রাজনাথ রেশ ধরে প্রস্তুতি বিজেপির

ডিসেম্বরে কোচবিহারের ঝিনাইডাঙা থেকে দলের রথযাত্রা কর্মসূচির সূচনার কথা ছিল। উপস্থিত থাকার কথা ছিল দলের সর্বভারতীয় সভাপতি অমিত শাহেরও। কিন্তু শেষপর্যন্ত রথযাত্রা হয়নি, অমিত শাহও আসেনি। তাতে নীচুতলার কর্মী-সমর্থকদের একাংশ হতাশাগ্রস্ত হয়ে পড়েছিলেন বলে দলের অন্দরের নেতাদের একাংশের মধ্যে গুজন ছড়ায়।

Advertisement

অরিন্দম সাহা কোচবিহার

শেষ আপডেট: ০৪ ফেব্রুয়ারি ২০১৯ ০২:১৭
Share:

—ছবি পিটিআই।

রাজনাথ সিংহের সভার রেশকে সামনে রেখেই লোকসভা ভোটের জন্য বিজেপির জেলা নেতৃত্ব কোচবিহারে প্রস্তুতি জোরদার করতে চাইছে বলে দল সূত্রে খবর।

Advertisement

ডিসেম্বরে কোচবিহারের ঝিনাইডাঙা থেকে দলের রথযাত্রা কর্মসূচির সূচনার কথা ছিল। উপস্থিত থাকার কথা ছিল দলের সর্বভারতীয় সভাপতি অমিত শাহেরও। কিন্তু শেষপর্যন্ত রথযাত্রা হয়নি, অমিত শাহও আসেনি। তাতে নীচুতলার কর্মী-সমর্থকদের একাংশ হতাশাগ্রস্ত হয়ে পড়েছিলেন বলে দলের অন্দরের নেতাদের একাংশের মধ্যে গুজন ছড়ায়। এক মাসের ব্যবধানে তাই রাজনাথ সিংহের সভা আয়োজন নিয়ে চাপ বেড়ে যায় দলের জেলা নেতৃত্বের। মাথাভাঙার পারাডুবিতে শনিবার ওই সভা করেছেন রাজনাথ। এবার ওই সভার রেশকে হাতিয়ার করেই জেলাজুড়ে কর্মী, সমর্থকদের চাঙা করতে চাইছেন তারা। ৮ ফেব্রুয়ারি ময়নাগুড়িতে নরেন্দ্র মোদীর সভা হওয়ার কথা। তার পর থেকে কাজে নামতে চাইছেন জেলা নেতৃত্ব।

দলীয় সূত্রেই জানা গিয়েছে, জেলার সমস্ত বুথে বিজেপির মজবুত সংগঠনই নেই। বেশ কিছু বুথে আবার স্থানীয় কমিটিও নেই বলেও কর্মীদের একাংশের অভিযোগ। সবমিলিয়েই জেলার দুই হাজারের বেশি বুথে সংগঠন মজবুত করার ওপর জোর দেওয়া হয়েছে। ফেব্রুয়ারিতে মোদীর সভার পর থেকেই ওই কাজে নামার পরিকল্পনা হয়েছে। রবিবার দলের জেলা দফতরে দলের মন্ডল কমিটির নেতাদের নিয়ে বৈঠক হয়। বিজেপির কোচবিহার জেলা সভানেত্রী মালতি রাভা বলেন, “লোকসভার জন্য প্রস্তুতি ছিলই। এবার সেটাই আরও জোরদার করার পরিকল্পনা হয়েছে। সমস্ত বুথে সাংগঠনিক ভিত মজবুত করাটাই এখন লক্ষ্য।” মালতিদেবীর দাবি, অমিত শাহের কর্মসূচিতে বাঁধা দেওয়ায় কর্মীদের জেদ আরও বেড়েছিল। তাই পারাডুবির সভায় মানুষের ভিড় উপচে পড়ে। তৃণমূল বাঁধা না দিলে ভিড় আরও বাড়ত।

Advertisement

বিজেপির অভিযোগ, সভার পর শীতলখুচিতে তিনজনকে মারধর করা হয়। পুটিমারিতে এককর্মীকে শাসানো হয়েছে। তৃণমূল নেতৃত্ব অবশ্য এই অভিযোগ ভিত্তিহীন বলে উড়িয়ে দিয়েছেন। তৃণমূল শিবিরের বক্তব্য, রাজনাথের মত কেন্দ্রীয় নেতৃত্বের সভা ‘ফ্লপ’ করেছে। মেরেকেটে দুই হাজারের বেশি লোক হয়নি। তাতে বিজেপি নেতারা দিশেহারা হয়ে অপপ্রচার শুরু করেছেন। তৃণমূলের কোচবিহার জেলা সভাপতি রবীন্দ্রনাথ ঘোষ বলেন, “ওদের কেন্দ্রীয় নেতার সভা ফ্লপ হয়েছে। জেলা নেতারা সভা করলে তো তিনশো লোকও হবেনা। আমরা সভা করলেই যেখানে অন্তত ২০ হাজার লোকের জমায়েত হয়। বিজেপির লোকসভা ভোটে জেতার আশা আসলে পাগলের গোবধে আনন্দের মত হাস্যকর ভাবনা ছাড়া অন্য কিছুই নয়।”

(সবচেয়ে আগে সব খবর, ঠিক খবর, প্রতি মুহূর্তে। ফলো করুন আমাদের Google News, X (Twitter), Facebook, Youtube, Threads এবং Instagram পেজ)

আনন্দবাজার অনলাইন এখন

হোয়াট্‌সঅ্যাপেও

ফলো করুন
অন্য মাধ্যমগুলি:
Advertisement
Advertisement
আরও পড়ুন