযোগ তোলেন। মহেশের পাল্টা অভিযোগ, ‘‘তিন বছর আমি কেন্দ্রীয় মন্ত্রী আছি। আমি তো দেখি, উনিই কেন্দ্রের সঙ্গে অসহযোগিতা করে চলেন।’’

Advertisement

এই ‘দুর্দশা’ থেকে মুক্তির জন্য এ রাজ্যে বিজেপিকে সরকারে আনার পক্ষে সওয়াল করেন মহেন্দ্র এবং মহেশ দু’জনেই। তবে তাৎপর্যপূর্ণ হল, যে অনুষ্ঠানে এসে ওই মন্ত্রীরা এই সব মন্তব্য করেছেন, সেখানে শ্রোতার বহু আসনই ভরাতে পারেনি বিজেপি। মহেন্দ্র এবং মহেশের রাজ্য বিরোধী মন্তব্যের জবাবে তৃণমূলের জাতীয় মুখপাত্র ডেরেক ও’ব্রায়েন বলেন, ‘‘আমরা এ সব পাত্তাই দিচ্ছি না।’’

(সবচেয়ে আগে সব খবর, ঠিক খবর, প্রতি মুহূর্তে। ফলো করুন আমাদের Google News, X (Twitter), Facebook, Youtube, Threads এবং Instagram পেজ)

আনন্দবাজার অনলাইন এখন

হোয়াট্‌সঅ্যাপেও

ফলো করুন
অন্য মাধ্যমগুলি:
Advertisement
Advertisement
আরও পড়ুন