অঙ্ক কষে আগ্রাসী

রামনবমী মুখবন্ধ মাত্র। এর পর হিন্দু ধর্মের সব উৎসবই রাজ্যে ঘটা করে পালন করবে গেরুয়া শিবির। প্রতি ক্ষেত্রেই তাদের কৌশল— বিজেপি-আরএসএসের ব্যানার এড়িয়ে কোনও হিন্দু সমিতির নামে অনুষ্ঠানের আয়োজন করা।

Advertisement

নিজস্ব সংবাদদাতা

কলকাতা শেষ আপডেট: ০৭ এপ্রিল ২০১৭ ০৩:৩৯
Share:

বীরপুরুষ: রামনবমী পার। বন্ধ হয়নি অস্ত্রের ঝনঝনানি। বৃহস্পতিবার গেরুয়া-বাহিনীর মিছিল টিটাগ়ড় থানার সামনে। ছবি: সজল চট্টোপাধ্যায়।

রামনবমী মুখবন্ধ মাত্র। এর পর হিন্দু ধর্মের সব উৎসবই রাজ্যে ঘটা করে পালন করবে গেরুয়া শিবির। প্রতি ক্ষেত্রেই তাদের কৌশল— বিজেপি-আরএসএসের ব্যানার এড়িয়ে কোনও হিন্দু সমিতির নামে অনুষ্ঠানের আয়োজন করা। যেখানে ব্যক্তি হিসাবে থাকবেন বিজেপি-আরএসএসের নেতা-কর্মীরা। বিজেপি-র আশা, এই ভাবে হিন্দুত্ববাদের চাষ করে ভোটে ধর্মীয় মেরুকরণের সুফল পাওয়া যাবে। সিপিএম-সহ বামপন্থী শক্তি দুর্বল হয়ে যাওয়ায় কোনও প্রতিরোধের মুখেই পড়তে হবে না। অর্থাৎ, রাজনৈতিক লাভের অঙ্ক কষেই ধর্মীয় উৎসবের মাত্রা বাড়াচ্ছে সঙ্ঘ পরিবার।

Advertisement

বিজেপি যে বৃহত্তর লক্ষ্যে এগোচ্ছে, তা বোঝা যাচ্ছে কেন্দ্রীয় স্বরাষ্ট্রমন্ত্রী রাজনাথ সিংহের কলকাতা সফরসূচি থেকেও। নারদ-কাণ্ডে অভিযুক্তদের গ্রেফতারের দাবিতে আগামী ১২ এপ্রিল ধর্মতলা থেকে রবীন্দ্র সদন পর্যন্ত মিছিল করবে বিজেপি। তার দু’দিন পর ১৪ এপ্রিল রাজনাথ দলীয় কর্মসূচিতে যোগ দেবেন মুখ্যমন্ত্রী মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়ের কেন্দ্র দক্ষিণ কলকাতায়।

তার পাঁচ দিন পর সিবিআই নারদের তদন্তভার পাওয়ার এক মাস পূর্ণ হচ্ছে। আরএসএসই রাজনাথের উপর চাপ সৃষ্টি করে, যাতে তিনি মমতার খাসতালুকে এসে সন্ত্রাসবাদীদের মদত দেওয়ার প্রশ্নে তৃণমূলকে কড়া আক্রমণ করেন। রাজনৈতিক মহলের একাংশের মতে, নারদ-কাণ্ড নিয়ে সিবিআই রিপোর্ট ১৯ এপ্রিলের আশপাশে জমা পড়লে তা নিয়ে রাজ্য রাজনীতি সরগরম থাকবে বেশ কিছু দিন। ওই পর্বেই ২৫ এপ্রিল রাজ্যে আসবেন বিজেপি-র সর্বভারতীয় সভাপতি অমিত শাহ।

Advertisement
(সবচেয়ে আগে সব খবর, ঠিক খবর, প্রতি মুহূর্তে। ফলো করুন আমাদের Google News, X (Twitter), Facebook, Youtube, Threads এবং Instagram পেজ)

আনন্দবাজার অনলাইন এখন

হোয়াট্‌সঅ্যাপেও

ফলো করুন
অন্য মাধ্যমগুলি:
Advertisement
Advertisement
আরও পড়ুন