বালুরঘাটের বেলতলা পার্কে বিক্ষোভ বিজেপির। রবিবার। নিজস্ব চিত্র
যোগী না আসায় শাপে বর হল বিজেপির। রবিবার সভা শেষে এমনই মন্তব্য শোনা গেল দলের কয়েকজন নেতার মুখে। আসন্ন লোকসভা ভোটের মুখে দক্ষিণ দিনাজপুর জেলা বিজেপি নেতৃত্ব, উত্তরপ্রদেশের মুখ্যমন্ত্রী তথা দলের কেন্দ্রীয় নেতা যোগী আদিত্যনাথকে এনে মাঠ ভরিয়ে জনসভা করে কৃতিত্ব অর্জনের ব্যর্থ চেষ্টা থেকে তাদের বাঁচিয়ে দিলেন খোদ যোগীই—বালুরঘাটে না এসে। অন্তত এমনই মত তাদের। দলের এক নেতার কথায়, যোগীজী এলে কী দেখতেন। ফাঁকা মাঠ?
লক্ষাধিক লোকের সমাবেশের কথা ঘোষণা করে কেন হাজার দশেক লোকও জোগাড় হল না, তা নিয়ে এ দিন বিজেপির অন্দরে চুলচেরা বিচার শুরু হয়েছে। অভিযোগ উঠেছে, লোক আনতে জেলার ব্লক কমিটিগুলিকে গাড়ি ভাড়ার কোনও টাকা দেওয়া হয়নি। অথচ যোগীর সভার নামে জেলা বিজেপি নেতৃত্ব ডোনেশন বাবদ প্রচুর টাকা তুলেছেন বলে দলের একাংশ কার্যকর্তার অভিযোগ।
রবিবার বালুরঘাটের রেলস্টেশনের মাঠে যোগীর সভায় লক্ষাধিক মানুষের সমাবেশ হবে বলে দাবি করেন জেলা সভাপতি শুভেন্দু সরকার। এদিন যোগী আসতে পারবেন না বলে বালুরঘাটে জেলা নেতৃত্ব টের পেলেও গ্রামগঞ্জের মানুষের কাছে সেই খবর ছিল না। হেলিকপ্টারের অনুমতির দাবিতে এদিন জেলাশাসকের বাংলোর সামনে জেলা নেতারা ধর্নায় বসে বিক্ষোভ দেখাচ্ছেন। ততক্ষণে দলের কর্মী সমর্থকরা সভার মাঠে পৌঁছতে শুরু করেন। ফলে সভাকে টিকিয়ে রাখতে বাংলোর অবস্থান বিক্ষোভ ছেড়ে বিজেপির স্থানীয় নেতাদের রেলের মাঠে ছুটতে হয়।
অবশ্য বালুরঘাট লোকসভার বিজেপি কনভেনার নীলাঞ্জন রায় বলেন, ‘‘হেলিকপ্টারের অনুমতি দেওয়ার প্রক্রিয়া শুরু করেছিল জেলাপ্রশাসন। শেষমহূর্তে তৃণমূলের চক্রান্তে অনুমতি দেওয়া হয়নি। এতে জনমানসে প্রভাব পড়েছে।’’ তৃণমূল জেলা সভাপতি বিপ্লব মিত্র বলেন, ‘‘বিজেপি নিজেদের ব্যর্থতায় হেলিকপ্টারের অনুমতি পায়নি। তার দায় তৃণমূলের উপর চাপানোর চেষ্টা করছে। সভার মাঠে কত লোক হয়েছিল, তা সকলেই দেখেছেন।’’