—ফাইল চিত্র।
তাপস পালের গ্রেফতারির তীব্র প্রতিক্রিয়া দিল তৃণমূল। নোট বাতিলের বিরুদ্ধে মুখ খোলায় রাজনৈতিক প্রতিহিংসা চরিতার্থ করা শুরু হয়েছে, মন্তব্য তৃণমূলের মহাসচিব পার্থ চট্টোপাধ্যায়ের। ভয় দেখিয়ে মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়কে দমানো যাবে না বলে হুঁশিয়ারি দিয়েছেন তিনি। বামেরা অবশ্য সিবিআই-এর এই পদক্ষেপকে সমর্থনই করেছে। পশ্চিমবঙ্গ বিধানসভার সিপিএম পরিষদীয় দলনেতা সুজন চক্রবর্তীর মন্তব্য, তাপস পাল নেহাতই ছোট নাম, আরও অনেক বড় বড় চাঁই জড়িত।
পার্থ চট্টোপাধ্যায় বলেছেন, ‘‘কেন্দ্রীয় সরকার রাজনৈতিক প্রতিহিংসা নেওয়া শুরু করেছে। নোট বাতিলের বিরুদ্ধে আমরা আন্দোলনে নেমেছি বলেই এই প্রতিহিংসা।’’ পার্থবাবুর অভিযোগ, বিধানসভা নির্বাচনের আগেও এই ভাবে সিবিআই-কে ব্যবহার করে মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়কে হারানোর চেষ্টা হয়েছিল। নোট বাতিল ইস্যুতে মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়কে আটকাতেও সে একই অস্ত্র ব্যবহার করছে বিজেপি, দাবি পার্থবাবুর। কড়া প্রতিক্রিয়া দিয়ে তাঁর মন্তব্য, ‘‘রাজনৈতিক প্রতিহিংসার ভয় দেখিয়ে মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়ের মাথা নত করা যাবে না।’’
আরও পড়ুন: চার ঘণ্টা জেরার পর গ্রেফতার তাপস পাল
বিধানসভায় সিপিএমের পরিষদীয় দলনেতা সুজন চক্রবর্তী অবশ্য তাপস পালের গ্রেফতারিতে অস্বাভাবিক কিছু দেখছেন না। তিনি বলেছেন, ‘‘তাপস পালের গ্রেফতারিতে বড় কিছু দেখছি না। কান টানলে মাথা আসে। তাপস পাল তো কানও হল না, সবে হাত ধরা হল। শুধু তাপস পাল কেন, চিট ফান্ডের মাধ্যমে গরিব মানুষের টাকা যাঁরা যাঁরা লুঠ করেছেন, তাঁদের সবার নাম প্রকাশ্যে আসা উচিত। রাজ্য সরকার তো এ বিষয়ে কেন্দ্রকে সহযোগিতা করতে পারত। কেন করছে না? গরিব মানুষের টাকা যাঁরা লুঠ করেছেন, তাঁরা নেতা হয়ে থাকবেন, আর গরিব মানুষগুলো রাস্তায় কেঁদেকেটে বেড়াবেন, এটা কোনও মানবিক দৃষ্টিভঙ্গি হতে পারে না।’’ তাপস পালের গ্রেফতারি আসলে বিজেপির তরফ থেকে রাজনৈতিক প্রতিহিংসা বলে যে অভিযোগ তৃণমূল করছে, তা সুজন চক্রবর্তী মানতে চাননি। তিনি বলেন, ‘‘এটা কোনও রাজনৈতিক প্রতিহিংসা নয়। কারা টাকা নিয়েছেন, সব মুখ্যমন্ত্রী জানেন। তাঁর উচিত তালিকাটা প্রকাশ করা।’’