লোকসভা ভোটের আগে বিজেপির জন্য গান গেয়েছিলেন তিনি— ‘‘রাজনাথজি কে স্বপ্নে হোঙ্গে সাকার, করেঙ্গে মোদীজি চমৎকার!’’ পরে পশ্চিমবঙ্গের শ্রীরামপুর কেন্দ্র থেকে লোকসভা ভোটে বিজেপির প্রার্থী হয়েছিলেন গায়ক বাপ্পি লাহিড়ী। কিন্তু ভোটে সেই যে হেরেছেন, তার পর আর বাপ্পির গান শোনার সৌভাগ্য হয়নি বিজেপির।
কুইজ মাস্টার ব্যারি ও’ব্রায়েনও মোদী হাওয়ায় ভর করে চলে এসেছিলেন বিজেপিতে। এখন তিনি বিজেপিতে আছেন কি না, সেটাই হয়ে উঠেছে কুইজের প্রশ্ন!
গায়িকা আরতি মুখোপাধ্যায়ও ২০১৪-র সেপ্টেম্বরে বিজেপিতে যোগ দিয়েছিলেন। কিন্তু তার পর থেকে তাঁকেও বিজেপির সুরে গান গাইতে শোনা যায়নি।
এই তিন তারকা মুখ-সহ ৪০ জনকে দলের রাজ্য কমিটি থেকে ছেঁটে ফেলছেন বিজেপি নেতৃত্ব। কীসের ভিত্তিতে এই সিদ্ধান্ত? দলীয় নেতৃত্বের ব্যাখ্যা, যাঁদের দীর্ঘ কাল দলের কর্মসূচিতে দেখা যায়নি ও যাঁরা রাজ্য কমিটির কার্ড দেখিয়ে দিল্লিতে কেন্দ্রীয় স্তরে নানা দরবার করতে গিয়েছেন, তাঁদের ওই কমিটি থেকে বাদ দেওয়া হবে। এ মাসেই ভুবনেশ্বরে বসবে বিজেপির জাতীয় কর্মসমিতির বৈঠক। সেখানে বাংলার সংগঠন নিয়ে সবিস্তার আলোচনা হবে। বিজেপির রাজ্যস্তরের এক নেতার জানান, ভুবনেশ্বরে থেকে ফেরার পরেই এই ছাঁটাই প্রক্রিয়া শুরু হবে। ২২ ও ২৩ এপ্রিল বর্ধমানে দলের পরবর্তী রাজ্য কমিটির বৈঠকে ওই সিদ্ধান্ত ঘোষণা হবে। বাদ পড়াদের তালিকায় রয়েছেন শিশু পাচার কাণ্ডে অভিযুক্ত জুহি চৌধুরীর বাবা রবীন্দ্রনারায়ণ চৌধুরীও। এর আগে রাজ্য কমিটি থেকে এই রকম ১০ নিষ্ক্রিয় সদস্যকে বাদ দিয়েছিল বিজেপি। সূত্রের খবর, কিছু দিনের মধ্যে আরও ৫০ জন রাজ্য কমিটি থেকে বাদ পড়বেন।