Abhishek Banerjee Shamik Bhaattacharya

ভোট কিনতে বিজেপি মাথাপিছু ১৫-২০ কোটি খরচ করেছে, বস্তা নিয়ে নেমেছিল: অভিষেক! পাল্টা কটাক্ষ করলেন শমীক

মঙ্গলবার উপরাষ্ট্রপতি ভোটের ফল প্রকাশের পরে দেখা যায়, এনডিএ প্রার্থী সিপি রাধাকৃষ্ণন পেয়েছেন ৪৫২টি ভোট। আর ‘ইন্ডিয়া’র প্রার্থী সুদর্শন রেড্ডি পেয়েছেন ৩০০টি। ১৫টি ভোট বাতিল হয়।

Advertisement

আনন্দবাজার ডট কম সংবাদদাতা

শেষ আপডেট: ১০ সেপ্টেম্বর ২০২৫ ১৮:৩৫
Share:

(বাঁ দিকে) অভিষেক বন্দ্যোপাধ্যায়, শমীক ভট্টাচার্য (ডান দিকে)। —ফাইল চিত্র।

উপরাষ্ট্রপতি নির্বাচনে বিরোধী সাংসদদের ভোট কিনতে বিজেপি টাকার বস্তা নিয়ে নেমেছিল বলে অভিযোগ করলেন অভিষেক বন্দ্যোপাধ্যায়। তৃণমূলের লোকসভার দলনেতা বুধবার বিকেলে দিল্লি থেকে কলকাতায় ফিরে এ-ও অভিযোগ করলেন, এক একজনের ভোট কিনতে ১৫ থেকে ২০ কোটি টাকা খরচ করেছে বিজেপি। অভিষেকের বক্তব্য খারিজ করে বিরোধী জোট ‘ইন্ডিয়া’র উদ্দেশে পাল্টা কটাক্ষ ছুড়ে দিয়েছেন বিজেপির রাজ্যসভার সাংসদ তথা দলের রাজ্য সভাপতি শমীক ভট্টাচার্য।

Advertisement

মঙ্গলবার উপরাষ্ট্রপতি ভোটের ফল প্রকাশের পরে দেখা যায়, এনডিএ প্রার্থী সিপি রাধাকৃষ্ণন পেয়েছেন ৪৫২টি ভোট। আর ‘ইন্ডিয়া’র প্রার্থী সুদর্শন রেড্ডি পেয়েছেন ৩০০টি। ১৫টি ভোট বাতিল হয়েছে বলে ঘোষণা করা হয়। ভোট শুরু হওয়ার ঠিক পরেই মঙ্গলবার কংগ্রেসের প্রবীণ নেতা জয়রাম রমেশ দাবি করেছিলেন, ৩১৫ জন বিরোধী সাংসদ ভোট দিতে সংসদে পৌঁছেছেন। প্রত্যেকেই রেড্ডিকে ভোট দেবেন। অন্য দিকে এনডিএ-এর তরফে বলা হয়েছিল, ৪৩৭টি ভোট তাঁদের প্রার্থী পাবেনই। ফল প্রকাশ হতে দেখা যায়, জয়রামের বলা সংখ্যার থেকে ১৫টি ভোট কম পেয়েছেন বিরোধী প্রার্থী। উল্টো দিকে এনডিএ-এর রাধাকৃষ্ণন পেয়েছেন ৪৫২টি ভোট। যা ‘নিশ্চিত সংখ্যা’ ৪৩৭-এর থেকে ১৫ বেশি। আবার বাতিলও হয় ১৫টি ভোট।

‘ক্রস ভোটিং’ নিয়ে যখন জাতীয় রাজনীতি আলোড়িত, বিরোধী ঐক্যে ফাটল নিয়ে যখন আলোচনা শুরু হয়েছে, তখন কলকাতায় ফিরে অভিষেক প্রথমে বলেন, ‘‘এটা বলা মুশকিল যে ক্রস ভোটিং হয়েছে না বিরোধী পক্ষের ভোটগুলিই বাতিল হয়েছে।’’ যে হেতু গোপন ব্যালটে ভোট, ফলে হাতে প্রমাণ নেই। কিন্তু সংখ্যা দেখে অনেকেই ধারণা করছেন। অভিষেকও মেনে নেন, জল্পনা তৈরির অবকাশ রয়েছে বলেই তা হচ্ছে। তার পরেই তিনি আঙুল তোলেন আম আদমি পার্টির কয়েক জন সাংসদের দিকে। অভিষেকের কথায়, ‘‘ রাজ্যসভায় ওদের কয়েক জন সাংসদ আছেন, যাঁরা নামেই আম আদমি পার্টির। আসলে তাঁরা বিজেপির। আমি কয়েক জনের সঙ্গে কথা বলে বুঝলাম, ওরা (বিজেপি) টাকার বস্তা নিয়ে নেমেছিল। এক একজনের ভোট কিনতে ১৫-২০ কোটি টাকা খরচ করেছে।’’

Advertisement

এই প্রসঙ্গেই ২০২১ সালের পশ্চিমবঙ্গ বিধানসভা ভোট এবং ২০২৪ সালের লোকসভা ভোটের প্রসঙ্গ তোলেন ডায়মন্ড হারবারের সাংসদ। অভিষেক বলেন, ‘‘২০২১ সালেও ওরা বাংলায় টাকা নিয়ে নেমেছিল। কিন্তু পারেনি। ২০২৪ সালে কাউন্টিং এজেন্ট কিনতে গিয়েছিল। পারেনি। বিজেপি জানে না, জনতার আবেগ পণ্য নয় যে তা বিক্রি হবে। কিছু জনপ্রতিনিধি বিক্রি হতে পারেন, কিন্তু জনতা বিক্রি হয় না।’’

টাকা দিয়ে ভোট কেনার অভিযোগ নিয়ে বিজেপি-র রাজ্য সভাপতি শমীকের জবাব, ‘‘ওঁর কথার কোনও প্রতিক্রিয়া দিতে চাই না। তবে উপরাষ্ট্রপতি ভোট দেখিয়ে দিল, এনডিএ ঐক্যবদ্ধ আর বিরোধীরা বিধ্বস্ত।’’

আনন্দবাজার অনলাইন এখন

হোয়াট্‌সঅ্যাপেও

ফলো করুন
অন্য মাধ্যমগুলি:
আরও পড়ুন
Advertisement