‘সন্ত্রাস’ প্রমাণ করতে দিল্লি ছুটবে বিজেপি

দিল্লিতে প্রধানমন্ত্রী ও রাষ্ট্রপতির কাছে শাসকদলের হাতে আক্রান্ত বিজেপি নেতাকর্মীদের অসহনীয় অবস্থা তুলে ধরবেন দলের নেতারা। শনিবার সিউড়িতে দলীয় অফিস থেকে সংবাদমাধ্যমকে এ কথা জানান বিজেপির রাজ্য সাধারণ সম্পাদক সায়ন্তন বসু।

Advertisement

নিজস্ব সংবাদদাতা

সিউড়ি শেষ আপডেট: ২২ এপ্রিল ২০১৮ ০১:৫২
Share:

এ রাজ্যে গণতন্ত্র বিপন্ন— বহু বার এমন অভিযোগ শোনা গিয়েছে রাজ্যের বিজেপি নেতৃত্বের মুখে। এ বার হাতেগরম প্রমাণ দিল্লির কাছে পৌঁছে দেওয়ার সিদ্ধান্ত নিল বিজেপি। দিল্লিতে প্রধানমন্ত্রী ও রাষ্ট্রপতির কাছে শাসকদলের হাতে আক্রান্ত বিজেপি নেতাকর্মীদের অসহনীয় অবস্থা তুলে ধরবেন দলের নেতারা। শনিবার সিউড়িতে দলীয় অফিস থেকে সংবাদমাধ্যমকে এ কথা জানান বিজেপির রাজ্য সাধারণ সম্পাদক সায়ন্তন বসু।

Advertisement

বিজেপির ওই রাজ্য নেতার অভিযোগ, রাজ্য জুড়ে তৃণমূল ও প্রশাসন মিলিত ভাবে বিরোধীদের উপরে নির্যাতন চালাচ্ছে। বীরভূমে বিরোধীরা বেশি আক্রান্ত হয়েছে। বীরভূমের ঘটনাই দিল্লির কাছে মডেল হিসাবে তারা তুলে ধরতে চাইছেন বলে দাবি সায়ন্তনের। কী ভাবে সেটা করা হবে তা-ও স্পষ্ট করছেন ওই নেতা। তাঁর কথায়, ‘‘বীরভূমে ও রাজ্যের অন্য জায়গায় যাঁরা শাসকদলের হাতে আক্রান্ত হয়েছেন, এমন বেশ কয়েক জন যাতে দেশের প্রধানমন্ত্রী এবং রাষ্ট্রপতির কাছে তাঁদের কথা তুলে ধরতে পারেন, তার ব্যবস্থা করা হচ্ছে।’’ ওঁরা সময় দিলেই ২৪ বা ২৫ এপ্রিল আক্রান্তদের নিয়ে দিল্লি যাওয়া হবে বলে জানিয়েছেন তিনি। বিজেপি সূত্রের খবর, বীরভূমে মনোনয়ন পর্বে কমপক্ষে ৫০জন নেতা-কর্মী আক্রান্ত হয়েছেন। তাঁদের মধ্যে ছ’জনকে বাছাই করে দিল্লি নিয়ে যাওয়ার কথা ভাবা হচ্ছে বলে জানা গিয়েছে।

তবে এর পাশাপাশি হাইকোর্টের নির্দেশের পরে ফের এক বার মনোনয়ন দাখিল করার সুযোগ কী ভাবে কাজে লাগানো যায়, সে বিষয়েও এ দিন আলোচনা হয়েছে বলে দলীয় সূত্রে খবর। কিন্তু, দিন বাড়ালেও কি মনোনয়ন জমা করতে পারবে বিরোধীরা? সায়ন্তন জানান, হাইকোর্টের নির্দেশে মনোনয়ন জমার দিন ধার্য হওয়ার পরেও যদি ফের বাধা দেওয়ার ঘটনা ঘটে, তা হলে প্রশাসনের বিরুদ্ধেই আদালত অবমাননার নোটিস দেওয়া হবে। এখানেই না থেমে রাজ্যনেতার সংযোজন, ‘‘অনুব্রত মণ্ডলেরা বিষয় নন, প্রশাসনকেই সিদ্ধান্ত নিতে হবে তারা বিরোধীদের মনোনয়ন করতে দেবেন কী দেবেন না।’’

Advertisement

মনোনয়ন প্রত্যাহারের জন্য চাপ দেওয়া এবং মিথ্যা মামলায় ফাঁসানোর জন্য শাসকদলের পাশাপাশি পুলিশকেই বেশি দুষেছেন বিজেপির এই রাজ্য নেতা। তাঁর অভিযোগ, বীরভূম-সহ রাজ্যের বিভিন্ন জেলায় থানার ওসি আইসি-রা তৃণমূলের হয়ে বিরোধী প্রার্থীদের হুমকি দিচ্ছেন। এমন দুটি অডিও টেপ তাঁদের হাতে এসেছে বলেও দাবি। যে সব থানার ওসিরা প্রত্যক্ষ ভাবে এ কাজ করেছেন, তাঁদের বিরুদ্ধে হাইকোর্টে মামলা করার হুঁশিয়ারিও দেন। এ বিষয়ে জেলা পুলিশ সুপারের প্রতিক্রিয়া না মিললেও নাম প্রকাশে অনিচ্ছুক জেলা পুলিশের এক আধিকারিকের বক্তব্য, ‘‘পুলিশ দায়িত্ব পালন করছে ঠিক ভাবেই।’’ তৃণমূলের জেলা সহ-সভাপতি মলয় মুখোপাধ্যায় বলেন, ‘‘বিরোধীদের অস্তিত্বই নেই। সেই দুর্বলতা ঢাকতেই এ সব বলা হচ্ছে।’’

(সবচেয়ে আগে সব খবর, ঠিক খবর, প্রতি মুহূর্তে। ফলো করুন আমাদের Google News, X (Twitter), Facebook, Youtube, Threads এবং Instagram পেজ)

আনন্দবাজার অনলাইন এখন

হোয়াট্‌সঅ্যাপেও

ফলো করুন
অন্য মাধ্যমগুলি:
Advertisement
Advertisement
আরও পড়ুন