সূর্যকান্ত মিশ্র
কোনও বাহানা দিয়ে সত্য আড়াল করা যাবে না! রাজ্যে বিজেপির উত্থান এখন বাস্তব এবং তাঁদের কাছে উদ্বেগের বিষয়। রাজ্য কমিটির বৈঠকে স্পষ্ট কথা বলে দলকে সতর্ক করে
দিলেন সিপিএমের রাজ্য সম্পাদক সূর্যকান্ত মিশ্র।
আলিমুদ্দিনে বুধবার শুরু হওয়া রাজ্য কমিটির বৈঠকের প্রথম দিনে দক্ষিণ কাঁথির বিধানসভা উপনির্বাচনের ফলের প্রসঙ্গ টেনেই বিজেপি-র মোকাবিলায় দলকে আরও সক্রিয় হতে বলেছেন সূর্যবাবু। দলীয় সূত্রের খবর, বৈঠকে রাজ্য সম্পাদক বলেছেন ওই কেন্দ্রের বেশ কিছু জায়গায় বামপন্থী মানুষকে ভোট দিতে তৃণমূল বাধা দিয়েছিল ঠিকই। কিন্তু গত বছর বিধানসভা নির্বাচনে সেখানে বামেরা যে ভোট পেয়েছিল, বিজেপি এ বার সেই জায়গায় উঠে এসেছে আর বামেরা নেমে গিয়েছে বিজেপি-র গত বছরের তৃতীয় স্থানে— এই ঘটনার একমাত্র কারণ তৃণমূলের গা-জোয়ারি নয়। সত্য কবুল করে নিয়েই আরও বেশি করে রাস্তায় থাকার কথা বলেছেন সূর্যবাবু।
দলের অন্দরে সূর্যবাবুর আরও ব্যাখ্যা, নানা বিষয়ে বামেরা ধারাবাহিক আন্দোলন করছে। স্থানীয় নানা নির্বাচনে তারা জিতছেও। কিন্তু বুথ স্তরে কর্মী রাখতে না
পারায় বড় নির্বাচনে ধাক্কা খেতে হচ্ছে। তাই বুথ আগলানোর শপথ নিয়েই দলকে ময়দানে থাকতে হবে। সূর্যবাবু এই কথা বলছেন এমন দিনে, যখন কলকাতা শহরেই বিজেপি-র সর্বভারতীয় সভাপতি
অমিত শাহ বুথে বুথে পৌঁছনোর
ডাক দিচ্ছেন।
জীবেশ সরকার, নেপালদেব ভট্টাচার্য, শমীক লাহিড়ীর মতো জেলার নেতারা বিজেপি-র বিপদের কথাই ব্যাখ্যা করেছেন এ দিন। জলপাইগুড়ির সলিল আচার্য একমাত্র কটাক্ষের সুরে বলেছেন, বঙ্কিমচন্দ্রের ‘কপালকুণ্ডলা’য় পথিকের পথ হারানোর মতো ভুল কৌশলের ফাঁদে সিপিএম-ও পথ হারিয়েছে! সঙ্ঘ পরিবার কী ভাবে ইতিহাস বিকৃত করে মানুষকে বিভ্রান্ত করছে, তার পাল্টা প্রচারের জন্য পুস্তিকা তৈরি করেছে আলিমুদ্দিন। দলের পলিটব্যুরো সদস্য মহম্মদ সেলিম বলেছেন, ‘‘তৃণমূল মেরুকরণের রাজনীতি করছে। আর ঘোলা জলে মাছ ধরতে চাইছেন অমিত শাহ।’’