যাঁকে দলের সেনাপতি করার সম্ভাবনা নিয়ে চর্চা চলছে, তাঁকেই সতর্ক করতে চলেছে রাজ্য বিজেপি!
আলিপুর থেকে সাত্তোর— যেখানেই গোলমালের খবর পাওয়া যাচ্ছে, অভিনেত্রী এবং অধুনা বিজেপি-র মুখ রূপা গঙ্গোপাধ্যায় ইদানীং কালে সেখানেই পৌঁছে যাচ্ছেন। যা দেখে অতীতের মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়ের কথা মনে পড়ছে কারও কারও। এই পথে রূপা আসলে নিজের জনপ্রিয়তা বাড়িয়ে তুলছেন বলে বিজেপি-র অন্দরের ধারণা। আর এতেই অসন্তুষ্ট দলের একাংশ। দলের রাজ্য সভাপতি রাহুল সিংহ এবং দফতরে উপস্থিত সহ-সভাপতি ও সাধারণ সম্পাদকদের ঘরোয়া বৈঠকে সোমবার দলের একাংশ সেই অসন্তোষ প্রকাশ করেছেন। দলীয় সূত্রের খবর, তাঁরা জানান, অনেক সময়ে উচ্চতর নেতৃত্বকে না জানিয়েই রূপা ‘অতি সক্রিয়’ হচ্ছেন। এটা কাম্য নয়। বিজেপি সূত্রের খবর, রাহুলবাবু তাঁদের বক্তব্য মেনে নিয়ে জানিয়েছেন, রূপার সঙ্গে কথা বলা হবে।
প্রসঙ্গত, দলে নতুন এসেই রূপা প্রচারের আলো কেড়ে নেওয়ায় রাজ্য বিজেপি-র একাংশ অখুশি। তাঁরা মনে করেন, রূপা নিজের রাজনৈতিক যোগ্যতা সম্পর্কে অতিরিক্ত আত্মবিশ্বাসী। বাস্তবে মমতার মতো রুক্ষ জমিতে নেমে জনসংযোগের ক্ষমতা তাঁর নেই। ফলে, তিনি যতই নিজেকে মমতার বিকল্প হিসাবে তুলে ধরার চেষ্টা করুন, ফল হবে না। উল্টে বিজেপি-র মতো শৃঙ্খলাপরায়ণ দলে যে কেউ বাইরে থেকে এসে চমকের জোরে নেতা বা নেত্রী হয়ে যেতে পারে— এই বার্তা গিয়ে বিভ্রান্তি তৈরি হতে পারে। রাজ্য বিজেপি-তে এই মতের শরিক যাঁরা, তাঁরাই এ দিন বৈঠকে রূপা সম্পর্কে অসন্তোষ প্রকাশ করেন। এক জন সর্বভারতীয় আরএসএস নেতাও রূপার গতিবিধি নিয়ন্ত্রণ করার পরামর্শ দিয়েছেন বলে বিজেপি সূত্রের খবর। পাড়ুইয়ে অশান্তি থামাতে দল নির্দিষ্ট পদক্ষেপ করবে বলেও আলোচনা হয়েছে এ দিনের বৈঠকে।